Dhaka , Sunday, 22 December 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
হাওরের অলওয়েদার সড়ক নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করবে সরকার।। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেল তথ্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের।। শেখ হাসিনা লক্ষ্মণ সেনের মত পালিয়ে গেছে ব্যারিস্টার সালাম।। ককসবাজারে দিনব্যাপী শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত।। কক্সবাজারের প্রেমিক যুগলের ইয়াবা পাচার পটিয়া থানা পুলিশের হাতে ধরা।। পাবনায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত ২।। নীলফামারীতে বন বিভাগের বাগান থেকে দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।। পাবনা স্কুলছাত্রী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন মূল আসামি আটক।। লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ- আহত ১৫সব কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা।। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত তরঙ্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থা আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী।। সা’দ পন্থিদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে হাটহাজারী ওলামা পরিষদ। সুন্দরগঞ্জের দূর্গম চরে শীতবস্ত্র বিতরণ।। চট্টগ্রামে স্কুলের সভাপতি নির্বাচনে উপদেষ্টার পিএস’র হস্তক্ষেপের অভিযোগ।। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় ফেয়ার মিশনের আয়োজনে মাদক বিরোধী র‌্যালী ও আলোচনা সভা।। জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির।। সোনাইমুড়ীতে হোসেনপুর ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদরাসার উদ্বোধন।। ১৫ বছরের অবরুদ্ধ সাংবাদিকতার অবসান ঘটেছে- ফয়েজ আহম্মদ।। ভারত বাংলাদেশ থেকে লাথি খেয়ে চলে গেছে বাকা চোখে তাকালে চোখ তুলে ফেলব- ইসহাক খন্দকার।। উখিয়ায় প্রকাশ্যে পাহাড় কাটছে ইউপি সদস্য।। ২৯০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-গুলশান।। সংঘর্ষ নয় অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে সাদপন্থীরা- মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।। সংবাদপত্র, মিডিয়াকে মাফিয়া ফ্যাসিবাদীদের কবল থেকে রক্ষা করে নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দেয়া প্রয়োজন।। চাকা পাংচার হয়ে এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু।। হেফাজতের হাটহাজারী শাখার কর্মী সম্মেলন সম্পন্ন।। একুশে পাঠচক্রের নিয়মিত আসর অনুষ্ঠিত।। পাইকগাছায় শেখ ইমাম উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত।। রূপগঞ্জে কর্মহীন যুবদের আত্মকর্মসংস্থানে আয়বর্ধকমূলক প্রশিক্ষণ।। রাজশাহীতে চলছে বই মেলা।। সদরপুরে আব্দুল কাদের মোল্লার জীবন ও কর্ম বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।। লক্ষ্মীপুরে মাকে বেঁধে রেখে তরুণীকে ধর্ষণায় ঘটনায় ২ ধর্ষক গ্রেফতার।।

লক্ষ্মীপুরে এখনো ৫ লাখ মানুষ পানি বন্দী আবারো প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পরে গ্রাম।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 09:42:43 am, Sunday, 15 September 2024
  • 53 বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুরে এখনো ৫ লাখ মানুষ পানি বন্দী আবারো প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পরে গ্রাম।।

মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
   
   
গত তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে লক্ষ্মীপুরে আবারো গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির আগে কিছু এলাকার পানি কমলেও তা এখন আবার পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে লক্ষ্মীপুর বাসী দীর্ঘ মেয়াদী বন্যার কবলে পড়ছে।এখনো প্রায় ৫ লাখ মানুষ পানি বন্দী হয়ে আছে। 
  বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির পর প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ঘরে ফিরলেও এখনো প্রায় ২৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। বানভাসি এসব মানুষের অভিযোগ- তারা পর্যাপ্ত ত্রাণও পাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত মৎস্য- কৃষি- গবাদিপশুসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি।
লক্ষ্মীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ছকিনা বেগম- শাহেদ আলীসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন- ৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার-পরিজন নিয়ে রয়েছি। বন্যার প্রথম দিকে দিনে তিনবার খাবার পেতাম। 
দুবেলা ভাত ও খিচুড়ি এবং এক বেলা শুকনো খাবার। এখন আর আগের মতো খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক কষ্টে দিন কাটছে। পাশাপাশি ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। কীভাবে সামনের দিন যাবে। সব অন্ধকার দেখছি।
এমন অভিযোগ মিলেছে বাঙ্গাখা উচ্চবিদ্যালয়- রশিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ রামগঞ্জ ও রায়পুরের বিভিন্ন কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া বানভাসিদের কাছ থেকে। তাদের দাবি, ত্রাণের জন্য তাদের অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না।
সদর উপজেলার হোগল ডহুরী গ্রামের শাহেদ মিয়া ও কুলছুম বেগম বলেন- রাস্তার পাশে যারা রয়েছে। তারা বেশ কয়েকবার ত্রাণ পেয়েছে। আর যারা কিছু দূরে পানিতে ভাসছে, তাদের পাশে ত্রাণ নিয়ে কেউ যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত একবারও ত্রাণ বা কোনো সহায়তা পাইনি। অর্ধাহারে ও অনাহারে খুবই কষ্টের মধ্যে ছেলেমেয়ে নিয়ে দিন কাটছে। কবে এসব দুর্ভোগ কমবে। বন্যার পানিতে ২৫ দিন ধরে বন্দী রয়েছি। এখন পর্যন্ত হাঁটুর ওপরে পানি। ৩০ বছরেও এমন কষ্টের মধ্যে পড়েননি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
সদর উপজেলায় তিন সপ্তাহ ধরে চলছে বন্যা। এর আগে ভারী বৃষ্টিপাতে আরও ৫ দিনের বেশি সময় ধরে ছিল ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। আবার জেলার কমলনগর এবং রামগতি উপজেলার পূর্বাংশে এক মাস আগ থেকেই জলাবদ্ধতা শুরু হয়। এর সঙ্গে যোগ হয় উজানের ঢলের পানি। জেলার রায়পুর এবং রামগঞ্জের অধিকাংশ  এলাকাই বন্যাকবলিত। এতে দেখা যায়, জেলার কোথাও এক মাসের বেশি সময় ধরে লোকজন পানিবন্দী হয়ে সীমাহীন কষ্টে বসবাস করছে। জেলা প্রশাসনের হিসাবমতে- ৮ লাখের বেশি লোক পানিবন্দী ছিল। এখনো পানিবন্দী প্রায় ৫ লাখের বেশি মানুষ।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন- ১৯৮ আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নেয়। এখনো ২৫ হাজারের মতো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। তবে তাদের খাবারের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। জেলায় এখন পর্যন্ত ৭৮৯ টন চাল ও নগদ ৫৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। ক্ষতিগ্রস্ত সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছেছে। হয়তোবা যেভাবে সবাই আশা করছে- সেভাবে পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এরপর খোঁজখবর নিচ্ছি। 
এ দিকে রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সে সব কেন্দ্রে সরকারি ভাবে কোন ত্রাণই আসেনি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

