সাইফ ইব্রাহিম
ইবি প্রতিনিধি।।
আওয়ামী সরকারের পতনের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের -ইবি- উপাচার্য হতে তোড়জোড় শুরু করেছেন প্রার্থীরা। ইবির ১৪তম উপাচার্য হতে এখন পর্যন্ত ৭ জন শিক্ষকের নাম আলোচনায় এসেছে। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মতিনুর রহমান- ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমান- হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানূর রহমান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নজিবুল হক- আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন এবং আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী। ক্যাম্পাসে এসব প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের সমালোচনায় উঠে আসছে তাদের অতীত কর্মকাণ্ড। কিছু কিছু প্রার্থীর বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ।
জানা গেছে- উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে থাকা সকলে বিএনপিপন্থি শিক্ষক সংগঠনের সদস্য। এদের মধ্যে কিছু কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজ দলের মধ্যে ভাঙন, মদ পান করে উলঙ্গ অবস্থায় মাতলামি, নারী কেলেঙ্কারি- আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামীপন্থি শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা রেখে সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ- কপি-পেস্ট করে বই ছাপানো, ভুয়া পিএইচডি করানো ও অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে নিয়োগ বাণিজ্য ও নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এমন শিক্ষকদের বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে চান না শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা জানান- নিয়োগ বাণিজ্য- নারী কেলেঙ্কারি- অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এমন কাউকে আমরা ইবির উপাচার্য হিসেবে চাই না। ক্লিন ইমেজের একজন শিক্ষককে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হোক। আর দলীয় ও রাজনৈতিক পরিচয় নয় বরং শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ও প্রশাসনিক দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষককে আমরা উপাচার্য হিসেবে প্রত্যাশা করি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন- অবশ্যই দক্ষতা সম্পন্ন ক্লিন ইমেজের একজন শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। যিনি শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষাকে বুঝতে পারবেন এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবেন। আর উপাচার্য হোক শিক্ষার্থীদের জন্য- যেন কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী না হয়।