অরবিন্দ রায়
স্টাফ রিপোর্টার।।
নরসিংদী বৃষ্টির কারনে পশুর হাটে বেচা কেনা কম। কোরবানির পশু কিনতে জেলার বিভিন্ন পশুর হাটে মানুষ ভীড় করছেন। শেষ মুহূর্তে পশুর হাটে ক্রেতাদের ভীড় দেখা যাচ্ছে। তবে গুড়ি বৃষ্টির কারনে পশুর হাটগুলোতে ক্রেতাদের উপস্হিতি কিছুটা কম। পশু বিক্রেতারাও গরু হাটে তুলে ক্রেতারা অপেক্ষায় রয়েছেন। ক্রেতারা গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম বেশি বলছেন। আবার বিক্রেতারা বলছেন পশু খাদ্যের দাম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সে তুলনায় গরুর দাম বাড়েনি। বাজারে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে।
নরসিংদী সদরের বড় গরুর হাট আরশীনগর গরুর হাট- মাধবদী গরুর হাট- পাইকারদী গরুর হাট- আমদিয়া প্রাইমারী স্কুল মাঠে গরুর হাট- ছেরেন্দা বালুর মাঠ গরুর হাট। পলাশ উপজেলার বড় গরুর হাট তালতলী গরুর হাট- চরনগরদী গরুর হাট- ডাংগা হাই স্কুল গরুর হাট। শিবপুর উপজেলার বড় গরুর হাট শিবপুর কলেজ মাঠ গরুর হাট- পুটিয়া বাজার গরুর হাট কামরাবো গরুর হাট- জাল্লারা গরুর হাট। বেলাব উপজেলার বড় গরুর হাট বেলাব বাজার গরুর হাট- পোড়াদিয়া বাজার গরুর হাট- নারায়নপুর বাজার গরুর হাট। রায়পুরা উপজেলার বড় গরুর হাট নৌকার হাট- রায়পুরা গরুর হাট-
শিক্ষক জাকির হোসাইন জানান- আমরা বেসরকারী শিক্ষকরা যে টাকা বোনাস পাই সেই টাকা দিয়ে একটি খাসী কোরবানি দেয়া সম্ভব না। তার পরেও পশুর হাটে ছোট ও মাঝারী ধরনের দেশীয় গরু চাহিদা বেশী ।
ঈদ – উল -আজাহার দিন ইসলাম ধর্মের মানুষ ফজরের নামাজের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত ঈদুল আজাহার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে আর্থিক সামার্থ্য অনুযায়ী গরু- ছাগল- ভেড়া- মহিষ ও উট আল্লাহর নামে কোরবানি করেন। মুসলমানরা কোরবানির মধ্য দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করেন। ঈদ- উল – আজাহা বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত।
বাংলাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করা হয় পবিত্র ঈদ – উল – আজহা। ছোট ছোট শিশুরা কোরবানির গরু বাড়িতে আনার পর গরুর চারপাশে দাঁড়িয়ে গরু দেখতে থাকেন। বাসা বাড়িতে গরু রাখার জায়গা না থাকায় অনেকই ঈদের দিন সকালে গরু কিনে থাকেন।