Dhaka , Friday, 4 July 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
পারিবারিক চলাচলের পথে সরকারি রাস্তা নির্মানে বাঁ’ধা : সদরপুরে বিএনপি সভাপতির হাতে লা’ঞ্চি’ত গ্রামবাসী রূপগঞ্জে সাত বছরেও সুবর্ণা হ’ত্যার বি’চার হয়নি, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন, সুবর্ণার চাচাকে অ’পহ’রণ করে নি’র্যাত’ন নোয়াখালীতে কি’ডনি ডা’য়ালাইসি’স সেন্টারে দু’দকের অ’ভিযা’ন হাতীবান্ধা থেকে ২০ কেজি গাঁ’জাসহ দুই মা’দক কা’রবারি’কে গ্রে’প্তার করেছে র‍্যাব পাটগ্রাম থানা থেকে দুইজন আ’সামী’কে ছিনিয়ে নেয় দু’র্বৃত্ত’রা, ও’সিসহ আ’হত ২০ আলেমগণ নিজেরাই বি’ভেদ তৈরী করলে ইসলামী ক’ল্যা’ণ রা’ষ্ট্রের সম্ভাবনা পি’ছিয়ে যাবে – ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জ’লবা’য়ু মো’কাবি’লা ও জী’ববৈচি’ত্র্য র’ক্ষা’য় সুইডেনের স’হায়’তায় গ্র’হণ করা হচ্ছে বিশেষ প্র’কল্প। – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান  রামগঞ্জ পৌরসভার বা’জে’ট ঘোষণা  মধুপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শি’ক্ষিকা লাকী’র আ’ত্মহ’ত্যা’র র’হস্য উ’ন্মো’চন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে শি’শু ঊর্মির হা’র্টে’র অপা’রে’শ’ন সম্পন্ন খেলাধুলা যুব সমাজকে মা’দক মু’ক্ত  রাখতে পারে, উইএনও মো. মোশারফ হোসাইন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির উত্তরাঞ্চ’লীয় মু’খ্য মু’খ্য সংগঠক অপকর্মের বি’রুদ্ধে বিএনপির অবস্থান ও অ্যাকশন দেখতে চান উজিরপুরে  প্র’তিপ’ক্ষকে ফাঁ’সা’তে  মি’থ্যা মা’মলা দিয়ে হ’য়রা’নি অ’ভিযো’গ গাজীপুরে শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরের বি’রু’দ্ধে আরও দুই হ’ত্যা মা’মলা রামুতে ডে’ঙ্গু ও ক’রো’না ভা’ইরা’স প্রতিরো’ধে সচেতনতা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত দুর্গাপুর মটরযান ক’র্মচা’রী শ্র’মিক ইউনিয়ন নি’র্বাচ’নে সাধারণ সম্পাদক পদে শ্রমিকদের পছন্দের প্রার্থী আলিউল আজিম সাবেক মেয়র মাহবুব খান ও তার ছেলে সিয়ামের ৩২৯ কোটি টাকা আ’ত্মসা’ৎ, দেশ ত্যা’গে নি’ষেধা’জ্ঞা রূপগঞ্জে ট্রা’ক চা’পা’য় অ’জ্ঞা’তনা’মা ব্যক্তির মৃ’ত্যু হাটহাজারীতে কৃষক সমা’বে’শ ন্য’য্য মূল্যে সা’র,বী’জ,কী’টনা’শক ও বিনা সু’দে ঋ’নে’র জো’র দা’বি হাসিনাকে ভারত থেকে ধ’রে এনে বি’চার করতে হবে— নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী অ’গ্নিকা’ণ্ডে পু’ড়ে যায় বাড়িসহ নগদ ৫ লক্ষ টাকা এবং প’শুপা’খি  রামগঞ্জে ই’য়া’বা’স’হ যুবদল ক’র্মী আ’টক লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং কর্ণফুলী এলিট’র নতুন কমিটি গঠন কাজল প্রেসিডেন্ট ও উজ্জল সেক্রেটারী কউকের নী’রবতা’য় কক্সবাজার হোটেল জোনে প্র’ভাবশা’লী সি’ন্ডিকে’টের অ’বৈ’ধ ব’হুত’ল নি’র্মা’ণ জো’রাল! নরসিংদী প্রকল্প জা’লিয়া’তির ৫২ লাখ টা’কা উ’দ্ধা’র, ২ ক’র্মচা’রী গ্রে’প্তার হালিশহরে কোটি টাকার ম’দ উ’দ্ধা’র, কিন্তু চো’রাচা’লানী রয়ে গেছে ব’হাল ত’বিয়’তে আগামী ৬ মাসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বাংলাদেশ নৌ’বাহি’নীকে সু’পারি’শ করেছে সরকার নৌ’পরি’বহন উপদেষ্ট রূপগঞ্জে প্রে’মিকা ও স্বা’মীর ছু’রিকা’ঘা’তে প্রে’মিক নি’হত গাকৃবিতে উচ্চফলনশীল অধিক লবণ সহিষ্ণু গমের নতুন জা’ত ‘জিএইউ গম ১’ উদ্ভাবন    রাজাপুরে সরকারি ৫টি গাছ বি’ক্রির অ’ভিযো’গ স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তার বি’রু’দ্ধে

রোগী ও ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব আমার- স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 10:00:45 am, Saturday, 6 July 2024
  • 65 বার পড়া হয়েছে

রোগী ও ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব আমার- স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী।।

ইসমাইল ইমন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।
   
   
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন বলেছেন- রোগী যাতে যথাযথ চিকিৎসা পায় সেটা দেখা যেমন আমার দায়িত্ব তেমনি ডাক্তাররাও যাতে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে সুরক্ষা পায় সেটা দেখাও আমার দায়িত্ব। রোগী ও ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্বটা আমার।
তিনি ৬ জুলাই -শনিবার -সকালে চটগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কর্তব্যরত ডাক্তারদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন- আপনারা যদি আমাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করেন তাহলে হাসপাতালের সব সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় চেষ্টা আমার থাকবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমআরআই মেশিন- সিটি স্ক্যান নষ্ট এটা শুনতেও আমার কাছে খারাপ লাগে। 
ঢাকার পর চট্টগ্রাম বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এগুলো জরুরি ভিত্তিতে ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় যা যা করা দরকার আমি করব।কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি অনেক কষ্টে সময় বের করে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা- ডিজি সবাইকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছি। ওখানে আমরা স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রেজেন্টেশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়েছিলাম। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সেখানে বিস্তারিত খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আমরা যে প্রসিডিওর, মডেল তৈরী করেছি সেটা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে স্বাস্থ্যখাতে ভালো কিছু হবে।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন আরো বলেন- দেশে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা থাকা সত্বেও মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশেই চিকিৎসা করেন। মাননীয় সংসদ সদস্যরা যার যার স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে যদি চেকআপ করান তাহলে হাসপাতালে চিকিৎসার মান উন্নত হবে। দেশের চিকিৎসার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। ফলে মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবে না।সভায় হাসপাতালের বিভিন্ন অসুবিধা ও লোকবল সংকটের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সীমিত সময়ের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান করা হবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস প্রদান করেন।স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তারের নিরাপত্তার বিষয়ে বলেন, একজন চিকিৎসকের জন্য আমি সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করতে চাই। মহিলা ডাক্তারদের রাতে ডিউটি করার সময় যাতে কোন ধরনের অসুবিধা না হয় আমি তার জন্য কাজ করছি।তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন প্রসঙ্গে বলেন- আমি গতকাল চট্টগ্রামে একটা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমার মন খারাপ হয়ে গেছে। একটা হাসপাতালে যদি ইমার্জেন্সি ডাক্তার না থাকে, অক্সিজেন সিলিন্ডার খালি থাকে তাহলে তারা রোগীকে কি সেবা দিবে। প্রাইভেট ক্লিনিক অবশ্যই চলবে আমি তার বিরুদ্ধে নই। কিন্তু তাদেরকে সব নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের বলব আমি হাসপাতালে অভিযান চালাই না- পরিদর্শন করি। প্রত্যেকটা রোগী যাতে সুচিকিৎসা পায় সেটা দেখার দায়িত্ব আমার। ডাক্তাররা কিভাবে কাজ করছে, তারা সুরক্ষিত আছে কি না সেটা দেখার জন্য আমি পরিদর্শনে যাই। দেশের চিকিৎসার মান উন্নত করতে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন। তাহলে আমি আশা করি- দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়ে বিদেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য এই দেশে আসবে।
   
