
মামুন মিঞা, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ফরিদপুর
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল হক এর ব্যাপক অনিয়ম গাফিলতির কারনে শিক্ষক সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্হা চরম ক্ষতির মুখে।
উপজেলায় যোগদানের পর থেকে অফিসে শুয়ে বসে সময় পার করছেন তিনি। অফিস কে নিজের বাসস্থান বানিয়ে রাত্রি যাপন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে ।
অধিকাংশ বিদ্যালয়ে আজও পা’ পড়েনি তার,এমন অভিযোগ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।শিক্ষা ব্যবস্হার উন্নতির বালাই নেই তার জলযান্ত প্রমাণ এসএসসি ও দাখিল পরিক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশের হার।অফিসে বসে সময় কাটিয়ে চাকরিতে নিয়েছে সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা। স্কুল গুলো তদারকি যথাযথ না নেওয়ায় শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজিয়েছেন গোলে গোল্লা। নিজের ইচ্ছায় নিজের খামখেয়ালি পনায় চলেন তিনি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল হক নিজের ওয়েবসাইট বন্ধ রাখায় শিক্ষকরা তাদের কোন আবেদন করতে পারছেনা এমনকি শিক্ষকদের কোন কাজেও সফল হচ্ছেনা। এমন অভিযোগ করেন আইনপুর দাখিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মোঃ আবুল হাসান। তিনি বলেন” আমার বেতন স্কেল বাড়ানোর জন্য একাধিকবার আবেদন করি কিন্তু শিক্ষা অফিসার এর ওয়েবসাইট বন্ধ রাখায় আবেদন সফল হচ্ছে না।যে কারনে বেতন না বাড়ায় চাকরিতে সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছি”।এছাড়া অনেক শিক্ষকই এই হয়রানি সহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে বলে তার পাসওয়ার্ড ভুলে গেছে। সকল উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার ওয়েবসাইট খোলা থাকলেও নগরকান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ওয়েবসাইট বন্ধ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল হক বলেন, ওয়েবসাইটে কাজ হচ্ছে না শিক্ষককে প্রোগ্রামার কে ফোন দিতে বলেন। অফিস কে বাসস্থান করার বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।অফিস সুত্রে জানা যায় ১২ ফেব্রুয়ারী বদলী জনিত বিদায় নিবেন এই কর্মকর্তা।
এবিষয় নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাফী বিন কবির বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।