Dhaka , Friday, 20 September 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
হাটহাজারিতে যানযট নিরসনে অভিযান।। বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের উদ্যোগে সাগর -রুনি হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন।। নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা।। রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ও দোকানে হামলা ভাংচুর- লুটপাট।। ঈদগাঁও ধলেশ্বরী নদীতে দেশীয় পোনা অবমুক্ত।। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির স্মারকলিপি প্রদান।। যেকোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা জানিয়েছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম।। দুর্গাপুরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে এডভোকেসী সভা।। দেবহাটায় আইবিডব্লিউএফ’র ব্যবসায়ী সমাবেশ।। দেবহাটায় সিভিএ প্রক্রিয়াগুলির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ সভা।। লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি।। মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে নাগরপুরে উপজেলা বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলন।। এ্যাডভোকেট তৌহিদ বকুলনেছা মহিলা কলেজের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় বিএমএসএস এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।। চমক দেখালেন জেলা প্রশাসক- মরকখোলার মরা খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান।। শান্তিপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া ঠিক হবে না- মির্জা ফখরুল।। ঠাকুরগাঁওয়ে বিএডিসি’র কোটি টাকার টেন্ডারের গোপন তথ্য ফাঁস হতাশ অন্য ঠিকাদাররা।। সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা: অন্তবর্তীকালীন সরকারকে পুন- বিবেচনা করতে বললেন ফখরুল।। চাঁপাইনবাবগঞ্জে গুম হওয়া আরিফ কে ফিরে পেতে এলকাবাসীর মানববন্ধন।। রংপুর মহানগর আ’লীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডলের ৭ দিনের রিমান্ডে।। চাঁপাইনববাগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন হুজরাপুর কাজিপড়া এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১০ কেজি ৭০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার।। পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫৯০ গ্রাম হেরোইন এবং ০১টি ওয়ানশুটার গান উদ্ধার।। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপচার্য অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম।। আন্দোলনে শহীদদের মামলা নিয়ে ব্যবসা চলছে সারজিস আলম।। ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে ৪৮ জন শিক্ষক সংবর্ধিত।। রাজাপুরে ঘর ভাংচুর ও চাদা দাবীর অভিযোগে উপজেলা বিএনপি সভাপতিসহ ১৪ জনের নামে মামলা।।  ঝালকাঠিতে সেনাবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণা যুবক গ্রেপ্তার।। প্লাজমা সোসাইটি ইন মাটিয়াল এর উদ্যোগে ফ্রি ব্লাড ক্যাম্পেইন কর্মসূচি।। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মানববন্ধন।। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলাকারি যুবলীগ নেতা সাদ্দাম গ্রেফতার।। নানা অনিয়মের অভিযোগ চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে।।

আবারও সিলেটে বন্যায় চোখ রাঙাচ্ছে- তলিয়ে যাচ্ছে শত শত গ্রাম।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:45:55 pm, Thursday, 22 August 2024
  • 8 বার পড়া হয়েছে

আবারও সিলেটে বন্যায় চোখ রাঙাচ্ছে- তলিয়ে যাচ্ছে শত শত গ্রাম।।

আবুল কাশেম রুমন- সিলেট।।

 

গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাসিদে সিলেটে বন্যায় আবারও নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে। প্রতিদিন বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে শত শত গ্রাম। বাড়ছে সিলেটে বিভাগের সব কয়েকটি নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল।
সিলেটে বৃস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘন্টায় ৬৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগের ২৪ ঘন্টার তুলনায় বৃষ্টি কমলেও বাড়ছে সিলেটের বিভিন্ন পয়েন্টের নদ-নদীর পানি। এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর তিন পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।

এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট- অমলশিদ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। তবে অন্য কোনো নদ-নদীর পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর  ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার।
কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি বিপদসীমার ১৫ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ৮ দশমিক ৫৮ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। সে সব পয়েন্টে আর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়া বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে কুশিয়ারা নদীর শেওলা, সুরমা নদীর সিলেট ও কানাইঘাট পয়েন্ট। বৃষ্টি না কমলে আজকের মধ্যে এসব পয়েন্ট বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটে বৃষ্টিপাত কমে এলেও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। সিলেটের বৃষ্টিপাতের ওপর এই অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নির্ভর করে না। মূলত ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, চলতি সময়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার পর্যন্ত সিলেটসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে হালকা  থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ইতিমধ্যে  দেশের মধ্যাঞ্চল ও আশপাশ এলাকায় অবস্থান করছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপসহকারী আবহাওয়াবিদ অমর চন্দ্র তালুকদার বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে এসেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হলে অতি ভারী বৃষ্টিপাত ধরা হয়। আবার ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে ভারী বৃষ্টিপাত ধরা হয়।
 মৌলভীবাজার তলিয়ে গেছে শতাধিক গ্রাম-
টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে আসা ঢলে মৌলভীবাজার জেলার ৫টি নদ-নদীর পানি বিপদসামীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদী, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে জেলা সদর, রাজনগর, কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া, জুড়ী এবং বড়লেখা উপজেলায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে হাজার-হাজার ঘরবাড়ি। কয়েক দিনের টানা বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল এবং উজান থেকে নেমে আসা পানিতে জেলার সবকটি নদ-নদীতে পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে মৌলভীবাজারের পাউবো। সংশ্লিষ্টরা জানান, টানা বর্ষণে মনু ও ধলাই নদীর অন্তত পাঁচটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

  
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, জেলার মনু নদী -রেলওয়ে ব্রিজ- বিপদসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার চাঁদনীঘাট এলাকায় ৭০ সেন্টিমিটার- ধলাই নদীতে ৮  সেন্টিমিটার ও জুড়ী নদীতে বিপদসীমার ১৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানিও বিপদসীমা স্পর্শ করেছে। বন্যা কবলিত মানুষরা বলছেন- স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও প্রশাসন মাঠে না থাকায় বিগত বন্যার মতো তারা সহযোগিতা পাচ্ছেন না। অনেক নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারছেন না। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন  বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন- ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আটটি স্থান দিয়ে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মনু নদীরও বাঁধও ভেঙে গেছে। ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি হওয়াতে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে। এছাড়া যে সব স্থানে বাঁধ ভেঙেছে সেগুলোতে কাজ চলছে বলে তিনি জানান। এদিকে সিলেট বিভাগ জুড়ে সময় যথ গড়াচ্ছে তাতে বন্যার পানি বাড়তেছে তীব্র গতিতে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

হাটহাজারিতে যানযট নিরসনে অভিযান।।

আবারও সিলেটে বন্যায় চোখ রাঙাচ্ছে- তলিয়ে যাচ্ছে শত শত গ্রাম।।

আপডেট সময় : 12:45:55 pm, Thursday, 22 August 2024

আবুল কাশেম রুমন- সিলেট।।

 

গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাসিদে সিলেটে বন্যায় আবারও নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে। প্রতিদিন বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে শত শত গ্রাম। বাড়ছে সিলেটে বিভাগের সব কয়েকটি নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল।
সিলেটে বৃস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘন্টায় ৬৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগের ২৪ ঘন্টার তুলনায় বৃষ্টি কমলেও বাড়ছে সিলেটের বিভিন্ন পয়েন্টের নদ-নদীর পানি। এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর তিন পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।

এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট- অমলশিদ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। তবে অন্য কোনো নদ-নদীর পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর  ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার।
কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি বিপদসীমার ১৫ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ৮ দশমিক ৫৮ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। সে সব পয়েন্টে আর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়া বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে কুশিয়ারা নদীর শেওলা, সুরমা নদীর সিলেট ও কানাইঘাট পয়েন্ট। বৃষ্টি না কমলে আজকের মধ্যে এসব পয়েন্ট বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটে বৃষ্টিপাত কমে এলেও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। সিলেটের বৃষ্টিপাতের ওপর এই অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নির্ভর করে না। মূলত ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, চলতি সময়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার পর্যন্ত সিলেটসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে হালকা  থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ইতিমধ্যে  দেশের মধ্যাঞ্চল ও আশপাশ এলাকায় অবস্থান করছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপসহকারী আবহাওয়াবিদ অমর চন্দ্র তালুকদার বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে এসেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হলে অতি ভারী বৃষ্টিপাত ধরা হয়। আবার ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে ভারী বৃষ্টিপাত ধরা হয়।
 মৌলভীবাজার তলিয়ে গেছে শতাধিক গ্রাম-
টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে আসা ঢলে মৌলভীবাজার জেলার ৫টি নদ-নদীর পানি বিপদসামীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদী, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে জেলা সদর, রাজনগর, কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া, জুড়ী এবং বড়লেখা উপজেলায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে হাজার-হাজার ঘরবাড়ি। কয়েক দিনের টানা বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল এবং উজান থেকে নেমে আসা পানিতে জেলার সবকটি নদ-নদীতে পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে মৌলভীবাজারের পাউবো। সংশ্লিষ্টরা জানান, টানা বর্ষণে মনু ও ধলাই নদীর অন্তত পাঁচটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

  
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, জেলার মনু নদী -রেলওয়ে ব্রিজ- বিপদসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার চাঁদনীঘাট এলাকায় ৭০ সেন্টিমিটার- ধলাই নদীতে ৮  সেন্টিমিটার ও জুড়ী নদীতে বিপদসীমার ১৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানিও বিপদসীমা স্পর্শ করেছে। বন্যা কবলিত মানুষরা বলছেন- স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও প্রশাসন মাঠে না থাকায় বিগত বন্যার মতো তারা সহযোগিতা পাচ্ছেন না। অনেক নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারছেন না। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন  বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন- ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আটটি স্থান দিয়ে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মনু নদীরও বাঁধও ভেঙে গেছে। ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি হওয়াতে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে। এছাড়া যে সব স্থানে বাঁধ ভেঙেছে সেগুলোতে কাজ চলছে বলে তিনি জানান। এদিকে সিলেট বিভাগ জুড়ে সময় যথ গড়াচ্ছে তাতে বন্যার পানি বাড়তেছে তীব্র গতিতে।