Dhaka , Tuesday, 1 July 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
আশুলিয়ায় এম এ মতিন ও তার স্ত্রী’র গ্রে’প্তারে’র দা’বি’তে মা’নবব’ন্ধন রাজাপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের উপহার সামগ্রী বিতরণ সরাইলে বা’ল্যবি’বাহ প্র’তিরো’ধ বিষয়ক আলোচনা সভা ইবি লালমনিরহাট ছাত্রক’ল্যাণ সমিতির নেতৃ’ত্বে মাহিউল-রবি দুর্গাপুরে ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন মেডিঃ কলেজ ও হাস’পাতা’লের ই’ন্টার্নী চি’কিৎস’ক প’রিষ’দের আ’হবা’য়ক কমিটি গঠিত নরসিংদীতে ডিস ব্যবসায়ীকে গু’লি করে  হ’ত্যা রূপগঞ্জের পূর্বাচলে জ’বাই’কৃত ৫টি ঘোড়া উ’দ্ধা’র, একজন আ’টক রূপগঞ্জে সেনাবাহিনীর ভু’য়া মে’জর গ্রে’প্তার অ’পরা’ধের ঘ’টনা’য় আ’ইনশৃ’ঙ্খলা বাহিনী যথাসম্ভব দ্রুত ব্য’বস্থা নিচ্ছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রূপগঞ্জে পি’স্তলে’র গু’লিস’হ ছাত্রদল নে’তা গ্রে’প্তার নোয়াখালীতে ১০ বছরের সা’জাপ্রা’প্ত প’লাত’ক আ’সামি গ্রে’প্তার দী’র্ঘদিনের অ’স্থা’য়ী ২৯৫ জনকে যা’চাই করে স্থায়ী করলেন মেয়র শাহাদাত সাভারের আশুলিয়ায় একদিনে ঘ’টে গেছে তিনটি ভ’য়াব’হ স’ন্ত্রা’সী ঘ’টনা সাবেক মন্ত্রীর চার আ’ত্মীয়ের বি’রু’দ্ধে ভু’য়া সনদে চা’করি করার অ’ভিযো’গ লালমনিরহাট জেলা পুলিশের বৃ’ক্ষরো’পণ কর্মসূচি লালমনিরহাটে পুলিশের অ’ভিযা’নে মা’দক ও মোটরসাইকেল জ’ব্দসহ গ্রে’প্তার ২ বাবুই ছানা হ’ত্যাকা’ণ্ডে মা’মলা’র তিন ঘণ্টার মধ্যে গা’ছকা’টার মূল আ’সামী গ্রে’প্তার কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীতে নি’খোঁ’জের ৩ দিন পর ক’বরস্থা’ন থেকে না’রীর মর’দেহ উ’দ্ধার শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত বা’স্তবায়’নের দা’বিতে গোলটেবিল বৈ’ঠক পাইকগাছায় উ’ন্মু’ক্ত লটারির মাধ্যমে এলসিএস ক’র্মী নি’র্ধার’ণ  প্রে’মের কারণে বাংলাদেশে আসলেন ভারতীয় আরিয়ান এরপর…আ’টক নি’খোঁ’জ এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহিরা সাভার থেকে উ’দ্ধা’র বাবুই ছানা হ’ত্যাকা’ণ্ডে ঝালকাঠিতে দু’টি মা’মলা অ’সহা’য় শতাধিক প্রা’ণের মৃ’ত্যু, গ্রে’ফতা’রের প্র’ক্রিয়া চলমান ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতিকে ইউপি চেয়ারম্যান চাঁ’দা না দেওয়ায় প’রিষ’দে আ’টদিন ধ’রে তা’লাব’দ্ধ, সেবা থেকে ব’ঞ্চিত হাজারো মানুষ বা’য়ুদূষ’ণ নি’য়ন্ত্র’ণে ও চীনা বিশেষজ্ঞদের সাথে পরিবেশ উপদেষ্টার বৈ’ঠক সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পু’লিশে’র বিশেষে অ’ভিযা’নে নিয়মিত ও পরো’য়া’নাভু’ক্ত আ’সা’মিস’হ গ্রে’ফতা’র-৩ স’মকামি’তা ও হ’য়রা’নির অ’ভিযো’গে হাফিজুল ইসলাম অ’পসা’রিত পাইকগাছায় দিনব্যা’পী পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর সাইমুম সাজিদের বাড়িতে হা’ম’লা, ভা’ঙচু’র ও লু’টপা’ট

