তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসে শালিসি বৈঠক শেষে প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘর ভাংচুর এবং পিটিয়ে ৪ জনকে আহত করা হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ছয়টার দিকে উপজেলার বাঘাইরামপুর গ্রামের আশাদ মিয়ার বাড়িতে।আহতরা হলো, ওমর ফারুক(৩৬),
খলেছ মিয়া(৩৪), রেজাউল করিম(২৩), আশাদ মিয়া(৬৫)।আহত রেজাউল করিম বলেন, বাঘাইরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা মোস্তাক মিয়ার কাছ থেকে দখল মুক্ত করে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য গ্রামবাসী শালিস বৈঠকে বসে। এসময় নাজির মিয়া বলেন, ‘আমরা জায়গা দিলে মোস্তাক স্কুলের জায়গা ছাড়বে তানাহলে স্কুলের জায়গা ছাড়বে না। এতে আমার বাবা আশাদ মিয়া রাজি না হলে বৈঠক শেষে আবুল খায়ের,আবু জাহের,নাজির মিয়া,আলমগীর,মোস্তাক,মুর্শিদ, আবুল হোসেন, কামালসহ আরও ৩০/৪০জন আমাদের ওপর হামলা করে এবং আমাদের ঘর ভাংচুর করে। এসময় আমার বাবাসহ আমরা তিন ভাই আহত হই।’এ বিষয়ে নাজির মিয়া বলেন,মোস্তাক মিয়া স্কুলের জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি তবে তার ক্রয়কৃত জায়গা আশাদ মিয়া জোর পূর্বক দখল করে আছে। ঐ জায়গাটুকু ছেড়ে দিতে বললে, আশাদ মিয়া ও তার ছেলেরা আমার ছেলে জিসানকে মারতে আসে । এ নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শুক্রবার ইফতারের পর মারামারি করে আহত ৪ জন রোগী হাসপাতালে আসে, আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি দিয়েছি।তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, বাঘাইরামপুর গ্রামে মারামারির ঘটনায় শুক্রবার রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং এই ঘটনায় আশাদ মিয়ার পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।