Dhaka , Thursday, 9 October 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন শরীয়তপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অনিয়মের নিউজ করায় মিথ্যা মামলায় আসামি করার হুমকি দুর্গাপুর প্রেসক্লাবকে কম্পিউটার সেট উপহার দিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রূপগঞ্জে প্রতারণা করে চাঁদা দাবির অভিযোগ ॥ যুবক গ্রেফতার  ঝালকাঠির কমিউনিটি ক্লিনিকে একসঙ্গে সাত সাপ! আতঙ্কে স্বাস্থ্যকর্মীরা মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে:ডিআইজি মোহাম্মদ আশফাকুল আলম সাতকানিয়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ‎রূপগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত পবিত্র কুরআন অবমাননাকারী অপূর্ব পালের ফাঁসির দাবিতে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত সুবর্ণচরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু  নোয়াখালীতে ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগ গণধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। পাবনায় আবাসিক রয়েল প্যালেস হোটেল থেকে যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার গাজীপুরে  আলোচিত  কেমিক্যাল গুদাম সিলগালা ফরিদপুরের নিউমার্কেট হতে গণধর্ষণ মামলার আসামি র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। চরভদ্রাসনে আইএফআইসি ব্যাংকের ৪৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। বিসর্জনের পর প্রতিমা পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত সুন্দরগঞ্জের মালাকাররা টিকাদানকারি জনবল সংকট গবাদিপশু নিয়ে শঙ্কায় অনেকে গাজীপুরে রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে শিশু ধর্শনের অভিযোগে গ্রেফতার ১ কক্সবাজারের আলোচিত আমজাদ হত্যা মামলার মূলহোতা রাফি গ্রেপ্তার  রামগঞ্জে বেসরকারি শিক্ষকদের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত পাঁচ বছরে দেশকে দারিদ্রমুক্ত করা সম্ভব। রামগঞ্জে জামাত নেতার মন্তব্য জাজিরায় যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত ফ্যাসিস্টদের সহযোগি মোতোয়াল্লী আব্বাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ, তোফাজ্জল আলী ওয়াকফ এস্টেট  রূপগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার যানজটে আটকা পড়ে মোটরসাইকেলে সরাইল বিশ্বরোড পরিদর্শনে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে এসে গাড়িতে থাকা বিএনপি কর্মীকে গুলি করে হত্যা সাতকানিয়ায় দেওয়ানহাটে যানজট নিরসনে অভিযান: ভাসমান দোকান উচ্ছেদ

বিসর্জনের পর প্রতিমা পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত সুন্দরগঞ্জের মালাকাররা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 06:53:50 pm, Wednesday, 8 October 2025
  • 8 বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

হযরত বেল্লাল, বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
দুর্গাপূজার উৎসব শেষ হয়েছে কয়েকদিন আগে। ঢাকের বাদ্য, আরতির আলো, সিঁদুরখেলা সব মিলিয়ে শেষ হয়েছে আনন্দোৎসবের মহোৎসব। দেবী দূর্গা ফিরে গেছেন কৈলাসে, কিন্তু গ্রামের মালাকারদের (মৃৎশিল্পীদের) ব্যস্ততা এখনো থামেনি। কারণ, বিসর্জনের পরই শুরু হয় তাদের আরেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ প্রতিমা পুনরুদ্ধার ও মেরামতের প্রক্রিয়া।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে দেখা যাচ্ছে এক ভিন্ন চিত্র। নদী, খাল ও পুকুরে বিসর্জন দেওয়া প্রতিমার কাঠামো ও মাটির অংশগুলো নৌকা, বাঁশ, রশি ও জাল দিয়ে সংগ্রহ করছেন স্থানীয় মালাকাররা। ভাসমান খড়, বাঁশ, কাঠ ও প্রতিমার ভগ্নাংশ তারা ঘাটে এনে আলাদা করে শুকোতে দিচ্ছেন রোদে।
স্থানীয় মৃৎশিল্পী নিতাই মালাকার বলেন,
দুর্গাপূজা শেষ মানেই আমাদের কাজের বিরতি নয়। বরং এখনই আমাদের কাজের শুরু। আমরা বিসর্জিত প্রতিমার কাঠামো তুলে এনে পরিষ্কার করি, শুকিয়ে রাখি। আগামী বছর নতুন প্রতিমা গড়তে এসব কাঠামোই কাজে লাগে।
তিনি আরও বলেন, এভাবে করলে খরচ কম হয়, সময়ও বাঁচে। কাঠামোটা ঠিক থাকলে শুধু মাটি ও রঙের কাজ করলেই চলে।
মৃৎশিল্পীরা এখন পুরুদ্ধারেরর কাজে ভরপুর ব্যস্ততা। কেউ বাঁশ কেটে কাঠামো শক্ত করছেন, কেউ খড় গুছিয়ে রাখছেন, আবার কেউ শুকনো মাটি ভেঙে মিহি করে পরবর্তী বছরের ব্যবহারের জন্য রাখছেন। চারপাশে ছড়িয়ে আছে ভেজা মাটির গন্ধ, শুকোতে থাকা খড়ের স্তূপ আর শ্রমে ভরা মুখগুলো।
প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেমন ভক্তদের চোখে জল থাকে, ঠিক তেমনি কয়েকদিন পর সেই প্রতিমাই আবার ফিরে আসে শিল্পীদের হাতে। মালাকার জানান, এই প্রতিমাগুলোর কাঠামো কিন্তু একেবারে ফেলে দেওয়া হয় না। মাটির অংশ খুলে ফেলে আমরা কাঠ, বাঁশ, খড় ইত্যাদি শুকিয়ে রেখে দিই। এরপর আগামী বছর সেই কাঠামোর উপর আবার নতুন করে মাটি লাগিয়ে নতুন প্রতিমা তৈরি করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা তাপস মহন্ত বলেন, বিসর্জনের পর মালাকারদের এমন পরিশ্রম সত্যিই প্রশংসনীয়। তারা শুধু প্রতিমা তৈরি করেন না, একধরনের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখছেন।
প্রতিমা পুনরুদ্ধারের এই প্রক্রিয়া কেবল অর্থনৈতিক নয়, ধর্মীয় ভক্তিরও প্রতিফলন। ভাঙা প্রতিমার কাঠামোর মধ্যেই শিল্পীরা খুঁজে পান নতুন সৃষ্টির অনুপ্রেরণা।
এ সময় চারদিকে দেখা যায় কর্মব্যস্ততার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য কেউ প্রতিমার দড়ি টানছেন, কেউ কাঠামো শুকাচ্ছেন, কেউ আবার রঙ ও অলংকার খুলে নিচ্ছেন। শিশু-কিশোররা কৌতূহল নিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে দেখছে প্রিয় দেবীর পুনর্জন্মের সূচনা।
মৃৎশিল্পীদের ভাষায়, এই সময়টাই পরবর্তী পূজার প্রস্তুতির শুরু। তাদের পরিশ্রম, দক্ষতা ও ধর্মীয় ভক্তির মেলবন্ধনে সৃষ্টি হয় নতুন জীবনের প্রতিমা যা আগামী বছরের দুর্গাপূজায় আবারও পূজিত হবে ভক্তিমন্দিরে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন

বিসর্জনের পর প্রতিমা পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত সুন্দরগঞ্জের মালাকাররা

