মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
লক্ষ্মীপুরেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ওসমান গণির -২৬- লাস ১ মাস পর কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার -০২ সেপ্টেম্বর- দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে লক্ষ্মীপুর চিপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের -সদর- বিচারকের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ তোলা হয়। এ সময় রায়পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার -ভূমি- ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদ আরমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে শহরে গুলিতে নিহত হন ওসমান গণি। ওই দিনই রায়পুর উপজেলার বাসাবাড়ি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ওসমান গণি ওই গ্রামের মো. আব্দুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়- ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে চার শিক্ষার্থী নিহত হন। তারমধ্যে ওসমান-সাব্বির হত্যার ঘটনায় ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। ১৪ আগস্ট অপর নিহত সাব্বিরের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় সম্মিলিত এজাহার দায়ের করেন।
রায়পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদ আরমান সাংবাদিকদের জানান- বিচারিক আদালতের নির্দেশে শহীদ ওসমান গণির মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আমাদের উপস্থিতিতে তাকে কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হবে।