জসীমউদ্দীন ইতি।।
ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা- মারধর ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার -১১ সেপ্টেম্বর- দুপুরে ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকারের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত অভিযোগটি থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী মোঃ মামুন ইসলাম -১৯- সদর উপজেলার দৌলতপুর সিঙ্গিয়া গ্রামের মোঃ তাজেল এর ছেলে। মামলার এজাহারে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সদরের সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুনাংশ দত্ত টিটো- যমুনা টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি পার্থ সারথী দাস- দেশ টেলিভিশন ও আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি শাকিল আহমেদ- জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর- ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী- ছাত্রলীগ নেতা রয়েল বড়ুয়া- জেলা যুবলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রাজীব পোদ্দার শশী- মুন্সিপাড়ার ফরহাদ- আতাউর রহমান- পূর্ব গোয়ালপাড়ার সিদ্দিক- যুবলীগ নেতা আমির হোসেন রুবেল- আট-গ্যালারি এলাকার জাকারিয়া প্রমানিক- আশ্রম পাড়ার খোকন চৌধুরী- টেংগাঁ বাবু- পশ্চিম মুন্সিপাড়ার বাবুর্চি রানা- শিল্পকলার তনু- আশ্রম পাড়ার মিরাজ ইসলাম- মুন্সিপাড়ার রায়হান ইসলাম- মামুস রানা- ডিসিবস্তি এলাকার সোহাগ ইসলাম- ভুল্লী কুমার এলাকার সরকার আসাদুজ্জামান- শাসলাপিয়ালা এলাকার তাজউদ্দীন- আশ্রমপাড়ার উৎপল গুহ ঠাকুরতা- মুন্সিপাড়ার মিন্টু, রানা ইসলাম- জমি দাস- সুয়েল- বাপ্পি- কলেজপাড়ার ইকবাল- বাপ্পী- দুওসুও ইউনিয়নের নোমান -অভি- শ্রী শচীন বর্মণ এবং ভুল্লীর শাসলাপিয়ালা এলাকার রফিক মিয়া।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে যে- আসামিরা ৪ আগস্ট সকাল ১১টায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিলে লাঠি-সোটা- লোহার রড- ককটেল ও হাত বোমা নিক্ষেপ করে। এতে ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়ে একাধিক ছাত্র ও জনতাকে গুরুতর আহত করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মামুন ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি- এবি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন- ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় মামুন ইসলাম নামে একজন আদালতে মামলা করেছেন বলে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত মামলার কাগজপত্র হাতে পায়নি। কাগজপত্র পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মামলার এই পরিস্থিতি ঠাকুরগাঁওয়ের রাজনৈতিক ও সাংবাদিক মহলে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। মামলার প্রেক্ষাপটে স্থানীয় জনমনে উদ্বেগ ও কৌতূহল বৃদ্ধি পেয়েছে।