তিতাস -কুমিল্লা- প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসের রাস্তার নির্মাণের কাজে ঠিকাদার ও কতৃপক্ষের গাফলতি ও উদাসীনতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারী ও এলাকাবাসী। কাজের শুরুতেই একদিন কাজ করলে একসপ্তাহ শ্রমিকদের আর দেখা মিলেনা। তাদের বারংবার এ গড়িমসির কারণেই রাস্তার কাজের অগ্রগতি হচ্ছেনা বলে জানান এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে কতৃপক্ষের চরম উদাসীনতা রয়েছে বলে জানান তারা।রাস্তায় গজে উঠেছে হাটু সমান ঘাস- রাস্তা উঠানো পুরনো ইটের স্তূপ করা সুড়কি গুলো লোনা ধরে গেছে,। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।তাছাড়া নয়াকান্দি গ্রাম সংলগ্ন একটি অংশে ইট সুরকি বৃষ্টির পানির সাথে সরে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পুরো রাস্তা ধ্বসে গেছে।উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের মঙ্গলকান্দি ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার পুকুর থেকে বারকাউনিয়া বাজার পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়নের নামে রাস্তা খুড়ে রাখা হয়েছে।প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা বাজেটের রাস্তাটি প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে খুড়ে ফেলে রাখা হয়।
বিশেষ করে মঙ্গলকান্দি মাদ্রাসা থেকে মঙ্গলকান্দি ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১কিলোমিটার রাস্তার যায়গায় যায়গায় পুরনো ইটের সুরকি দিয়ে স্তুুপ করে রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। যার কারণে সিএনজি- অটোরিক্সাসহ ছোট বড় কোন যানবাহনই চলাচল করতে পারছেনা এ রাস্তা দিয়ে। এমনকি খালি পায়েও রাস্তাটি অযোগ্য বলে জানান এলাকাবাসী। আর বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় চলাচলে একেবারেই অনুপযোগী হয়ে উঠে।এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে বইছে চরম ক্ষোভ।খুড়ে ফেলে রাখা এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন মঙ্গলকান্দি- নয়াকান্দি- বাটকাউনিয়া- স্বরসতিরচর- তাতুয়াকান্দি- বড় সাতানী- ছোট সাতানীর ফরিদপুর গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২১ হাজার মানুষ চলাচল করে। ওই সড়কেই রয়েছে প্রাথমিক- মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ফাজিল মাদরাসাসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ওই রাস্তা ধরে প্রতিদিন শত শত পথচারীসহ শিক্ষার্থীরা চলাচল করে থাকে।
কিন্তু দীর্ঘদিন খুড়ে রাখায় এখন জন ভোগান্তি চরমে উঠেছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম হওয়ায় আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে ওই রাস্তায় চলাচলকারীরা। কাজের ধীর গতিতে ফুঁসে উঠছে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। দ্রুত রাস্তার কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান- প্রায় তিন মাস আগে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য খুড়ে ফেলে। কিন্তু দির্ঘদিন পার হলেও কাজের কোন অগ্রগতি নেই। বিশেষ করে এসময় ঘন ঘন বৃষ্টি হওয়ায় বেশি দুর্ভোগে পড়েছে চলাচলাকারীরা।যান চলাচল না থাকায় আমাদের কৃষিপন্য বাজারে নিতে পারিনা তাতে করে কম দামে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।বাজারের দুটি ব্যাগ একটি হাতে আরেকটি মাথায় করে পায়ে হেটে যাচ্ছেন এক পথচারী গৃহীনি তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি খুড়ে রাখা হয়েছে, কিন্তু কাজ করছে না। গাড়ি চলাচল না থাকায় বাজার নিয়ে হাটা খুব সমস্যা হচ্ছে।এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান,আমি ঠিকারদারকে দ্রুত কাজ করার জন্য চিঠি দিয়েছি।কাজ না করলে আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিব।