Dhaka , Sunday, 16 March 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
সাংবাদিকদের মাঠপর্যায়ে জীবনের ঝুঁকি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ইফতার মাহফিল সম্পন্ন গাজীপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ৬০ বছরের বৃদ্ধ আটক লালমনিরহাটে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ সরকার কর্তৃক এ যাবৎ ৬২০২টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ ঈদ ও স্বাধীনতা দিবস ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই- স্বরাষ্ট্র সচিব সাশ্রয়ী দামে টেকসই ও আধুনিক ফার্নিচার সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান রূপগঞ্জ পূর্বাচল তিনশ ফিটে টংয়ের দোকানে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা পুলিশের নেই নজরদারি কলমাকান্দায় হামদ-নাত ও আজান প্রতিযোগিতা শুরু সদরপুরে বেড়েছে ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজ বীজের আবাদ নোয়াখালীতে সিএনজিতে শিক্ষিকাকে হেনস্তা, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ    রূপগঞ্জে প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির একাংশের পূনরায় সংবাদ সম্মেলন প্রেমের টানে ভারতীয় কিশোরী এবার মেহেরপুরে রাস্তা ভুলে আটকে গেল চোরের দল,পিকআপভ্যান পোড়ালো এলাকাবাসী লালমনিরহাটে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফেরিওয়ালা গ্রেপ্তার  মেহেরপুরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার-১ ভূরুঙ্গামারীর সীমান্তে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ মোটরসাইকেল আটক করেছে পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়কের উদ্যোগে অল্পআয়ের মানুষের  মাঝে ইফতার বিতরণ  টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মিড টার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাতকানিয়ায় ইফতারির দোকানে অভিযান, ৮ হাজার টাকা জরিমানা  রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ রাজশাহীতে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন গণপূর্তের ট্রেসার মনোয়ার পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কাউখালী উপজেলা জাতীয়তাবাদি যুবদলের আলোচনা সভা ও দোয়া ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হাতিয়াতে বিএনপি নেতা শামীমকে প্রত্যাখানের ঘোষণা, কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ প্রভাবশালী কর্তৃক ব্যবসায়ীর বাসা দখলের অভিযোগ কক্সবাজার জেলা সিএনজি, অটোরিক্সা, টেম্পু সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন এর নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান-সম্পন্ন ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত দুর্গাপুর পৌর বিএনপির ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ড শাখার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেতাগী ঢাকাস্থ ফোরামের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় রূপগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ২০ হাজার মানুষ- দূর্ঘটনার আশংকা।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 08:48:54 am, Tuesday, 2 July 2024
  • 41 বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ২০ হাজার মানুষ- দূর্ঘটনার আশংকা।।

ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম।।
  
  
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড় ধস ট্রাজেডি আজও কাঁদায় উপজেলার ইসলামপুর ও দক্ষিণ রাজানগরের মানুষকে। ২০১৭ সালে সংঘটিত পাহাড় ধসে এ দুই ইউনিয়নে মাটিচাপায় মারা গিয়েছিলো
নারী- শিশুসহ ২২ জন মানুষ।
কিন্তু আজও কমেনি পাহাড়ের পাদদেশে মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস। কেবল দুর্ঘটনা ঘটার পর স্থানীয় প্রশাসন কিছুটা তৎপর হয়ে পাহাড়-টিলার পাশে বসবাস না করার জন্য এলাকায় মাইকিং করে প্রচারণা চালিয়ে দায়িত্ব শেষ করলেও পরে চুপসে যায়। নেওয়া হয় না ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের অন্যত্র সরানোর কোন উদ্যোগ।
চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নগরীর মুল সড়কের আশেপাশের পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। অপরদিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পরিবারের জন্য। কিন্তু পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা নেই। এ যেন আরেকটি পাহাড় ধস ট্রাজেডির অপেক্ষা করছে রাঙ্গুনিয়াবাসী।
তবে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কিছু কিছু পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে আসতে মাইকিং করা হলেও প্রশাসন কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন টনক নড়েনি এখনো।  
জানা যায়- রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ৯ হাজার একর ও উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে ১৫ হাজার একর বন ভূমি -পাহাড়- রয়েছে। এসব পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে সাড়ে ৯ হাজার পরিবারের প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষ। সবাই পাহাড় কেটে বসতি গড়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে বসবাস করছে, পৌরসভার ইছাখালীর গুচ্ছগ্রাম- জাকিরাবাদ- কাদের নগর- নোয়াগাঁও সহ উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের কমিউনিটি সেন্টার- জঙ্গল বেতাগী- উত্তর রাঙ্গুনিয়ার ১নং রাজানগরের সুগারমিল এলাকার রিজার্ভ পাড়া- একাই ইউনিয়নের বগাবিলি এলাকার ১নং ওয়ার্ড ও ৩নং ওয়ার্ড- ১৪নং দক্ষিণ রাজানগরের মোহাম্মদপুর, বাইশ্যাের ডেবা, লেলিঙার টিলা, ১৩নং ইসলামপুরের মঘাইছড়ি- রইস্যাবিল- ১৫ নং লালানগরের চাঁদের টিলা- ছনখোলা বিল- পেইট্ট্যাঘোনা- আগুনিয়া চা বাগান, ২নং হোসনাবাদের নিশ্চিন্তাপুর, ফকিরারটিলা- ফুইট্ট্যােগোদা- চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের বনগ্রাম- পোমরা-কোদালা- পারুয়া ইউনিয়নের জঙ্গল পারুয়া, সরফভাটা, শিলক ও পদুয়া ইউনিয়নের একাধিক পাহাড়সহ ৩০-৩৫টি এলাকায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এসব পাহাড়ি এলাকার অধিকাংশই বন বিভাগের রক্ষিত ও সংরক্ষিত বনভূমি। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অভিযোগ- বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালীদের যোগসাজশে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে অবৈধভাবে অসংখ্য বসতঘর গড়ে উঠেছে। যার অধিকাংশ ঘর নির্মাণ করেছে পাহাড় কেটে। আর এসব ঘরে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে কয়েক হাজার পরিবার। আর বর্ষা মৌসুমে এলেই প্রশাসন অনেকটা মাইকিং করে দায়সারাগোছের প্রচার চালায়। কিন্তু ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সরানোর কার্যকরী পদক্ষেপ ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়না। একই সাথে ২০১৭ সালের মতো আরেকটি পাহাড়ধস ট্রাজেডি ঘটার আগেই শুধুমাত্র মাইকিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে কঠোর অভিযান চালিয়ে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান সচেতন মহল। 
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতী রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন- বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরতদের উচ্ছেদ ও নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু বসবাসকারীরা তাতে কর্ণপাত করছে না। উচ্ছেদ করার পরও আবার বসতি গড়ছে। তবে লোকবলের অভাবে রেঞ্জের একার পক্ষে এ কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান মাহবুব বলেন- পাহাড়ে ঝুঁকিতে বাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এছাড়াও পৌর মেয়রসহ উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে স্ব-স্ব ইউনিয়নে মাইকিং করে সতর্ক করতে বলা হয়েছে। চলতি সাপ্তাহে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় কাটাসহ ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে অভিযান চালানো হবে।
উল্লেখ্য- রাঙ্গুনিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের ১৩ জুন। ওই দিন ভোরে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মগাইছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় অকালে ঝরে পড়েছিল দুই পরিবারের ২২ জনের প্রাণ। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকায় পাহাড় কাটার সময় মাটি চাপা পড়ে এক শিশু সহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারী বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২ শতাধিক বসতঘর মাটি চাপা পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পাহাড় ধসে মৃত্যুর এ মিছিল দীর্ঘ হলেও পাহাড় থেকে সরানো যাচ্ছে না বসবাসকারিদের।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

সাংবাদিকদের মাঠপর্যায়ে জীবনের ঝুঁকি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ২০ হাজার মানুষ- দূর্ঘটনার আশংকা।।

আপডেট সময় : 08:48:54 am, Tuesday, 2 July 2024
ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম।।
  
