
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা সম্পাদিকা ও জোনাকি সমিতির লুটের রানী কবিতা রানী দাশের করা মিথ্যা বানোয়াট কাল্পনিক সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ব্যবসায়ী জাকির হোসেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাইকগাছার সরল বাজারে বান্দিকাটি গ্রামের মৃত জিন্নাত আলী গাজীর ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসয়ী জাকির হোসেনের অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলেন, আওয়ামী দোষর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা সম্পাদিকা জোনাকী সমিতির লুটের রানী কবিতা রানী দাশ ১৯/৫/২৫ তারিখে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে আমাকে ও পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোস্তফা মোড়লকে জড়িয়ে যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করেছে, সেখানে উল্লেখ করেন আমরা দুজন তাহার কাছে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর পাশাপাশি আলমারি থেকে চার লক্ষ একত্রিশ হাজার টাকা ও চার ভরি স্বর্ণ লুট করেছি। যা আদৌ সত্য নহে। এছাড়াও কবিতা রানী দাস গত ইং-১৬/৫/২০২৫ তারিখে সাংবাদিকদের সামনে ৪/৫’শ লোকের কথা উল্লেখ করেন এবং পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছে ৪০/৫০ জন লোক, ইহাতে প্রমানিত হয় তাহার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
প্রকৃত ঘটনা পাইকগাছা পৌরসভার সরল বাজারে জোনাকি সমিতির প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে কবিতা গংরা।যাহা নিয়ে বিভিন্ন সালিশ বৈঠক হয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সমিতির সদস্য ও পাওনাদাররা গত ইং-১৬/৫/২৫ তারিখে তার বাড়ীতে যায়, এবং পাওনা টাকা দাবি করেন। সেখানে কথাকাটি চলতে থাকলে সাবেক কাউন্সিলর তৈয়বুর রহমান আমাকে ও পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোস্তফা মোড়লকে ডাকলে আমরা দুজন যাই। এসময়ে সদস্যদের বুঝিয়ে কবিতার বাড়ি থেকে সমিতির পরিচালক আলাউদ্দীন ও সভাপতি মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে যাওয়া হয়। সেখানে কবিতা রানীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এবং তিনি চলে যান।
পরবর্তীতে আমাকে শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে ও পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোস্তফা মোড়লকে জড়িয়ে কলঙ্ক লেপন করার বৃথা চেষ্টা করা হয়েছে। এ যেন মাছ না পেয়ে ছিপে কামড় দেয়ার মতো। এছাড়াও জাকির হোসেন বলেন, ২০১৮ সালে আমি নাশকতা মামলার ৯নং আসামি ছিলাম।
প্রকৃতপক্ষে এই সমস্ত গরীব অসহায় ভিখারিদের টাকা আত্বসাৎকারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা সম্পাদিকা, জোনাকী সমিতির লুটের রানী কবিতা রানী দাশ সাংবাদিক সম্মেলন সহ আমাদের মিথ্যা মামলার ভয় দেখাচ্ছে।
কবিতা রানী দাশ নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হওয়ার পরও প্রকাশ্যে ও বিভিন্ন এনজিও প্রোগ্রামে দেখা যাচ্ছে,তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী জাকির হোসেন।