
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউপির বুড়া সারডুবি গ্রামে ৫ বছর বয়সী শিশু জাতিজিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে কিশোর চাচা মোঃ রবিউল ইসলামকে-১৫- গ্রেপ্তার করেছে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
রবিবার “১৬ মার্চ” বিকেলে বুড়া সারডুবি গ্রামে ঘটা ওই ঘটনায় অভিযুক্ত রবিউলকে রবিবার রাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা “ওসি” মাহমুদুন-নবী।
গ্রেপ্তার হওয়া কিশোর রবিউল একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ও অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র বলে জানা গেছে।
শিশুটির পরিবারের অভিযোগ এই যে, শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার বিকেলের দিকে বুড়া সারডুবি এলাকায় ভুক্তভোগী শিশু জাতিজিকে বাড়িতে একা পেয়ে চাচা রবিউল তাকে ঘরে নিয়ে যায় ও জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। ওই সময় শিশুটির চিৎকারে পরিবারের লোকজন সেখানে ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। এরপর শিশুটিকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তারা। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার করেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার “আরএমও” ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, “ এখানে শিশুটির বাহ্যিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে নোট রাখা হয়। তবে নারী চিকিৎসক না থাকায় তার প্রাইভেট পার্টস পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে শিশুটিকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে কথা বলতে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও আরএমও এর সেলফোন নম্বরে কল করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
তবে রাত ১১:৫০ মিনিটে হাসপাতালের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, শিশুটিকে তখনও সেখানে নিয়ে আসা হয়নি।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা “ওসি” মাহমুদুন-নবী বলেন, “ মৌখিক অভিযোগের উপর ভিত্তি করে আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, একদিকে শিশুটির পরিবার দাবি করছে যে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চূড়ান্ত অভিমত ছাড়া শিশুটি প্রকৃত অর্থে ধর্ষিত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।