Dhaka , Thursday, 14 November 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
চট্টগ্রামের রাউজানে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো চার ইটভাটা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড।। লালপুরে মরহুম ফজলুর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট।। ঢাবি সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটিকে ছাত্রশিবিরের ফুলের শুভেচ্ছা।। বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন।। নোয়াখালীতে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক এর  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন।। লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ  কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ।। রাজধানীর এ কে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাউশি’র আদেশ অমান্য করে অবৈধ অধ্যক্ষকে বহাল রাখতে মোটা অংকের অর্থ লেনদেনের অভিযোগ।। বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের জায়গা হবেনা- কাজী মফিজুর।। সংস্কৃতি মনা মানুষ কখনো অন্যায় করতে পারে না- জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন।। গাজীপুরে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের সাথে সুষ্ঠু সমাধান প্রয়োজন।। লক্ষ্মীপুরে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা।। পাবনায় বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিসব উপলক্ষে আলোচনা সভা।। মেহেরপুরে কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।। হালদা নদী থেকে পাঁচ হাজার মিটার অবৈধ ঘেরাজাল জব্দ।। রামুতে অপহৃত শিশু ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করলো র‍্যাব-১৫।। কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা হতে মাদক মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার।। রূপগঞ্জে স্কুল ছাত্র রোমান হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার।। রূপগঞ্জে পূর্বাচল লেকের পাড় থেকে পলিথিনে মোড়ানো খন্ড বিখন্ড মরদেহ উদ্ধার।। রূপগঞ্জে মাদক চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে এলাকাবাসীর মতবিনিময়।। রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ।। রামগতি পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেফতার।। সদরপুরে আমন ধানের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি।। সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবে স্বপ্ন সারথি ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন।। কক্সবাজারের পেকুয়ার জিয়া উদ্দিন ইয়াবাসহ আটক।। ইবিতে আলফিকহ বিভাগের অধ্যাপকের নতুন বই প্রকাশ।। নির্বাচনের ডেটলাইন দিতে এতো দ্বিধা এতো সংকোচ কেন অন্তর্বর্তী সরকারকে রিজভী।। ফরিদপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ একাধিক ছাই তৈরি কারখানা অর্থাৎ চারকোন।সমস্যায় ভুগছে সাধারন মানুষ।। পিরোজপুর পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ডের মৎস্যজীবীদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত।। জনগণের  চলাচলের সুবিধার্থে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে নদীতে ব্রীজ নির্মাণ।।  দুর্গাপুরে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত।।

পাহাড়-টিলা ও জলাশয় ভরাট না করার লিখিত অঙ্গীকার পেলেন বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 02:44:41 pm, Sunday, 10 November 2024
  • 9 বার পড়া হয়েছে

পাহাড়-টিলা ও জলাশয় ভরাট না করার লিখিত অঙ্গীকার পেলেন বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব।।

ইসমাইল ইমন
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
  
   
চট্টগ্রাম নগরীতে সবচাইতে বেশি পাহাড়সমৃদ্ধ এলাকা আকবরশাহ’র অন্তত ৪ শতাধিক পাহাড়-টিলা ও জলাশয় ভূমির মালিক পাহাড়-টিলা কর্তন ও মোচন এবং জলাশয় ভরাট না করার লিখিত অঙ্গীকার করেছেন।
১০ নভেম্বর- রবিবার- বিকেলে আকবরশাহ থানাধীন উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জয়ন্তিকা ও উত্তর লেকসিটি এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় ভূমি মালিকেরা সবাই হাত তুলে ও লিখিত আকারে এই অঙ্গীকারপত্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রামের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক -রাজস্ব- ও বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব মো. সাদি উর রহিম জাদিদের হাতে।   
ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদি সমিতি -বেলা- এবং ভোরের আলো। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক সোনিয়া সুলতানা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার -ভূমি- মো. আরাফাত সিদ্দিকী- ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আকবরশাহ থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার সেলিম, সিএমপির আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি-তদন্ত- মো. আফতাব হোসেন- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির -বেলা- চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মুনিরা পারভীন রুবা। ভোরের আলো’র প্রতিষ্ঠাতা, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মো. শফিকুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভূমি মালিকদের পক্ষ থেকে পাহাড়-টিলা কর্তন-মোচন ও জলাশয় ভরাট না করার লিখিত অঙ্গীকারপত্র তুলে ধরেন জয়ন্তিকা আবাসিক প্লট মালিক কল্যাণ কমিটির আহবায়ক মো. তৌহিদুল ইসলাম। ভূমি মালিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ওহীদুল ইসলাম, সদস্যসচিব মো. কামাল উদ্দীন ও ভূমি মালিকপক্ষের প্রতিনিধি মো. আক্কাস আলী। 
   
