Dhaka , Sunday, 29 December 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে শীতবস্ত্র বিতরণকালে আবুল হাশেম বক্কর সংস্কারের জন্য নির্বাচন বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না।। কমলগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার আসামীকে ছিনতাই করে নেওয়ার চেষ্টা-আটক ১।। তিতাসের নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশ সফল করার লক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।। লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে বিষ ঢেলে ১২ লাখ টাকার মাছ নিধন।। সদরপুরে ৪৮ পুরিয়া হেরোইনসহ দুই যুবক আটক।। মেহেরপুরে খেজুর রস সংগ্রহে গাছিদের ব্যস্ততা।। পাইকগাছায় মানবসম্পদ উন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।। জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে স্বাধীন ৭১ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।। এল ডি পি নয় বিএনপির প্রার্থীই প্রতিদ্বন্ধিতা করবে রামগঞ্জে -হারুনুর রশিদ।। মধুমতিতে  আড়াআড়ি বাঁধের কারণে মাছের চলাচলে বাঁধা,মৎস্যখাত হুমকির মুখে।। পাবনার ঈশ্বরদীর বেনারসি পল্লী এখন বন্ধ হওয়ার পথে পরিত্যক্ত প্লটের জমিতে অনেকেই সবজির আবাদ।। সুন্দরগঞ্জ মডেল মাদ্রাসা এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা।। সুন্দরগঞ্জ সোসাইটির শীতবস্ত্র বিতরণ।। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র জাতীয় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত।। চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের আনন্দ সম্মিলন চা বাগানে প্রকৃতির সান্নিধ্যে অনন্য এক দিন।। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় চোর সন্দেহে গনপিটুনিতে এক যুবকের মৃত্যু।। পার্বত্য চট্টগ্রামে জায়গা-জমির লীজের মেয়াদ ৯৯ বছর করার দাবীতে পিসিএনপি’র স্মারক লিপি।। পদ্মা অয়েল কোম্পানী অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হলেন সঞ্জয় কুমার সাহা।। ভোলায় ভেদুরিয়া ইউনিয়ন সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ।। লালপুরে ফেসবুক পোস্টে আ’লীগের মিথ্যাচারের প্রতিবাদ থানা বিএনপির।। নরসিংদীর পলাশে আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ কৃষকের খরচ কমবে।। হাটহাজারীতে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন মীর হেলাল।। ঢাকুরিয়ায় বিএনপির কর্মীর মানোন্নয়ন ও সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত।। কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাব’র সাধারণ সম্পাদক -রফিক মাহমুদ’র আম্মাজনের ২য় মৃত্যু বার্ষিকী সম্পন্ন।। কয়রা উপজেলায় দীর্ঘ ১৭ বছর পরে জামায়েত ইসলামের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত।। কুষ্টিয়ায় বিএনপি কর্মী সুজন মালিথাকে হত্যা মামলায় সাবেক এসপি গ্রেফতার।। নাশকতাকারীরা কোনভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না -ধর্ম উপদেষ্টা।। মেহেরপুরে কুমড়ার বড়ি তৈরির ধুম।। স্বাধীনতাকে রক্ষা ও গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে -কাজী মনিরুজ্জামান।। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে  ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে  ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।।

জাগৃতির নির্বাচন ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা- সেলিম উদ্দিন রেজা।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 01:50:38 pm, Friday, 27 December 2024
  • 5 বার পড়া হয়েছে

জাগৃতির নির্বাচন ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা- সেলিম উদ্দিন রেজা।।

