
জাহিদুল ইসলাম টাঙ্গাইল
ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের করা মামলায় হাইকোর্টের রায় বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার -১৬ এপ্রিল- দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইল পলিটেকনিক থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের রাবনা বাইপাস এলাকা অবরোধ করে। এসময় মহাসড়কের দুই পাশে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।
এর আগেও টাঙ্গাইল পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। তখন প্রশাসন তাদের আশ্বাস দিলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে।
এদিকে অবরোধের কারণে মহাসড়কের রাবনা বাইপাসের উভয়দিকে ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় শিক্ষার্থীরা।
টাঙ্গাইলে কলেজছাত্র আলীম হত্যায় সহপাঠী নোমান গ্রেপ্তার
পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি হাইকোর্ট ৩০% পদ দিয়ে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নোতির পক্ষে রায় দেয়। ফলে তারা প্রমোশন পেয়ে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হবে। আর এই পদটি হচ্ছে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য। যারা ডিপ্লোমা পাস করে বের হবে তাদের চাকরির শূন্য পদ ৩০% কমে গেল। হাইকোর্টের এমন
টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। হাইকোর্টের রায় বাতিল করতে হবে দ্রুত সময়ের মধ্যে। এছাড়া ৬ দফা যে দাবি ঘোষণা করা হয়েছে সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে।
অবরোধের ফলে মহাসড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও চালকরা।
চালকরা জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে মহাসড়ক বা সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। এতে যে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে সেটা চিন্তা করছে না।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. শরীফ জানান, অবরোধের কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পরে অবরোধ তুলে নেয়ার পর দুপুর আড়াইটা থেকে যান চলাচল শুরু হয়।