
পাইকগাছা প্রতিনিধি।।
পাইকগাছায় হয়রানি মূলকভাবে জমি জবরদখল সহ মৎস্য ঘেরের মাছ সংঘবদ্ধভাবে ধরে নেওয়া সহ জোর পূর্বক বাসা তৈরির অভিযোগ করেছেন জনৈক আবু মুসা ও পাচু রায়।
মুসা ও পাচু রায় বলেন- উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের চরের বিলে দীর্ঘ দুই যুগেরও অধিক সময় ধরে জমি হারী নিয়ে মৎস্য ঘের পরিচালনা করে আসছি। এছাড়াও জমির মালিকদের কাছ থেকে হারী নেওয়া ১৬ বিঘা জমির পাশে সরকারি চর ভরাটি আরো ৬ বিঘা জমি জেগে উঠলে আমরা উক্ত জমি বাঁধ বন্দী দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ধান ও মৎস্য চাষ করে আসছি। উল্লেখ্য- উক্ত চর ভরাটি ৬ বিঘা সরকারি জমি বন্দবস্ত পাওয়ার লক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবর গত ইং- ২০১৩ সাল নাগাদ আবেদনও করেছি- যেটা চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় গত ইং- ২০২১ সালে পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর গ্রামের নজরুল গাজীর ছেলে ছহিল উদ্দীন গাজী আমাদের নামে কোর্টে উক্ত জমি বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। কোর্টে মামলাটি মিথ্যা প্রতীয়মান হওয়ায় খারিজ করে দেন। সর্বশেষ গত ইং- ০৪-১২-২০২৪ তারিখ ছহিল উদ্দীন গংরা আমাদের মৎস্য ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে মাছ ধরা সহ একটি বাসা বেঁধে ঝগড়া করার পায়তারা চলমান রেখেছে।
এদিকে ছহিল উদ্দিন বলেন দুটি দলিল মূলে নালিশী জমির মালিক আমি। জমির কর খাজনা পরিশোধ রয়েছে। ১ একর ৮৬ শতক জমি আমার নামে নাম পত্তন ও হয়েছে। জমিতে আমার বাসা রয়েছে। রেকর্ড সংশোধন এবং সিভিল মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রতিপক্ষ মুছা পাচু গংদের বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৭৬-২০২৪ নং নিষেধাজ্ঞা মামলা রয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী থানা পুলিশ স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নোটিশ প্রদান করেছে। তারা অন্য জেলার বাসিন্দা হয়ে নালিশী জমি জোর পূর্বক দখলে রাখতে চায় বলে অভিযোগ করেন ছহিল উদ্দিন গাজী। এদিকে বিরোধপূর্ণ নালিশী জমির দখল পাল্টা দখল ও কর্তৃত্ব নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে এলাকাবাসীরা জানান।