জগন্নাথপুরে সমিল, কাঠ ও ফার্ণিচার ব্যবসায়ীদের দুর্দিন

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 10:39:46 pm, Thursday, 10 March 2022
  • 171 বার পড়া হয়েছে

জগন্নাথপুরে সমিল, কাঠ ও ফার্ণিচার ব্যবসায়ীদের দুর্দিন

 

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দেশের নামকরা বিভিন্ন কোম্পানীর তৈরি ও স্টিলের ফার্ণিচার মাল বাজার দখল করে নিয়েছে। যে কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে সমিল, কাঠ ও ফার্ণিচার ব্যবসায়ীদের দুর্দিন চলছে। এর মধ্যে অনেকে লোকসান গুণতে গুণতে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। বাকিরা নিজেদের দীর্ঘদিনের সুনাম ধরে রাখতে গিয়ে কোন রকমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিযোগিতার বাজারে ঠিকে থাকতে গিয়ে স্থানীয় কমদামি কাঠ মালের কদর বেড়েছে। আগের মতো বিভিন্ন দেশ থেকে সেগুন, চামল সহ দামি গাছের গোল বা কাঠ আমদানি করা হয় না। কারণ অধিকাংশ ক্রেতারা এখন আর দামি ফার্ণিচার কিনতে চান না। ক্রেতারা এখন বিভিন্ন কোম্পানীর তৈরি করা ও স্টিলের ফার্ণিচারের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। তাই প্রতিযোগিতার বাজারে ঠিকে থাকতে গিয়ে কমদামি কাঠ মাল দিয়ে ফার্ণিচার বানানো হয়ে থাকে।
সরেজমিনে জগন্নাথপুর পৌর শহরের নামকরা লাকি সমিলের মালিক মনোরঞ্জন চন্দ সবুজ সহ অনেক সমিল ব্যবসায়ীরা জানান, সমিল ব্যবসায়ী, কাঠ ব্যবসায়ী, ফার্ণিচার ব্যবসায়ী ও গাছ সংগ্রহকারী ব্যবসায়ীরা এক সুতায় গাঁথা। এক সময় জগন্নাথপুরে ব্যবসা ভালো ছিল। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হতো সেগুন, চামল সহ দামি গাছের গোল বা কাঠ। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে বাজার দখলে নিয়েছে বিভিন্ন কোম্পানীর তৈরি করা ফার্ণিচার। এর পর থেকে আমাদের ব্যবসার দুর্দিন চলছে। তারা আরো জানান, জগন্নাথপুর উপজেলায় প্রায় ১৫ থেকে ২০টি সমিল আছে। এর মধ্যে কয়েকটি সমিল লোকসান গুণতে গুণতে বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা কোন রকমে ঠিকে আছি। প্রতিযোগিতার বাজারে ঠিকে থাকতে গিয়ে স্থানীয় আম, কদম, রেন্ট্রি সহ বিভিন্ন কমদামি কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন আর জগন্নাথপুরে সেগুন সহ দামি কাঠ আমদানি করা হয় না।
কাঠ ব্যবসায়ী শ্রীবাস দাস সহ অনেকে জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে কাঠের ব্যবসা একেবারেই মন্দা হয়ে গেছে। দামি কাঠ আমদানি করা তো দুরের কথা, কমদামি কাঠই বিক্রি হচ্ছে না। এখন শুধু দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সুনাম ধরে রাখতে কোন রকমে ব্যবসা করছি।
ফার্ণিচার ব্যবসায়ী হেলিম মিয়া সহ অনেকে জানান, এখন রেডি মালে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। তাদের সাথে ঠিকে থাকতে গিয়ে বাধ্য হয়ে কমদামি কাঠ দিয়ে ফার্ণিচার বানাতে হচ্ছে। গাছ ব্যবসায়ী আবদুল মুকিত সহ অনেকে বলেন, আমরা বিভিন্ন গ্রামে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাছ কিনে সমিলে দেই। সমিল থেকে কাঠ বানিয়ে অথবা গোলে বিক্রি করা হয়। তারা আরো জানান, এখন বিদেশি দামি গাছ বা কাঠ আনার প্রয়োজন নেই। কারণ স্থানীয় গাছের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এক সময় যে গাছ দিয়ে মানুষ লাকড়ি বানাতো, এখন সেই গাছ দিয়ে কাঠ হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

আশুলিয়ায় এম এ মতিন ও তার স্ত্রী’র গ্রে’প্তারে’র দা’বি’তে মা’নবব’ন্ধন

জগন্নাথপুরে সমিল, কাঠ ও ফার্ণিচার ব্যবসায়ীদের দুর্দিন

আপডেট সময় : 10:39:46 pm, Thursday, 10 March 2022

 

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দেশের নামকরা বিভিন্ন কোম্পানীর তৈরি ও স্টিলের ফার্ণিচার মাল বাজার দখল করে নিয়েছে। যে কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে সমিল, কাঠ ও ফার্ণিচার ব্যবসায়ীদের দুর্দিন চলছে। এর মধ্যে অনেকে লোকসান গুণতে গুণতে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। বাকিরা নিজেদের দীর্ঘদিনের সুনাম ধরে রাখতে গিয়ে কোন রকমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিযোগিতার বাজারে ঠিকে থাকতে গিয়ে স্থানীয় কমদামি কাঠ মালের কদর বেড়েছে। আগের মতো বিভিন্ন দেশ থেকে সেগুন, চামল সহ দামি গাছের গোল বা কাঠ আমদানি করা হয় না। কারণ অধিকাংশ ক্রেতারা এখন আর দামি ফার্ণিচার কিনতে চান না। ক্রেতারা এখন বিভিন্ন কোম্পানীর তৈরি করা ও স্টিলের ফার্ণিচারের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। তাই প্রতিযোগিতার বাজারে ঠিকে থাকতে গিয়ে কমদামি কাঠ মাল দিয়ে ফার্ণিচার বানানো হয়ে থাকে।
সরেজমিনে জগন্নাথপুর পৌর শহরের নামকরা লাকি সমিলের মালিক মনোরঞ্জন চন্দ সবুজ সহ অনেক সমিল ব্যবসায়ীরা জানান, সমিল ব্যবসায়ী, কাঠ ব্যবসায়ী, ফার্ণিচার ব্যবসায়ী ও গাছ সংগ্রহকারী ব্যবসায়ীরা এক সুতায় গাঁথা। এক সময় জগন্নাথপুরে ব্যবসা ভালো ছিল। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হতো সেগুন, চামল সহ দামি গাছের গোল বা কাঠ। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে বাজার দখলে নিয়েছে বিভিন্ন কোম্পানীর তৈরি করা ফার্ণিচার। এর পর থেকে আমাদের ব্যবসার দুর্দিন চলছে। তারা আরো জানান, জগন্নাথপুর উপজেলায় প্রায় ১৫ থেকে ২০টি সমিল আছে। এর মধ্যে কয়েকটি সমিল লোকসান গুণতে গুণতে বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা কোন রকমে ঠিকে আছি। প্রতিযোগিতার বাজারে ঠিকে থাকতে গিয়ে স্থানীয় আম, কদম, রেন্ট্রি সহ বিভিন্ন কমদামি কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন আর জগন্নাথপুরে সেগুন সহ দামি কাঠ আমদানি করা হয় না।
কাঠ ব্যবসায়ী শ্রীবাস দাস সহ অনেকে জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে কাঠের ব্যবসা একেবারেই মন্দা হয়ে গেছে। দামি কাঠ আমদানি করা তো দুরের কথা, কমদামি কাঠই বিক্রি হচ্ছে না। এখন শুধু দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সুনাম ধরে রাখতে কোন রকমে ব্যবসা করছি।
ফার্ণিচার ব্যবসায়ী হেলিম মিয়া সহ অনেকে জানান, এখন রেডি মালে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। তাদের সাথে ঠিকে থাকতে গিয়ে বাধ্য হয়ে কমদামি কাঠ দিয়ে ফার্ণিচার বানাতে হচ্ছে। গাছ ব্যবসায়ী আবদুল মুকিত সহ অনেকে বলেন, আমরা বিভিন্ন গ্রামে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাছ কিনে সমিলে দেই। সমিল থেকে কাঠ বানিয়ে অথবা গোলে বিক্রি করা হয়। তারা আরো জানান, এখন বিদেশি দামি গাছ বা কাঠ আনার প্রয়োজন নেই। কারণ স্থানীয় গাছের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এক সময় যে গাছ দিয়ে মানুষ লাকড়ি বানাতো, এখন সেই গাছ দিয়ে কাঠ হচ্ছে।