কক্সবাজার প্রতিনিধি।।
কক্সবাজার জেলার রামুর হযরত শাহজালাল (র) চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক ও চেয়ারম্যান’র বিরুদ্ধে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ওই পরিচালক তাফহিমুল হোসাইন তুহিন টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার দক্ষিণ পাড়ার লোকের পাড়া এলাকার মনিরুজ্জামান তালুকদার ও রিনা বেগম’র পুত্র।
উল্লেখ্য যে চক্ষু হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার নামে প্রায় ১- ২ হাজার রোগীর চোখের চানি অপারেশন নাম মাত্র ভর্তি করে কয়েক লক্ষাধিক টাকা ক্যাশ কাউন্টারে জমা করে। কিন্তু উক্ত রোগীর কোন অপারেশন না করে সময়ক্ষেপণ করে হাসপাতাল বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
তাছাড়া ওই চক্ষু হাসপাতালে প্রায় ৭৫ জন কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা জামানত বাবদ নেন পরিচালক তুহিন।
নিয়োগকৃত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর জুলাই’২০২৪ ও আগষ্ট মাসের বেতন বকেয়া রেখে জামানতের টাকা ও ভর্তিকৃত রোগীদের টাকা নিয়ে চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক ও চেয়ারম্যান রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী রোগীরা জানান, চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক ও চেয়ারম্যান স্বামী-স্ত্রী। তারা ২জন ধান্দাবাজ ও প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। সহজসরল জনসাধারণকে প্রলোভনে পেলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এ ধরণের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে নিরবে।
ওই হাসপাতালের কর্মকর্তা -কর্মচারীরা জানান-
নামধারী হযরত শাহজালাল (র) চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক তুহিন ও চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার রোগীর চোখের চানি অপারেশনের টাকা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জামানতের টাকা এবং বকেয়া দু’মাসের বেতন পাইনি। হাসপাতালের নাম দিয়ে আসবাবপত্র ও অন্যন্য সরঞ্জাম বিভিন্ন দোকান থেকে বাকীতে ক্রয় করে।
তারা আরো জানান রামু চক্ষু হাসপাতালের মাসিক ভাড়া, কক্সবাজার জেলায় ৬ উপজেলায় নেওয়া ব্রাঞ্চ অফিস ভাড়া বকেয়া- ব্যবহারকৃত গাড়ীর ভাড়া পরিশোধ না করে পালিয়ে যায়।
ওই হাসপাতালে পরিচালক ও চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করে চক্ষু হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ জামানতের টাকা ও বকেয়া বেতন আদায়ের জন্য কক্সবাজার জেলার রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত পরিচালক ও চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।