শওকত আলম
কক্সবাজার প্রতিনিধি।।
গত তিনদিন ধরে কক্সবাজার শহর ও আশপাশের হোটেল- মোটেল ও গেস্ট হাউজে ভাড়া দেয়ার মতো কোন কক্ষ খালি নেই। অনেক পর্যটক খোলা আকাশের নিচে- সমুদ্রের বালুকাবেলায় রাত কাটাচ্ছেন। পর্যটকদের এই ভিড়ে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলের অধিকাংশই -গলাকাটা- ভাড়া আদায় করছেন। এসব হোটেলে অন্য সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ দাম বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পর্যটকরা। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার হোটেল – মোটেল জোনে শনিবার -২১ ডিসেম্বর- কক্সবাজার জেলার হোটেল-মোটেল জোনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন এর নের্তৃত্বে
এই অভিযান পরিচালিত হয়।
কক্সবাজারে পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত রুম ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে দুটি হোটেলকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ আইন- ২০১৪ অনুসারে লাইসেন্স না থাকায় এবং ভোক্তা অধিকার আইন, ২০০৯ অনুসারে সেবামূল্য সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করে অতিরিক্ত রুম ভাড়া গ্রহণ করায় এই দুটি হোটেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ ফোর্স এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ, কক্সবাজার ফোর্সের সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য যে- শুক্রবার ও শনিবার কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল মোটেল জোন ও সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, এক হোটেল থেকে আরেক হোটেলে ছুটছেন পর্যটকরা। এমনও পাওয়া গেছে- ৫০-৬০টি হোটেল ঘুরেও রুম পাননি পর্যটকরা। এছাড়াও সৈকতের বালিয়াড়িতে ভিড় করেছেন পর্যটকরা।