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক -রাজস্ব- মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন সংশোধিত ২০১০ অনুযায়ী সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় বা টিলা- ছনখেলা কিংবা দৃশ্যমান পাহাড়, জলাশয় যাই হোক না কেন, তা কাটা, মোচন বা ভরাট করা এবং যে কোনো ধরণের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ। পাহাড় পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষাকারী। জলাশয় বিপদের বন্ধু। পাশাপাশি প্রকৃতির অপার সৃষ্টি এই পাহাড়-টিলা কিংবা জলাশয় আমাদের মানবজাতির বেঁচে থাকার উৎস। এটিকে কোনোভাবেই নষ্ট কিংবা ক্ষতিসাধন কিংবা মোচন করা যাবে না। আমার পরিবারের জন্য পৃথিবীর শত-হাজার কোটি মানুষের ক্ষতি আমরা করতে পারি না। সুতরাং, আমাদের কঠোর এবং শেষ বার্তা হচ্ছে- বন-পরিবেশ-প্রকৃতি কিংবা জলাশয় নিশ্চিহ্ন করে কিংবা ক্ষতি করে কোনো আবাসনের সুযোগ নেই। নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে পাহাড়-টিলা থেকে আপনারা সরে যান। জলাশয় তথা খাল, পুকুর, নদীসহ জলাধার ভরাট করে কিংবা দখল করে যারা স্থাপনা করেছেন বা করছেন তারা তা উন্মুক্ত করে দিন। 
তিনি বলেন, আমরা আকবরশাহ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। পরিবেশ আইন সবার জন্য। সুতরাং আপনারা নিজেরা যদি সচেতন হন, তাহলে আমাদের আপনাদের উচ্ছেদের প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে কিছু করেন তাতে কোনো ছাড় পাবেন না। 
আসুন, আমরা আগামির সুন্দর বাংলাদেশ, প্রাকৃতিক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি পুনঃস্থাপনে কাজ করি। 
মতবিনিময় সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিবেশ-প্রকৃতির প্রয়োজনীয়তা, আইন অমান্যের শাস্তি ও ভূমি মালিকদের করণীয় বিষয়ে, বেলার সমন্বয়কারী মুনিরা পারভীন রুবা সুন্দর আগামির জন্য পাহাড়-টিলা ও জলাশয় অবমুক্ত করে তথা সংরক্ষণ করে আগামির নাগরিকদের সুন্দর বাংলাদেশ উপহারের আহবান এবং আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) পাহাড় কাটার সংবাদ পুলিশকে জানানোর এবং পাহাড়ে বা টিলায় একটি কোপও যেন না দেয়া হয় তাতে সতর্ক করে যে কোনো প্রয়োজনে কিংবা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য থানা পুলিশের সহযোগিতা নিতে আহবান জানান। সেই সাথে এই ধরণের অপরাধ কেউ করলে গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে- যেভাবেই হোক পুলিশকে অবগত করতে ভূমি মালিকদের অনুরোধ জানান। সেই সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।  
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক সোনিয়া সুলতানা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত পাহাড় টিলা কর্তন ও জলাশয় ভরাটের তথ্য পাচ্ছি। আকবরশাহতেও এগুলো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও মামলা দেয়া হচ্ছে। সুতরাং আমরা চাই না আপনাদের কষ্ট দিতে। আপনারা যদি পাহাড়-টিলা বা জলাশয় মোচন থেকে বিরত থাকেন এবং পরিবেশ আইন মেনে চলেন, আমাদের এসব করতে হয় না। আসুন আমরা সবাই মিলে পাহাড়-টিলা ও জলাশয় তথা পরিবেশ সুরক্ষায় একত্রে কাজ করি। 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

চট্টগ্রামের রাউজানে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো চার ইটভাটা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড।।

পাহাড়-টিলা ও জলাশয় ভরাট না করার লিখিত অঙ্গীকার পেলেন বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব।।

আপডেট সময় : 02:44:41 pm, Sunday, 10 November 2024
ইসমাইল ইমন
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
  
