কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।।
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সকল সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তার সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্তমুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবীতে কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে গতকাল শুক্রবার (৩১ মার্চ) মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
প্রথম আলো বন্ধুসভা কক্সবাজারের উদ্যোগে আযোজিত মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য দেন, পত্রিকাটির কক্সবাজার আঞ্চলিক অফিস প্রধান আব্দুল কুদ্দুস রানা। বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা সভাপতি ও প্রবীন সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, কক্সবাজার ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আহসান সুমন, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা, কক্সবাজার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, কক্সবাজার রিপোর্টারস ইউনিটির সভাপতি এইচএম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান, চ্যানেল ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি আজিম নিহাদ, বন্ধুসভা কক্সবাজার জেলার শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিয়া আফরিন সাইমা, কক্সবাজার সিটি কলেজ শাখার সভাপতি মারুফ রশিদ নাঈম, কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি শফিকুল মোস্তফা আহিল, সাংস্কৃতিক কর্মী বাঁধন সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাজারে চাল ডাল তেল মাছ মাংস ডিমসহ সবকিছুর দাম বাড়ছে। তাতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে অনেক। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর প্রায়সব দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার খবর সাংবাদিকেরা তুলে ধরলে ক্ষতি কী ? এর জের ধরে কেন সাংবাদিককে গভীর রাতে চোরের মত তুলে নিতে হবে কেন? আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে সরকারকে মুখোমুখি করে কারা সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে-তা ভেবে দেখতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রতিবাদ জানাতে পারেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ ও মামলা করতে পারেন। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কালো আইনে শীর্ষ দৈনিকের সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং রাতের অন্ধকারে সেই পত্রিকার সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনা দেশে আইনের শাসনের পরিপন্থী।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, লুটপাট-দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির খবর প্রকাশ করে সাংবাদিকেরা সরকারকে সহযোগিতা করছেন। আর সেকারণে সরকার যদি উল্টো সাংবাদিকদের কালো আইনে মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়, তা মেনে নেবেনা সাংবাদিক সমাজ। সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকের কন্ঠরোধ, দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা দিয়ে অতীতে কোনো সরকার টিকে থাকার নজির নেই