
তৌহিদ বেলাল,
কক্সবাজারের রামুতে সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ও হাফেজে কুরআন শিশুপুত্রসহ পিতা নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১০ জন। সোমবার (১৬ জুন) সকাল সাতটার দিকে রামু উপজেলায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রশিদনগর ইউনিয়নের জেটি রাস্তা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএম খালী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাতলী এলাকার হাবিব উল্লাহ (৫৪) ও তাঁর শিশুপুত্র রিয়াদ (৯) এবং রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের পূর্ব রাজারকুলের বড়ুয়াপাড়ার হিমাংশু বড়ুয়ার মেয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রিমঝিম বড়ুয়া (২২)।
আহতদের মধ্যে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অফিস সহকারী শাহনেওয়াজ ছাড়া বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সকাল সাতটার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেটি রাস্তা এলাকায় চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী বাস পূরবী ও কক্সবাজারমুখী একটি কাবার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের যাত্রী রিমঝিম, ব্যবসায়ী হাবিবউল্লাহ ও তাঁর হাফেজে কুরআন শিশুপুত্র রিয়াদ প্রাণ হারান। এই দুর্ঘটনায় বাসের অন্তত ১০ যাত্রী বিভিন্নভাবে আহত হয়।
জানা যায় দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি পূরবী পরিবহনের। সেটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দিকে আসছিলো কাভার্ড ভ্যানটি। দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মরদেহগুলো কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। গাড়ি দুটি জব্দ করেছে পুলিশ।’
রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসটি মহাসড়কের পাশে উল্টে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত ১০ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘নিহত হাবিবউল্লাহ রামুতে কাপড়ের ব্যবসা করেন। তাঁর সন্তান চট্টগ্রাম নগরের একটি কওমি মাদরাসায় পড়তো। ঈদের ছুটিতে আসা ছেলেকে মাদরাসায় পৌঁছে দিতে ছেলে রিয়াদসহ সকালে পূরবী পরিবহনের ওই বাসে ওঠেন হাবিবউল্লাহ।