মোঃ আবু তৈয়ব
হাটহাজারী- চট্টগ্রাম- প্রতিনিধি।।
   
    
গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ছিল হাটহাজারীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন জাগৃতির নির্বাচন। উৎসব মুখর, শান্তিপূর্ণ এবং প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হলো উত্তর চট্টলার ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সংগঠন জাগৃতি নির্বাচন । এই নির্বাচনের জন্য আহব্বায়ক কমিটি, নির্বাচন কমিশনার, তাঁর কর্মকর্তা বৃন্দ জাগৃতি সকল সদস্য ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। নির্বাচন অবাধ- সুষ্টু- নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য প্রশ্নাতীত হওয়া যে অসম্ভব কিছু নয়  তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ জাগৃতির নির্বাচন। একটি সামাজিক সংগঠনের তুলনায় রাষ্ট্র অনেক বড়। অনেক শক্তিশালী। রাষ্ট্রের সক্ষমতা অনেক বেশি। এই সরল সত্য কাউকে উদাহরণ দিয়ে বুঝানো নিষ্প্রয়োজন। একটি  সামাজিক সংগঠন যদি একটি অবাধ, সুষ্ঠু  নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য প্রশ্নাতীত নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হয়- তাহলে তা কখনো রাষ্ট্রের পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়। প্রয়োজন কেবল দেশপ্রেম, সদিচ্ছা, সততা, আন্তরিকতা এবং কমিটমেন্ট। 
বিগত দেঢ় দশকে আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের অনেক কিছুই ধ্বংস হয়েছে। সকল ধ্বংসযজ্ঞ  নৈরাজ্য  একচেটিয়া বাজি স্বৈরাচারীতা  লুটপাট, এইসবের মূলে ছিল নির্বাচন ব্যবস্থার অভূতপূর্ব ক্ষতি সাধন। নির্বাচন ব্যবস্থা- নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের গ্রহণযোগ্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা নেমে এসেছিল শূন্যের কোঠায়। নির্বাচনের প্রতি সাধারণ মানুষের কোন আগ্রহ ছিল না। নির্বাচন পরিণত হয়েছিল তামাশার বস্তুতে। এর ফলে বুর্জোয়া শ্রেণী হয়ে উঠেছিল সমাজ  তথা রাষ্ট্রের কর্ণধার। রাষ্ট্রের সর্বত্র চরম নৈরাজ্য দুর্নীতি, অনিয়ম, খুন, গুম হয়ে উঠেছিল নিত্যদিনের রোজনামচা।
বর্তমান সরকার যদি  নির্বাচন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়- তাহলে নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস আবার দ্রুতই ফিরে আসবে। গতকাল জাগৃতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছিল রাত এক টার সময়। এই শীতের দিনে রাত এক টা পর্যন্ত শত শত মানুষ শীত উপেক্ষা করে রাস্তায় অবস্থান করেছিল। নির্বাচনের ফলাফল জানার আগ্রহ উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল প্রচন্ড। নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্য হয়েছিল বলেই ফলাফল জানার প্রতি মানুষের এই আগ্রহ। একটি সামাজিক সংগঠনের নির্বাচনের প্রতি মানুষের যদি এতটা গ্রহণযোগ্যতা থাকে তাহলে সরকার যদি স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচনগুলি গ্রহণযোগ্য করতে সক্ষম হয় তাহলে নির্বাচনের প্রতি মানুষের আগ্রহ আস্থা এবং বিশ্বাস কতটা ফিরে আসবে তা সহজেই অনুমেয়।
বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা- তারা আমাদেরকে এমন নির্বাচন উপহার দিবে যে নির্বাচন বিগত ৫৩ বছরে কেউ দেখেনি। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা হবে সমগ্র পৃথিবীর জন্য নির্বাচনী রোল মডেল। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি বর্তমান সরকারের পক্ষে তা সম্ভব। 
অত্যন্ত দুঃখজনক সত্য আমরা বিজয়কে উপভোগ করতে শিখেছি কিন্তু পরাজয়কে কিভাবে মেনে নিতে হয় তা শিখিনি। বিজয়ীর গলায় পুষ্প মাল্য পড়াতে আমরা খুবই উৎসুক। বিজিতের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সাহস জোগাতে এবং সান্তনা দিতে আমরা বড়ই কৃপণ।পরাজয়কে সহজ ভাবে মেনে নেওয়ার মত মানসিক ঔধার্য এখনো আমরা অর্জন করতে পারিনি। হৃদয়টাকে পারিনি আকাশের মত বিশাল করতে। পারিনি চিন্তা এবং চেতনায় ঝরনার মত স্বচ্ছ এবং উচ্ছল হতে। বিজয়ী, বিজিত হাত ধরাধরি করে এগিয়ে যাবে লক্ষ পানে,এ যেন আমাদের ভাবনার অতীত। কল্পনার বিষয়। যতদিন না আমরা এই শক্তি অর্জন করতে পারব ততদিন অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন আমাদের জন্য কঠিন থেকেই যাবে। 
হেরে গেলেই, কারচুপির অভিযোগ আমাদের একটা মজ্জাগত রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  এই সংস্কৃতি খুবই লজ্জার। এই মনোবৃত্তি পরিহার করে সচেতনতা বাড়াতে হবে যেন কেউ কারচুপি করতে না পারে।
জাগৃতি নব নির্বাচিত সকল কর্মকর্তাদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে বিজয়ী এবং বিজিত এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আরো বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে প্রাণের জাগৃতিকে। কেবল কিছু খেলাধুলা-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যেই যেন জাগৃতি কর্মসূচি সীমাবদ্ধ না থাকে। যেমন- জাগৃতি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মডেল সমাজের সামনে উপস্থাপন করলো। এটি পুরো জাতির জন্য শিক্ষণীয় একটি বিষয়। স্বেচ্ছায় রক্তদান- শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো- বেকার যুবকদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দান- শিক্ষাবৃত্তি প্রদান- মাদক মুক্ত সমাজ গঠন- সামাজিক উন্নয়ন- যোগাযোগ ব্যবস্থার  উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে জাগৃতি। 
জয় এবং পরাজয় একই পাখির দুই ডানা। হার জিত চিরন্তন একটি বিষয়। এটি মেনে না নেয়ার কোন উপায় নেই। তাই বিজিত বন্ধুদের প্রতি আমার পরামর্শ আপনারা সংগঠন বিমুখ হবেন না। সকলেই মিলে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবেন লক্ষ্য পানে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে শীতবস্ত্র বিতরণকালে আবুল হাশেম বক্কর সংস্কারের জন্য নির্বাচন বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না।।

জাগৃতির নির্বাচন ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা- সেলিম উদ্দিন রেজা।।

আপডেট সময় : 01:50:38 pm, Friday, 27 December 2024
মোঃ আবু তৈয়ব
হাটহাজারী- চট্টগ্রাম- প্রতিনিধি।।
   
    
গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ছিল হাটহাজারীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন জাগৃতির নির্বাচন। উৎসব মুখর, শান্তিপূর্ণ এবং প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হলো উত্তর চট্টলার ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সংগঠন জাগৃতি নির্বাচন । এই নির্বাচনের জন্য আহব্বায়ক কমিটি, নির্বাচন কমিশনার, তাঁর কর্মকর্তা বৃন্দ জাগৃতি সকল সদস্য ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। নির্বাচন অবাধ- সুষ্টু- নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য প্রশ্নাতীত হওয়া যে অসম্ভব কিছু নয়  তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ জাগৃতির নির্বাচন। একটি সামাজিক সংগঠনের তুলনায় রাষ্ট্র অনেক বড়। অনেক শক্তিশালী। রাষ্ট্রের সক্ষমতা অনেক বেশি। এই সরল সত্য কাউকে উদাহরণ দিয়ে বুঝানো নিষ্প্রয়োজন। একটি  সামাজিক সংগঠন যদি একটি অবাধ, সুষ্ঠু  নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য প্রশ্নাতীত নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হয়- তাহলে তা কখনো রাষ্ট্রের পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়। প্রয়োজন কেবল দেশপ্রেম, সদিচ্ছা, সততা, আন্তরিকতা এবং কমিটমেন্ট। 
বিগত দেঢ় দশকে আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের অনেক কিছুই ধ্বংস হয়েছে। সকল ধ্বংসযজ্ঞ  নৈরাজ্য  একচেটিয়া বাজি স্বৈরাচারীতা  লুটপাট, এইসবের মূলে ছিল নির্বাচন ব্যবস্থার অভূতপূর্ব ক্ষতি সাধন। নির্বাচন ব্যবস্থা- নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের গ্রহণযোগ্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা নেমে এসেছিল শূন্যের কোঠায়। নির্বাচনের প্রতি সাধারণ মানুষের কোন আগ্রহ ছিল না। নির্বাচন পরিণত হয়েছিল তামাশার বস্তুতে। এর ফলে বুর্জোয়া শ্রেণী হয়ে উঠেছিল সমাজ  তথা রাষ্ট্রের কর্ণধার। রাষ্ট্রের সর্বত্র চরম নৈরাজ্য দুর্নীতি, অনিয়ম, খুন, গুম হয়ে উঠেছিল নিত্যদিনের রোজনামচা।
বর্তমান সরকার যদি  নির্বাচন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়- তাহলে নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস আবার দ্রুতই ফিরে আসবে। গতকাল জাগৃতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছিল রাত এক টার সময়। এই শীতের দিনে রাত এক টা পর্যন্ত শত শত মানুষ শীত উপেক্ষা করে রাস্তায় অবস্থান করেছিল। নির্বাচনের ফলাফল জানার আগ্রহ উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল প্রচন্ড। নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্য হয়েছিল বলেই ফলাফল জানার প্রতি মানুষের এই আগ্রহ। একটি সামাজিক সংগঠনের নির্বাচনের প্রতি মানুষের যদি এতটা গ্রহণযোগ্যতা থাকে তাহলে সরকার যদি স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচনগুলি গ্রহণযোগ্য করতে সক্ষম হয় তাহলে নির্বাচনের প্রতি মানুষের আগ্রহ আস্থা এবং বিশ্বাস কতটা ফিরে আসবে তা সহজেই অনুমেয়।
বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা- তারা আমাদেরকে এমন নির্বাচন উপহার দিবে যে নির্বাচন বিগত ৫৩ বছরে কেউ দেখেনি। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা হবে সমগ্র পৃথিবীর জন্য নির্বাচনী রোল মডেল। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি বর্তমান সরকারের পক্ষে তা সম্ভব। 
অত্যন্ত দুঃখজনক সত্য আমরা বিজয়কে উপভোগ করতে শিখেছি কিন্তু পরাজয়কে কিভাবে মেনে নিতে হয় তা শিখিনি। বিজয়ীর গলায় পুষ্প মাল্য পড়াতে আমরা খুবই উৎসুক। বিজিতের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সাহস জোগাতে এবং সান্তনা দিতে আমরা বড়ই কৃপণ।পরাজয়কে সহজ ভাবে মেনে নেওয়ার মত মানসিক ঔধার্য এখনো আমরা অর্জন করতে পারিনি। হৃদয়টাকে পারিনি আকাশের মত বিশাল করতে। পারিনি চিন্তা এবং চেতনায় ঝরনার মত স্বচ্ছ এবং উচ্ছল হতে। বিজয়ী, বিজিত হাত ধরাধরি করে এগিয়ে যাবে লক্ষ পানে,এ যেন আমাদের ভাবনার অতীত। কল্পনার বিষয়। যতদিন না আমরা এই শক্তি অর্জন করতে পারব ততদিন অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন আমাদের জন্য কঠিন থেকেই যাবে। 
হেরে গেলেই, কারচুপির অভিযোগ আমাদের একটা মজ্জাগত রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  এই সংস্কৃতি খুবই লজ্জার। এই মনোবৃত্তি পরিহার করে সচেতনতা বাড়াতে হবে যেন কেউ কারচুপি করতে না পারে।
জাগৃতি নব নির্বাচিত সকল কর্মকর্তাদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে বিজয়ী এবং বিজিত এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আরো বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে প্রাণের জাগৃতিকে। কেবল কিছু খেলাধুলা-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যেই যেন জাগৃতি কর্মসূচি সীমাবদ্ধ না থাকে। যেমন- জাগৃতি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মডেল সমাজের সামনে উপস্থাপন করলো। এটি পুরো জাতির জন্য শিক্ষণীয় একটি বিষয়। স্বেচ্ছায় রক্তদান- শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো- বেকার যুবকদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দান- শিক্ষাবৃত্তি প্রদান- মাদক মুক্ত সমাজ গঠন- সামাজিক উন্নয়ন- যোগাযোগ ব্যবস্থার  উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে জাগৃতি। 
জয় এবং পরাজয় একই পাখির দুই ডানা। হার জিত চিরন্তন একটি বিষয়। এটি মেনে না নেয়ার কোন উপায় নেই। তাই বিজিত বন্ধুদের প্রতি আমার পরামর্শ আপনারা সংগঠন বিমুখ হবেন না। সকলেই মিলে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবেন লক্ষ্য পানে।