আপডেট সময় : 06:53:50 pm, Wednesday, 8 October 2025
হযরত বেল্লাল, বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
দুর্গাপূজার উৎসব শেষ হয়েছে কয়েকদিন আগে। ঢাকের বাদ্য, আরতির আলো, সিঁদুরখেলা সব মিলিয়ে শেষ হয়েছে আনন্দোৎসবের মহোৎসব। দেবী দূর্গা ফিরে গেছেন কৈলাসে, কিন্তু গ্রামের মালাকারদের (মৃৎশিল্পীদের) ব্যস্ততা এখনো থামেনি। কারণ, বিসর্জনের পরই শুরু হয় তাদের আরেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ প্রতিমা পুনরুদ্ধার ও মেরামতের প্রক্রিয়া।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে দেখা যাচ্ছে এক ভিন্ন চিত্র। নদী, খাল ও পুকুরে বিসর্জন দেওয়া প্রতিমার কাঠামো ও মাটির অংশগুলো নৌকা, বাঁশ, রশি ও জাল দিয়ে সংগ্রহ করছেন স্থানীয় মালাকাররা। ভাসমান খড়, বাঁশ, কাঠ ও প্রতিমার ভগ্নাংশ তারা ঘাটে এনে আলাদা করে শুকোতে দিচ্ছেন রোদে।
স্থানীয় মৃৎশিল্পী নিতাই মালাকার বলেন,
দুর্গাপূজা শেষ মানেই আমাদের কাজের বিরতি নয়। বরং এখনই আমাদের কাজের শুরু। আমরা বিসর্জিত প্রতিমার কাঠামো তুলে এনে পরিষ্কার করি, শুকিয়ে রাখি। আগামী বছর নতুন প্রতিমা গড়তে এসব কাঠামোই কাজে লাগে।
তিনি আরও বলেন, এভাবে করলে খরচ কম হয়, সময়ও বাঁচে। কাঠামোটা ঠিক থাকলে শুধু মাটি ও রঙের কাজ করলেই চলে।
মৃৎশিল্পীরা এখন পুরুদ্ধারেরর কাজে ভরপুর ব্যস্ততা। কেউ বাঁশ কেটে কাঠামো শক্ত করছেন, কেউ খড় গুছিয়ে রাখছেন, আবার কেউ শুকনো মাটি ভেঙে মিহি করে পরবর্তী বছরের ব্যবহারের জন্য রাখছেন। চারপাশে ছড়িয়ে আছে ভেজা মাটির গন্ধ, শুকোতে থাকা খড়ের স্তূপ আর শ্রমে ভরা মুখগুলো।
প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেমন ভক্তদের চোখে জল থাকে, ঠিক তেমনি কয়েকদিন পর সেই প্রতিমাই আবার ফিরে আসে শিল্পীদের হাতে। মালাকার জানান, এই প্রতিমাগুলোর কাঠামো কিন্তু একেবারে ফেলে দেওয়া হয় না। মাটির অংশ খুলে ফেলে আমরা কাঠ, বাঁশ, খড় ইত্যাদি শুকিয়ে রেখে দিই। এরপর আগামী বছর সেই কাঠামোর উপর আবার নতুন করে মাটি লাগিয়ে নতুন প্রতিমা তৈরি করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা তাপস মহন্ত বলেন, বিসর্জনের পর মালাকারদের এমন পরিশ্রম সত্যিই প্রশংসনীয়। তারা শুধু প্রতিমা তৈরি করেন না, একধরনের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখছেন।
প্রতিমা পুনরুদ্ধারের এই প্রক্রিয়া কেবল অর্থনৈতিক নয়, ধর্মীয় ভক্তিরও প্রতিফলন। ভাঙা প্রতিমার কাঠামোর মধ্যেই শিল্পীরা খুঁজে পান নতুন সৃষ্টির অনুপ্রেরণা।
এ সময় চারদিকে দেখা যায় কর্মব্যস্ততার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য কেউ প্রতিমার দড়ি টানছেন, কেউ কাঠামো শুকাচ্ছেন, কেউ আবার রঙ ও অলংকার খুলে নিচ্ছেন। শিশু-কিশোররা কৌতূহল নিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে দেখছে প্রিয় দেবীর পুনর্জন্মের সূচনা।
মৃৎশিল্পীদের ভাষায়, এই সময়টাই পরবর্তী পূজার প্রস্তুতির শুরু। তাদের পরিশ্রম, দক্ষতা ও ধর্মীয় ভক্তির মেলবন্ধনে সৃষ্টি হয় নতুন জীবনের প্রতিমা যা আগামী বছরের দুর্গাপূজায় আবারও পূজিত হবে ভক্তিমন্দিরে।