  
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড় ধস ট্রাজেডি আজও কাঁদায় উপজেলার ইসলামপুর ও দক্ষিণ রাজানগরের মানুষকে। ২০১৭ সালে সংঘটিত পাহাড় ধসে এ দুই ইউনিয়নে মাটিচাপায় মারা গিয়েছিলো
নারী- শিশুসহ ২২ জন মানুষ।
কিন্তু আজও কমেনি পাহাড়ের পাদদেশে মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস। কেবল দুর্ঘটনা ঘটার পর স্থানীয় প্রশাসন কিছুটা তৎপর হয়ে পাহাড়-টিলার পাশে বসবাস না করার জন্য এলাকায় মাইকিং করে প্রচারণা চালিয়ে দায়িত্ব শেষ করলেও পরে চুপসে যায়। নেওয়া হয় না ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের অন্যত্র সরানোর কোন উদ্যোগ।
চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নগরীর মুল সড়কের আশেপাশের পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। অপরদিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পরিবারের জন্য। কিন্তু পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা নেই। এ যেন আরেকটি পাহাড় ধস ট্রাজেডির অপেক্ষা করছে রাঙ্গুনিয়াবাসী।
তবে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কিছু কিছু পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে আসতে মাইকিং করা হলেও প্রশাসন কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন টনক নড়েনি এখনো।  
জানা যায়- রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ৯ হাজার একর ও উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে ১৫ হাজার একর বন ভূমি -পাহাড়- রয়েছে। এসব পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে সাড়ে ৯ হাজার পরিবারের প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষ। সবাই পাহাড় কেটে বসতি গড়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে বসবাস করছে, পৌরসভার ইছাখালীর গুচ্ছগ্রাম- জাকিরাবাদ- কাদের নগর- নোয়াগাঁও সহ উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের কমিউনিটি সেন্টার- জঙ্গল বেতাগী- উত্তর রাঙ্গুনিয়ার ১নং রাজানগরের সুগারমিল এলাকার রিজার্ভ পাড়া- একাই ইউনিয়নের বগাবিলি এলাকার ১নং ওয়ার্ড ও ৩নং ওয়ার্ড- ১৪নং দক্ষিণ রাজানগরের মোহাম্মদপুর, বাইশ্যাের ডেবা, লেলিঙার টিলা, ১৩নং ইসলামপুরের মঘাইছড়ি- রইস্যাবিল- ১৫ নং লালানগরের চাঁদের টিলা- ছনখোলা বিল- পেইট্ট্যাঘোনা- আগুনিয়া চা বাগান, ২নং হোসনাবাদের নিশ্চিন্তাপুর, ফকিরারটিলা- ফুইট্ট্যােগোদা- চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের বনগ্রাম- পোমরা-কোদালা- পারুয়া ইউনিয়নের জঙ্গল পারুয়া, সরফভাটা, শিলক ও পদুয়া ইউনিয়নের একাধিক পাহাড়সহ ৩০-৩৫টি এলাকায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এসব পাহাড়ি এলাকার অধিকাংশই বন বিভাগের রক্ষিত ও সংরক্ষিত বনভূমি। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অভিযোগ- বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালীদের যোগসাজশে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে অবৈধভাবে অসংখ্য বসতঘর গড়ে উঠেছে। যার অধিকাংশ ঘর নির্মাণ করেছে পাহাড় কেটে। আর এসব ঘরে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে কয়েক হাজার পরিবার। আর বর্ষা মৌসুমে এলেই প্রশাসন অনেকটা মাইকিং করে দায়সারাগোছের প্রচার চালায়। কিন্তু ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সরানোর কার্যকরী পদক্ষেপ ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়না। একই সাথে ২০১৭ সালের মতো আরেকটি পাহাড়ধস ট্রাজেডি ঘটার আগেই শুধুমাত্র মাইকিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে কঠোর অভিযান চালিয়ে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান সচেতন মহল। 
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতী রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন- বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরতদের উচ্ছেদ ও নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু বসবাসকারীরা তাতে কর্ণপাত করছে না। উচ্ছেদ করার পরও আবার বসতি গড়ছে। তবে লোকবলের অভাবে রেঞ্জের একার পক্ষে এ কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান মাহবুব বলেন- পাহাড়ে ঝুঁকিতে বাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এছাড়াও পৌর মেয়রসহ উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে স্ব-স্ব ইউনিয়নে মাইকিং করে সতর্ক করতে বলা হয়েছে। চলতি সাপ্তাহে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় কাটাসহ ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে অভিযান চালানো হবে।
উল্লেখ্য- রাঙ্গুনিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের ১৩ জুন। ওই দিন ভোরে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মগাইছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় অকালে ঝরে পড়েছিল দুই পরিবারের ২২ জনের প্রাণ। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকায় পাহাড় কাটার সময় মাটি চাপা পড়ে এক শিশু সহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারী বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২ শতাধিক বসতঘর মাটি চাপা পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পাহাড় ধসে মৃত্যুর এ মিছিল দীর্ঘ হলেও পাহাড় থেকে সরানো যাচ্ছে না বসবাসকারিদের।