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গাইনি চিকিৎসকরা ঢাকায় চলে যেতে চায় উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন আরো বলেন, সবাই যদি ঢাকায় যেতে চায় তাহলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ চলবে কেমন করে? এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটা অনুশাসন দিয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, যার যেখানে পোস্টিং তার সেখানেই চাকুরি করতে হবে। কেউ যদি যেতে না চায় বা আসতে না চায় তাহলে তাকে বলবা চাকরি ছেড়ে দিতে। যাকে যেখানে পোস্টিং দেয়া হবে সেখানে তাকে যেতেই হবে।সুন্দরভাবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে যাতে পোস্টিং দিতে পারেন সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাজ করছেন জানিয়ে বলেন- এটি অনেক বড় সময়সাপেক্ষ কাজ। আমি মাত্র ছয় মাস হলো দায়িত্বে আছি। আপনারা ইতোমধ্যে জানেন আমি ঠিক করেছি ঢাকায় দুইদিনের বেশি থাকব না। সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা আমি নিজে গিয়ে দেখব।এর পূর্বে পরিদর্শনের শুরুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন ইউনিটের সাইট পরিদর্শন করেন। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছি। এটা যেহেতু একনেকে পাস হয়ে গেছে আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছে, আমার ইচ্ছা আছে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দেশে থাকেন তখনই উনাকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করানোটা। আশা করি উনারা দেশে ফিরে আসলে আমরা এটা করতে পারবো। এই মাসেই এটা করার চেষ্টা করব আর যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করব। কারণ চাইনিজরা কমিটেড যে দেড় বছর থেকে দুই বছরের মধ্যে ভবন নির্মাণ শেষ করবে। একই সাথে আমরা জনবল যন্ত্রপাতি সবনিয়েই একসাথে কাজ করছি। আমি যে রকম শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে সবগুলো একসাথে করে একদম একদিনে শুরু করতে পেরেছিলাম আমারও টার্গেট হচ্ছে আমরা সবগুলো একসাথে করে চালু করব। এই বার্ন ইউনিট চালু হলে চট্টগ্রাম এবং আশেপাশের জেলা উপকৃত হবে। সবাইকে ঢাকা ছুটতে হবে না।এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউরোলজি- পেডিয়াট্রিক- শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উক্ত বিভাগে ভর্তিকৃত শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের সাথে বিস্তারিত কথা বলেন । বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের সাথেও তিনি চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেন।পরিদর্শনকালে ও মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক -হাসপাতাল- ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাহেনা আক্তার, চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং সিনিয়র স্টাফ নার্সবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

পারিবারিক চলাচলের পথে সরকারি রাস্তা নির্মানে বাঁ’ধা : সদরপুরে বিএনপি সভাপতির হাতে লা’ঞ্চি’ত গ্রামবাসী

রোগী ও ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব আমার- স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী।।

আপডেট সময় : 10:00:45 am, Saturday, 6 July 2024
ইসমাইল ইমন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।
   
   
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন বলেছেন- রোগী যাতে যথাযথ চিকিৎসা পায় সেটা দেখা যেমন আমার দায়িত্ব তেমনি ডাক্তাররাও যাতে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে সুরক্ষা পায় সেটা দেখাও আমার দায়িত্ব। রোগী ও ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্বটা আমার।
তিনি ৬ জুলাই -শনিবার -সকালে চটগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কর্তব্যরত ডাক্তারদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন- আপনারা যদি আমাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করেন তাহলে হাসপাতালের সব সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় চেষ্টা আমার থাকবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমআরআই মেশিন- সিটি স্ক্যান নষ্ট এটা শুনতেও আমার কাছে খারাপ লাগে। 
ঢাকার পর চট্টগ্রাম বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এগুলো জরুরি ভিত্তিতে ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় যা যা করা দরকার আমি করব।কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি অনেক কষ্টে সময় বের করে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা- ডিজি সবাইকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছি। ওখানে আমরা স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রেজেন্টেশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়েছিলাম। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সেখানে বিস্তারিত খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আমরা যে প্রসিডিওর, মডেল তৈরী করেছি সেটা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে স্বাস্থ্যখাতে ভালো কিছু হবে।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন আরো বলেন- দেশে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা থাকা সত্বেও মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশেই চিকিৎসা করেন। মাননীয় সংসদ সদস্যরা যার যার স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে যদি চেকআপ করান তাহলে হাসপাতালে চিকিৎসার মান উন্নত হবে। দেশের চিকিৎসার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। ফলে মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবে না।সভায় হাসপাতালের বিভিন্ন অসুবিধা ও লোকবল সংকটের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সীমিত সময়ের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান করা হবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস প্রদান করেন।স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তারের নিরাপত্তার বিষয়ে বলেন, একজন চিকিৎসকের জন্য আমি সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করতে চাই। মহিলা ডাক্তারদের রাতে ডিউটি করার সময় যাতে কোন ধরনের অসুবিধা না হয় আমি তার জন্য কাজ করছি।তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন প্রসঙ্গে বলেন- আমি গতকাল চট্টগ্রামে একটা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমার মন খারাপ হয়ে গেছে। একটা হাসপাতালে যদি ইমার্জেন্সি ডাক্তার না থাকে, অক্সিজেন সিলিন্ডার খালি থাকে তাহলে তারা রোগীকে কি সেবা দিবে। প্রাইভেট ক্লিনিক অবশ্যই চলবে আমি তার বিরুদ্ধে নই। কিন্তু তাদেরকে সব নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের বলব আমি হাসপাতালে অভিযান চালাই না- পরিদর্শন করি। প্রত্যেকটা রোগী যাতে সুচিকিৎসা পায় সেটা দেখার দায়িত্ব আমার। ডাক্তাররা কিভাবে কাজ করছে, তারা সুরক্ষিত আছে কি না সেটা দেখার জন্য আমি পরিদর্শনে যাই। দেশের চিকিৎসার মান উন্নত করতে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন। তাহলে আমি আশা করি- দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়ে বিদেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য এই দেশে আসবে।
   
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গাইনি চিকিৎসকরা ঢাকায় চলে যেতে চায় উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন আরো বলেন, সবাই যদি ঢাকায় যেতে চায় তাহলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ চলবে কেমন করে? এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটা অনুশাসন দিয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, যার যেখানে পোস্টিং তার সেখানেই চাকুরি করতে হবে। কেউ যদি যেতে না চায় বা আসতে না চায় তাহলে তাকে বলবা চাকরি ছেড়ে দিতে। যাকে যেখানে পোস্টিং দেয়া হবে সেখানে তাকে যেতেই হবে।সুন্দরভাবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে যাতে পোস্টিং দিতে পারেন সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাজ করছেন জানিয়ে বলেন- এটি অনেক বড় সময়সাপেক্ষ কাজ। আমি মাত্র ছয় মাস হলো দায়িত্বে আছি। আপনারা ইতোমধ্যে জানেন আমি ঠিক করেছি ঢাকায় দুইদিনের বেশি থাকব না। সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা আমি নিজে গিয়ে দেখব।এর পূর্বে পরিদর্শনের শুরুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন ইউনিটের সাইট পরিদর্শন করেন। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছি। এটা যেহেতু একনেকে পাস হয়ে গেছে আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছে, আমার ইচ্ছা আছে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দেশে থাকেন তখনই উনাকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করানোটা। আশা করি উনারা দেশে ফিরে আসলে আমরা এটা করতে পারবো। এই মাসেই এটা করার চেষ্টা করব আর যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করব। কারণ চাইনিজরা কমিটেড যে দেড় বছর থেকে দুই বছরের মধ্যে ভবন নির্মাণ শেষ করবে। একই সাথে আমরা জনবল যন্ত্রপাতি সবনিয়েই একসাথে কাজ করছি। আমি যে রকম শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে সবগুলো একসাথে করে একদম একদিনে শুরু করতে পেরেছিলাম আমারও টার্গেট হচ্ছে আমরা সবগুলো একসাথে করে চালু করব। এই বার্ন ইউনিট চালু হলে চট্টগ্রাম এবং আশেপাশের জেলা উপকৃত হবে। সবাইকে ঢাকা ছুটতে হবে না।এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউরোলজি- পেডিয়াট্রিক- শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উক্ত বিভাগে ভর্তিকৃত শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের সাথে বিস্তারিত কথা বলেন । বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের সাথেও তিনি চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেন।পরিদর্শনকালে ও মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক -হাসপাতাল- ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাহেনা আক্তার, চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং সিনিয়র স্টাফ নার্সবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।