
মো আসাদুজ্জামান,
ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে দলিল লেখক কল্যাণ সমবায় সমিতির স্থাপনাকে কেন্দ্র করে জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে জেলা দলিল লেখক সমিতির বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বিকালে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এমনি অভিযোগ করেন জেলা রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন। এদিকে কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা দেবার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা নিতে আসা ব্যক্তিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেজিস্ট্রি অফিসের বাহিরে কাঠ মাঠাইয়ের কাজ করাচ্ছেন দলিল লেখক সমিতির লোকেরা। অপরদিকে কার্যালয়ের মূল ফটকে ঝুলছে তালা। যার ফলে কার্যালয়ের ভিতরে গিয়ে কাজ করতে পাড়ছেন নাহ কেউই। সেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা নিতে আসা ব্যক্তি শিমুল হক ফারুক,তানভীর,হাসান সহ বেশ কয়েকজন বলেন,সকাল থেকে তারা নিজেরা কি ঝামেলা শুরু করছে বলার বাহিরে। এখন দুপুরের মধ্যে দেখি দলিল লেখরের লোকেরা তালা মারে দিলো। তাদের নিজেদের ঝামেলা আর আমাদের ভোগান্তিতে রাখছে।
সেবা নিতে আসা জয়নাল আবেদিন বলেন,বিনা কারণে তাদের ঝগড়া,কেন বা সামনের দিকে ঘর করতে হবে। সুন্দর একটা জায়গা নষ্ট না করলে বুঝি শান্তি নাই তাদের। নিজেরা ঝামেলা সৃষ্টি করছে আর আমাদের ভিতরে যাইতে দিচ্ছেনা। যতো ভেজাল এইঠে বাপু।
যানা যায়, দলিল লেখক সমিতির লোকেরা অনেকদিন ধরেই জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের বিভিন্ন স্থানে টেবিল চেয়ার বসিয়ে তাদের কাজ করে আসছে। ইতিমধ্যে তারা জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে বৃষ্টি ও রোদ নিয়ে তাদের সমস্যার কথা অবগত করলে কার্যালের হলরুম টি তাদের ব্যবহার করার কথা বলেন জেলা রেজিস্ট্রার।
ঠাকুরগাঁও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে নির্দিষ্ট জায়গার জন্য আমরা লড়াই করছি। যেখানে সরকারের রাজস্ব আদায়ে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখি সেখানে কেউ আমাদের কথা শুনছেনা। রেজিষ্ট্রি অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অনুমতিতেই আমরা ঐ জায়গায় বসা শুরু করেছিলাম। কিন্তু এখন বর্ষাকাল হওয়ার কারণে হঠাৎ বৃষ্টি ও রোদ থেকে বাঁচতে আজকে আমরা অস্থায়ী ছাউনি দিচ্ছিলাম। কিন্তু রেজিস্ট্রার এই কাজে বাধা দেয়।
ঠাকুরগাঁও জেলা রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, সকালে দলিল লেখক সমিতির লোকেরা আমার অফিসের সামনে জবর দখল করে কিছু পিলায় লাগিয়ে দেয়। সেই সাথে আমার কিছু গাছ তারা তুলে ফেলে। তাদের চাওয়া আমার অফিসের সামনে তারা ঘর দিয়ে তাদের বসার স্থান করবে। আমি তাদের বারণ করতে গেলে তারা আমাকে ও আমার অন্য কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে থাকে। এরপর কোন কারণ ছাড়া তারা আমাদের অফিসে এসে সাধারণ জনগনকে হুমকি দেয় যাতে কেউ দলিল না করে। এক পর্যায়ে জনগনকে বের করে কার্যালয়ে মূল ফটকে তালা মারে দেয়,আমাদের অবরুদ্ধ করে। এরপর ঘন্টাব্যাপী তালা দেখে সাধারণ জনগন রুখে দাঁড়ালে তারা তালা তুলে দেয়। আমরা অফিসের সকল কর্মচারীরা এই নিয়ে খুবি চিন্তিত।