
নিজস্ব প্রতিবেদক
অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও চলছে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রাত ৮টা পর্যন্ত বিশেষ এ অভিযানে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
তারা প্রত্যেকে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
১৪ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
আটকদের মধ্যে আছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কক্সবাজার জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বেলাল উদ্দিন, রাজাপালং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি রেজাউল করিম, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ নেত নূর মোহাম্মদ ওরফে খুইল্লা মিয়া, জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি আয়েশা সিরাজ, শ্রমিক লীগ নেতা নুরুল আলম, কক্সবাজার পৌর ছাত্রলীগের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারন সম্পাদক আকতার কামাল সোহেল, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সোহেল রানা, সাইফুল, পেকুয়া রাজাখালী ইউনিয়ন সৈনিক লীগ সভাপতি মোহাম্মদ ফোরকান, ছাত্রলীগের নেতা মোঃ তুহিন।
গেলো শুক্রবার -৭ ফেব্রুয়ারি- গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় শনিবার -৮ ফেব্রুয়ারি- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সেদিন রাত থেকেই যৌথ বাহিনী বিশেষ এই অভিযান শুরু করে।
সোমবার -১০ ফেব্রুয়ারী- সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ ১ হাজার ৬ শত ৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইংরেজি শব্দ ডেভিল অর্থ শয়তান আর হান্ট অর্থ শিকার। ফলে ডেভিল হান্ট-এর অর্থ দাঁড়ায় শয়তান শিকার করা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের বোঝানো হয়েছে।