
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসে তিন সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের সাহাবৃদ্ধি গ্রাম থেকে তিন সন্তানের জননীর
লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তাসলিমা আক্তার (৩৪)উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের সাহাবৃদ্ধি গ্রামের ছাদির মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়ার (৪০) স্ত্রী।স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়,উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের
সাহাবৃদ্ধি গ্রামের ছাদির মিয়ার ছেলে সেলিম ও একই গ্রামের সফিক মিয়ার মেয়ে তাসলিমা আক্তার দীর্ঘ ২০ বছর পূর্বে ভালোবেসে বিয়ে করে সংসারে আবদ্ধ হয়।তাদের সংসারে ৩টি পুত্র সন্তান রয়েছে। সংসারে আর্থিক অসচ্ছলতা থাকায় ডালপুরির দোকান চালাতো তাসলিমা।সেলিম মাদকসেবন করতো বলে জানা গেছে। তার স্ত্রী বাধা দিতো, আর এতেই দুজনের মাঝে ঝগড়াঝাটি লেগে যেতো। নিহতের ছোট ছেলে রমজান বলে, “আমার আব্বুয়ে বাবা(ইয়াবা) খাইয়া আইয়া আমার আম্মুরে জ্বালাইতো, কালকে রাতে আব্বুয়ে বাবা ধরাইছে, আম্মু বাধা দেওয়ায় আব্বু আম্মুরে মারধর করছে, পরে আম্মু মানুষের কাছে বিছার দেওয়ার লাইগ্যা ঘরেত্বে বাইর অইয়া গেছে গা,আব্বুও বাইর অইয়া গেছে গা।পরে রাত ১টার দিকে ঘাডাত গিয়া দেহি গাছে মার লাশ ঝুইল্যা রইছে।”সাহাবৃদ্ধি গ্রামের আবুল কাশেম বাবুল ভুইয়া জানান,সেলিম ইয়াবা সেবন করতো, ইয়াবা সেবনকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে। তার সাথে আরো অনেকে ইয়াবা সেবন করতো, সব মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।সাহাবৃদ্ধি গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া জানান, তাসলিমা এবং সেলিম দু’জনেই অনেক কর্মঠ ছিলো।কিন্তু সেলিম ইয়াবার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ায় এ নিয়ে সংসারে ঝগড়াঝাটি লেগে থাকতো। মধ্যরাতে গাছ থেকে তাসলিমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য আজহার খান বলেন, সেলিম মাদক সেবন করতো এটা সবায় জানে,তিনি স্বীকার করে বলেন,সেলিমের সাথে যারা একসাথে ইয়াবা সেবন করতো, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।