হাওরের অলওয়েদার সড়ক নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করবে সরকার।।

লক্ষ্মীপুরে এখনো ৫ লাখ মানুষ পানি বন্দী আবারো প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পরে গ্রাম।।

আপডেট সময় : 09:42:43 am, Sunday, 15 September 2024
মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
   
   
গত তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে লক্ষ্মীপুরে আবারো গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির আগে কিছু এলাকার পানি কমলেও তা এখন আবার পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে লক্ষ্মীপুর বাসী দীর্ঘ মেয়াদী বন্যার কবলে পড়ছে।এখনো প্রায় ৫ লাখ মানুষ পানি বন্দী হয়ে আছে। 
  বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির পর প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ঘরে ফিরলেও এখনো প্রায় ২৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। বানভাসি এসব মানুষের অভিযোগ- তারা পর্যাপ্ত ত্রাণও পাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত মৎস্য- কৃষি- গবাদিপশুসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি।
লক্ষ্মীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ছকিনা বেগম- শাহেদ আলীসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন- ৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার-পরিজন নিয়ে রয়েছি। বন্যার প্রথম দিকে দিনে তিনবার খাবার পেতাম। 
দুবেলা ভাত ও খিচুড়ি এবং এক বেলা শুকনো খাবার। এখন আর আগের মতো খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক কষ্টে দিন কাটছে। পাশাপাশি ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। কীভাবে সামনের দিন যাবে। সব অন্ধকার দেখছি।
এমন অভিযোগ মিলেছে বাঙ্গাখা উচ্চবিদ্যালয়- রশিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ রামগঞ্জ ও রায়পুরের বিভিন্ন কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া বানভাসিদের কাছ থেকে। তাদের দাবি, ত্রাণের জন্য তাদের অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না।
সদর উপজেলার হোগল ডহুরী গ্রামের শাহেদ মিয়া ও কুলছুম বেগম বলেন- রাস্তার পাশে যারা রয়েছে। তারা বেশ কয়েকবার ত্রাণ পেয়েছে। আর যারা কিছু দূরে পানিতে ভাসছে, তাদের পাশে ত্রাণ নিয়ে কেউ যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত একবারও ত্রাণ বা কোনো সহায়তা পাইনি। অর্ধাহারে ও অনাহারে খুবই কষ্টের মধ্যে ছেলেমেয়ে নিয়ে দিন কাটছে। কবে এসব দুর্ভোগ কমবে। বন্যার পানিতে ২৫ দিন ধরে বন্দী রয়েছি। এখন পর্যন্ত হাঁটুর ওপরে পানি। ৩০ বছরেও এমন কষ্টের মধ্যে পড়েননি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
সদর উপজেলায় তিন সপ্তাহ ধরে চলছে বন্যা। এর আগে ভারী বৃষ্টিপাতে আরও ৫ দিনের বেশি সময় ধরে ছিল ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। আবার জেলার কমলনগর এবং রামগতি উপজেলার পূর্বাংশে এক মাস আগ থেকেই জলাবদ্ধতা শুরু হয়। এর সঙ্গে যোগ হয় উজানের ঢলের পানি। জেলার রায়পুর এবং রামগঞ্জের অধিকাংশ  এলাকাই বন্যাকবলিত। এতে দেখা যায়, জেলার কোথাও এক মাসের বেশি সময় ধরে লোকজন পানিবন্দী হয়ে সীমাহীন কষ্টে বসবাস করছে। জেলা প্রশাসনের হিসাবমতে- ৮ লাখের বেশি লোক পানিবন্দী ছিল। এখনো পানিবন্দী প্রায় ৫ লাখের বেশি মানুষ।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন- ১৯৮ আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নেয়। এখনো ২৫ হাজারের মতো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। তবে তাদের খাবারের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। জেলায় এখন পর্যন্ত ৭৮৯ টন চাল ও নগদ ৫৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। ক্ষতিগ্রস্ত সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছেছে। হয়তোবা যেভাবে সবাই আশা করছে- সেভাবে পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এরপর খোঁজখবর নিচ্ছি। 
এ দিকে রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সে সব কেন্দ্রে সরকারি ভাবে কোন ত্রাণই আসেনি।