
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানার দনিয়ায় অবস্থিত বর্ণমালা আদর্শ স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওয়াহেদুজ্জামান সিজুর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছচারিতা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ৫ আগস্টের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কলেজের অধ্যক্ষ পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার পর ওয়াহেদুজ্জামান সিজুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে বসানো হয়।
সাধারণ শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘ প্রায় এক বছর ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একক সিদ্ধান্তে যা খুশি তাই করা শুরু করেন। চলতি বছর মাঝামাঝি সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে গভর্নিং বডি নিয়োগ দেয়া হলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কমিটিকে পাশ কাটিয়ে ক্রমে স্বৈরাচার হয়ে ওঠেন। কমিটির সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে তিনি বিধিবর্হিভূতভাবে তার সব অপকর্মের সহযোগি হিসাবে আব্দুল বারীকে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়ে একক রাজত্ব কায়েম করা শুরু করেন। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে আপত্তি জানানোর পরও আব্দুল বারীকে উপাধ্যক্ষ পদে বহাল রাখেন। শুধু তাই নয়, তিনি স্কুলে বিভিন্ন নিজস্ব একটা সিন্ডিকেট করে যারা তাকে এ পদে বসিয়েছে উল্টো তাদেরকেই নানাভাবে হয়রানি করেন। একজন শিক্ষক বলেন, যোগ্যতা না থাকার পরেও ৯ জনকে সিনিয়রকে টপকে সিজু অধ্যক্ষের পদ পেয়ে স্বৈাচারার হয়ে উঠেছে। উপাধ্যক্ষ বারীকে ব্যবহার করে তিনি শিক্ষকদের নানাভাবে নাজেহাল করেন। আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের আপন করে নিয়ে নিজে যে একসময় আওয়ামী লীগ করতেন তার প্রমান দিচ্ছেন। ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি মনিরুল হক মনু এবং হাবিবুর রহমান মোল্লার সাথে তার এবং তার পরিবারের ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘ দিনের। কথায় কথায় তিনি শিক্ষকদের মব সৃষ্টির মিথ্যা অভিযোগ দেয়ার ভয় দেখান। অথচ তিনি নিজে এক সময় মব সৃষ্টি করেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। সরকারি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসাবে স্কুল বাবদ তিনি যে ভাড়া পান তার সিংহভাগই নিজে পকেটে ভরেন। অস্টম ও দশম শ্রেণির কোচিংয়ের নামে নতুন বাণিজ্য করে সম্প্রতি সাড়ে ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আরও অনেক দুর্নীতির প্রমান দিয়ে ইতোমধ্যে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে স্থানীয় এনসিপি নেতৃবৃন্দ। গভর্নিং বডিকে না জানিয়ে ইতোমধ্যে তিনি নিজের শ্যালককে ড্রাইভার পদে, আরেক আত্মীয়কে শিক্ষক পড়ে বসিয়েছেন। স্কুলের গাড়ি নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। শিক্ষকরা তার সেই গাড়িতে উঠতে পারেন না। এমনকি গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম যেতেও স্কুলের গাড়ি নিয়ে যান। সমস্ত খরচ নেন স্কুল থেকে।

