   
চট্টগ্রাম নগরীতে সবচাইতে বেশি পাহাড়সমৃদ্ধ এলাকা আকবরশাহ’র অন্তত ৪ শতাধিক পাহাড়-টিলা ও জলাশয় ভূমির মালিক পাহাড়-টিলা কর্তন ও মোচন এবং জলাশয় ভরাট না করার লিখিত অঙ্গীকার করেছেন।
১০ নভেম্বর- রবিবার- বিকেলে আকবরশাহ থানাধীন উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জয়ন্তিকা ও উত্তর লেকসিটি এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় ভূমি মালিকেরা সবাই হাত তুলে ও লিখিত আকারে এই অঙ্গীকারপত্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রামের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক -রাজস্ব- ও বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব মো. সাদি উর রহিম জাদিদের হাতে।   
ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদি সমিতি -বেলা- এবং ভোরের আলো। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক সোনিয়া সুলতানা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার -ভূমি- মো. আরাফাত সিদ্দিকী- ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আকবরশাহ থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার সেলিম, সিএমপির আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি-তদন্ত- মো. আফতাব হোসেন- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির -বেলা- চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মুনিরা পারভীন রুবা। ভোরের আলো’র প্রতিষ্ঠাতা, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মো. শফিকুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভূমি মালিকদের পক্ষ থেকে পাহাড়-টিলা কর্তন-মোচন ও জলাশয় ভরাট না করার লিখিত অঙ্গীকারপত্র তুলে ধরেন জয়ন্তিকা আবাসিক প্লট মালিক কল্যাণ কমিটির আহবায়ক মো. তৌহিদুল ইসলাম। ভূমি মালিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ওহীদুল ইসলাম, সদস্যসচিব মো. কামাল উদ্দীন ও ভূমি মালিকপক্ষের প্রতিনিধি মো. আক্কাস আলী। 
   
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক -রাজস্ব- মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন সংশোধিত ২০১০ অনুযায়ী সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় বা টিলা- ছনখেলা কিংবা দৃশ্যমান পাহাড়, জলাশয় যাই হোক না কেন, তা কাটা, মোচন বা ভরাট করা এবং যে কোনো ধরণের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ। পাহাড় পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষাকারী। জলাশয় বিপদের বন্ধু। পাশাপাশি প্রকৃতির অপার সৃষ্টি এই পাহাড়-টিলা কিংবা জলাশয় আমাদের মানবজাতির বেঁচে থাকার উৎস। এটিকে কোনোভাবেই নষ্ট কিংবা ক্ষতিসাধন কিংবা মোচন করা যাবে না। আমার পরিবারের জন্য পৃথিবীর শত-হাজার কোটি মানুষের ক্ষতি আমরা করতে পারি না। সুতরাং, আমাদের কঠোর এবং শেষ বার্তা হচ্ছে- বন-পরিবেশ-প্রকৃতি কিংবা জলাশয় নিশ্চিহ্ন করে কিংবা ক্ষতি করে কোনো আবাসনের সুযোগ নেই। নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে পাহাড়-টিলা থেকে আপনারা সরে যান। জলাশয় তথা খাল, পুকুর, নদীসহ জলাধার ভরাট করে কিংবা দখল করে যারা স্থাপনা করেছেন বা করছেন তারা তা উন্মুক্ত করে দিন। 
তিনি বলেন, আমরা আকবরশাহ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। পরিবেশ আইন সবার জন্য। সুতরাং আপনারা নিজেরা যদি সচেতন হন, তাহলে আমাদের আপনাদের উচ্ছেদের প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে কিছু করেন তাতে কোনো ছাড় পাবেন না। 
আসুন, আমরা আগামির সুন্দর বাংলাদেশ, প্রাকৃতিক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি পুনঃস্থাপনে কাজ করি। 
মতবিনিময় সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিবেশ-প্রকৃতির প্রয়োজনীয়তা, আইন অমান্যের শাস্তি ও ভূমি মালিকদের করণীয় বিষয়ে, বেলার সমন্বয়কারী মুনিরা পারভীন রুবা সুন্দর আগামির জন্য পাহাড়-টিলা ও জলাশয় অবমুক্ত করে তথা সংরক্ষণ করে আগামির নাগরিকদের সুন্দর বাংলাদেশ উপহারের আহবান এবং আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) পাহাড় কাটার সংবাদ পুলিশকে জানানোর এবং পাহাড়ে বা টিলায় একটি কোপও যেন না দেয়া হয় তাতে সতর্ক করে যে কোনো প্রয়োজনে কিংবা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য থানা পুলিশের সহযোগিতা নিতে আহবান জানান। সেই সাথে এই ধরণের অপরাধ কেউ করলে গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে- যেভাবেই হোক পুলিশকে অবগত করতে ভূমি মালিকদের অনুরোধ জানান। সেই সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।  
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক সোনিয়া সুলতানা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত পাহাড় টিলা কর্তন ও জলাশয় ভরাটের তথ্য পাচ্ছি। আকবরশাহতেও এগুলো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও মামলা দেয়া হচ্ছে। সুতরাং আমরা চাই না আপনাদের কষ্ট দিতে। আপনারা যদি পাহাড়-টিলা বা জলাশয় মোচন থেকে বিরত থাকেন এবং পরিবেশ আইন মেনে চলেন, আমাদের এসব করতে হয় না। আসুন আমরা সবাই মিলে পাহাড়-টিলা ও জলাশয় তথা পরিবেশ সুরক্ষায় একত্রে কাজ করি।