
নিউজ ডেস্ক,
ইউনিসেফের আর্থিক সহায়তায় এবং জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক পরামর্শমূলক কর্মশালা (Consultation Workshop) ঘিরে দেখা দিয়েছে তীব্র প্রশ্ন ও ক্ষোভ। সরকারি অর্থে অনুষ্ঠিত হলেও প্রচার ও অংশগ্রহণে ঘাটতি, এবং নির্বাচিত কিছু সাংবাদিককে আমন্ত্রণের অভিযোগে সরব স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ।
গত ৭ অক্টোবর (সোমবার) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজিয়া খান (যুগ্মসচিব)। কর্মশালায় শিশুর টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য তুলে ধরা হলেও উপস্থিত সাংবাদিক ও অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন— “এমন কর্মশালাগুলো এখন প্রায় রুটিনধর্মী হয়ে গেছে, মাঠপর্যায়ে এর কোনো বাস্তব প্রভাব দেখা যায় না।”
“তথ্য নয়, ফরমালিটি”— সাংবাদিকদের ক্ষোভ
একাধিক স্থানীয় সাংবাদিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“প্রচার বাড়ানোর নামে সরকারি টাকায় অনুষ্ঠান হয়, কিন্তু মাঠে সেবা ও সচেতনতার কোনো উন্নতি হয় না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখনো টিকা সংকট, জনসচেতনতা কম— অথচ কাগজে কলমে সফলতা দেখানো হয়।”
আরেকজন সাংবাদিক বলেন,
“একই চক্রের কয়েকজনকে ডেকে কর্মশালার ছবি তোলা হয়, বাকিদের বাদ দেওয়া হয়। এতে স্বচ্ছতা তো দূরের কথা, প্রকৃত তথ্যও জনগণের কাছে পৌঁছায় না।”
“উপকারভোগী কারা?” — উঠছে প্রশ্ন
স্থানীয় পর্যায়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে— সরকারি অর্থে আয়োজিত এসব কর্মসূচির আসল উপকারভোগী কারা?
বিশ্লেষকরা বলছেন, উন্নয়নমূলক প্রচারণা কার্যকর করতে হলে শুধু সেমিনার নয়, মাঠপর্যায়ের নজরদারি ও জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো জরুরি। জনগণের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে এমন উদ্যোগই সময়ের দাবি।
জেলা তথ্য অফিসের ব্যাখ্যা
এ বিষয়ে জেলা তথ্য অফিসার মো. সাইফুল আলম বলেন,
“আমাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রচার ও সচেতনতা বাড়ানো। জেলা প্রশাসকের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রচার আশানুরূপ হয়নি— এটা স্বীকার করছি। ভবিষ্যতে যারা বাদ পড়েছেন, তাদেরও যুক্ত করা হবে।”
তবে, বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য জানতে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।