
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসের দুই ইউনিয়নে দুই লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।জানা যায়,তিতাসে নিজের বাড়িতে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধা জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের শোলাকান্দি গ্রামে।নিহত বৃদ্ধা মিনরা বেগম শোলাকান্দি গ্রামের তারা মিয়া ব্যাপারীর স্ত্রী।বৃদ্ধাকে জবাই করে হত্যার খবর শুনে জেলা পিবিআই, সিআইডি টিম ও তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছেন এবং রহস্য উদঘাটনে মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অপর দিকে তিতাসের ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামে মাছের প্রজেক্টকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।পরিবারের অভিযোগ পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদের সামনেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।নিহত জহিরুল ইসলাম (জহির) ভিটিকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ সমর্থিত সাবেক মেম্বার সাইফুল এবং সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লার সমর্থকদের দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে একটি মাছের প্রজেক্টটে মাছ ধরতে যায় সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলামের ছেলে ও তার লোকজন। বিষয়টিতে বাধা দেয় জহির।এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে। এমন সময় সাইফুল মেম্বারসহ তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদের সামনে থেকে যুবলীগ নেতা জহিরকে তুলে নিয়ে বাড়ীর গেইট তালা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় ফেলে চলে যায়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের এসআই মো. মাহমুদুর রহমানসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৬/৭জন আহত হন।
জহিরকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা সাইফুল মেম্বারের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে রয়েছে বলে দেখা গেছে।দু’টি হত্যাকান্ডের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে।