
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল,
কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বাগভান্ডার বিওপি সীমান্ত এলাকায় সোমবার সকালে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জোর করে পুশইনের চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী- বিএসএফ। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বিজিবির বাধায় তারা সেই ব্যক্তিকে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে ফেলে রেখে চলে যায় ।
এ বিষয়টি নিয়ে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন, ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম প্রতিবাদ জানান ও পতাকা বৈঠকের আহ্বান করেন।
পরে দুই দেশের বাহিনীর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর ভুক্তভোগীকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায় বিএসএফ।
মঙ্গলবার -১৭!জুন- রাত ১১.০০ টার দিকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্যটি জানান ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি।
বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার বিকেল ৪.৩০ মিনিটে বাগভান্ডার বিওপির ৯৬২/এমপি এর পাশে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই বাহিনীর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শুরু হয় । বৈঠকটি ২০ মিনিট স্থায়ী হয় । বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন, ১৫ বিজিবির অধিনায়ক ও ভারতের বিএসএফের নেতৃত্ব দেন ১৬২ বিএসএফের ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট শ্রী প্রভাত কুমার সিং। আলোচনার সময় বিজিবির পক্ষ থেকে সেই ব্যক্তি বাংলাদেশি নাগরিক নন এই বিষয়টি জানানো হয় । অন্যদিকে বিএসএফ মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তির বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার কোনও বিশ্বাসযোগ্য ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়। পরে উভয় বাহিনীর সম্মতিক্রমে সীমানা পিলার ৯৬২/এম এর কাছ দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে নিয়ে যায় বিএসএফ।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, “আমাদের টহলদল পুশইন ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও সীমান্তে নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে।“
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, সন্ধ্যার সময় অন্ধকার নেমে আসার পর সেই ভুক্তিভোগীকে নিয়ে যেতে বাধ্য হয় বিএসএফ।
এলাকাবাসী বিজিবির শক্ত অবস্থানের প্রশংসা করেছেন এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন।