Dhaka , Sunday, 8 September 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের ও আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা।। রূপগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা- শিশু সন্তানকে কুপিয়ে যখম।। বিলমাড়ীয়া বাজার কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে মাসুদ সভাপতি মোমিন সম্পাদক  নির্বাচিত।। নোয়াখালীর কবিরহাটে ইমাম মুয়াজ্জিন সম্মেলন অনুষ্ঠিত।। বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম চিরকুট লিখে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা।। গাজী লাশের রাজনীতি করেছে আমরা উন্নয়নের রাজনীতি করবো- দিপু ভুঁইয়া।। হোমনায়  চাঞ্চল্যকর ৩ খুনের আসামী আক্তার  আটক।। সিলেট এমএজি ওসমানী  হাসপাতালে সিনিয়র নার্সিং অফিসার নজরুল ইসলাম বাবুলের বিদায় সংবর্ধনা।। বামনডাঙ্গা স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিয়ে অবরোধ।। বিতর্ক সৃষ্টি হয় এরূপ কোন কর্মে হাত দেওয়া হবে না- ধর্ম উপদেষ্টা।। সকল গায়েবী মামলা প্রত্যাহার করতে হবে- এরশাদ উল্লাহ।। বরিশালে শুরু হয়েছে অসমাপ্ত সড়ক ব্রীজের কাজ- মান নিয়ে সন্তুষ্টি এলাকাবাসীর।। ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদলের বর্ধিত সভা- তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি।। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যৌথ বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে অপহরণের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।। রূপগঞ্জে মাদক- সস্ত্রাস চাঁদাবাজ নৈরাজ্য ও দখলদারদের প্রতিহতে বিএনপির সভা- বিক্ষোভ।। রাজাপুরে যুবদলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।। গণধিকার পরিষদের আলোচনা সভা ও আনন্দ মিছিল।। রামগঞ্জ শাহ জকি উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ফোরামের উপহার সামগ্রী বিতরণ।। ঝালকাঠিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা- আহত-৪।। ঝালকাঠিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কুপিয়ে হত্যা।। দূর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের প্রতিবাদ।। রূপগঞ্জে গাজী টায়ারে ফের আগুন দিয়ে লুটপাট দুর্বৃত্তদের।। রূপগঞ্জে বিএনপির এক পক্ষের সমাবেশকে পন্ড করতে আরেক পক্ষের লোকজনের হামলা- ৮ জনকে কুপিয়ে জখম।। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল আওয়ামী লীগ ও দুর্নীতিবাজ মুক্ত করতে হবে।। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ  চাই।। রামগঞ্জে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে এক যুবকের মৃত্যু।। লক্ষ্মীপুরে বন্যায় প্রাথমিকের  ৫১৭টি সহ ৬৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত।। রূপগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত।। দাফনের ৩০ দিন পর তোলা হল আজাদ সরকারের লাশ।। তিতাসে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ।।

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সড়কদূর্ঘটনায় ৬ মাসে ৩০ জনের মৃত্যু।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:56:56 pm, Friday, 19 April 2024
  • 45 বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সড়কদূর্ঘটনায় ৬ মাসে ৩০ জনের মৃত্যু।।

ফজলে এলাহি ঢালী-ময়মনসিংহ।।

 

 

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় আঞ্চলিক সড়কগুলো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।ব্যস্ত এই সড়কগুলোতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা।প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে চলমান এপ্রিল মাসে সংগঠিত ৪ টি দূর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৩০ জন আহত হয়েছেন।চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১৩ টি সড়ক দূর্ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।জানুয়ারি মাসে ৭জন,ফেব্রুয়ারি মাসে ১ জন,মার্চ মাসে ৫জন এবং এপ্রিল মাসে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।ছাড়াও প্রতিদিন ছোটখাটো দূর্ঘটনায় আহত হচ্ছে মানুষ।সূত্রের বরাতে জানাগেছে,বিগত ৬ মাসে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এসব দূর্ঘটনায় কেবল দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ।ঝামেলা এড়িয়ে চলতে প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা থানায় কোন মামলা দায়ের করতে চাননা।এদিকে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহগুলো বিনা ময়নাতদন্তেই দাফনের ব্যবস্থা করায় আগ্রহ দেখান নিহতের স্বজনরা।অনেকেই চান মরদেহ নিয়ে কোন ঝামেলায় না জড়াতে। আবার ঘাতক যানগুলো সহজেই ছাড়িয়ে নেয় মালিক।কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই এমন সুযোগে সাহস বাড়ছে চালক-মালিকদের।

সূত্রের বরাতে জানা গেছে,১০ জানুয়ারি তারাকান্দায় ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দিয়ে বাসস্টেশন এলাকায় মারা যায় রাকিব-২৭-নামের এক যুবক। ২৩ জানুয়ারি ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট আঞ্চলিক সড়কগুলোর কাকনী ইউনিয়নের তালদিঘী গ্রামে ট্রাক ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন মারা যান।২৫ জানুয়ারি ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের গোপালপুর খামার বাজারে ট্রাকের পিছনে মাহিন্দ্রের ধাক্কায় নিহত হন ১ জন। ১৬ ফেব্রুয়ারি মধুপুর বটতলা এলাকায় মারা যায় এক মোটরসাইকেল আরোহী।১ মার্চ একই সড়কে নিহত হন দুই ভাই-বোন।৪ মার্চ মারা যান ১ অটোচালক।১১ মার্চ তারাকান্দা-ধোবাউড়া সড়কে নিহত হন-২ জন।এপ্রিল মাসে ৮,৯,১৬ তারিখে সংগঠিত দূর্ঘটনায় নিহত হন ৬ জন। ১৬ এপ্রিল ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের রামচন্দ্রপুর নামকস্থানে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে যে দূর্ঘটনাটি ঘটেছে তাতে মহিলাসহ নিহত হন বাসের এক সুপারভাইজার।একই ঘটনায় আহত হন অন্তত ৩০ জন।১৮ এপ্রিল ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের মধুপুর জামান মার্কেটের সামনে মারা যান এক মটরসাইকেল আরোহী।গত বছরের নভেম্বর মাসে নিহত হয়েছেন ৫ জন,ডিসেম্বর মাসে ৩ জন।

তারাকান্দায় সড়কগুলোতে আধিক্য রয়েছে তিনচাকার যানবাহনের।এসব যানবাহন আঞ্চলিক সড়কগুলো দাপিয়ে বেড়ায়।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দ্রুতগতির মোটরসাইকেল আরোহীরা দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।এদিকে সিএনজি,মাহিন্দ্র,পিকআপ,ট্রলী,লড়িতেও দূর্ঘটনা ঘটেছে।আবার বেপরোয়া গতির বাস-ট্রাকও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কগুলোতে দূর্ঘটনা ঘটিয়েছে।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অদক্ষ চালক দ্বারা যানবাহন পরিচালনা সড়কগুলোতে দূর্ঘটনা ঘটার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন অনেকে।

 ঈদসহ যে কোন ধরনের বড় উৎসবের সময় সড়কগুলোতে বাড়ে যানবাহনের সংখ্যা।দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নাম না জানা অনেক পরিবহন চালক তাদের বাসগুলোতে যাত্রী বোঝাই করে উপজেলাটির বুক চিরে তৈরী রাস্তাগুলো ধরে গন্তব্যের পথে ছুটেন।তাদের কাছে নতুন ও অজানা রাস্তায় গাড়ী চালাতে গিয়েও চালকরা ঘটায় দূর্ঘটনা বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেকে।

এদিকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের তারাকান্দা অংশের কাশিগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার একপাশের বেহাল অবস্থার কারণে এক পাশে গাড়ী চলতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা।এই রাস্তাটিতে আধিক্য রয়েছে বালুবাহী ট্রাকের।এসব ট্রাক পরিচালনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় হেলপার ও অদক্ষ ড্রাইভার।যারা প্রতিনিয়তই দূর্ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা মটরযান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ও ড্রাম ট্রাক চালক মো.শহীদুল ইসলাম দুলু-৫৫-জানান,আগের চাইতে অনেক প্রসস্থ হয়েছে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কটি।পাল্লা দিয়ে গাড়ীর সংখ্যা বেড়েছে,বেড়েছে গতিও।আবার আঞ্চলিক সড়ক জুড়ে বেড়েছে সিএনজি,মাহিন্দ্র,ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা।বাস-ট্রাকের সাথে পাল্লা দিয়ে চলে সিএনজি,মাহিন্দ্র ।ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার গতি অনেকটাই ধীর।যাতে সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের।এসব কারণে অনেক সময় আমরা দূর্ঘটনায় পতিত হই।

এ বিষয়ে সিএনজি চালক নূরুল আমিন-৫০-বলেন-মানুষ দ্রুত ভ্রমনের জন্য সিএনজি ব্যবহার করে।অনেকের গন্তব্যে পৌছার তাড়া থাকে। আবার অনেকে আস্তে চালালেও তাড়া দেয়।বাধ্য হয়ে আমাদেরকে গতি বাড়াতে হয়।আবার মহাজনের ভাড়া পরিশোধেরও চিন্তা থাকে।তাই আমরা দ্রুত চালাতে বাধ্য হই।দূর্ঘটনায় আমাদেরই বেশী ক্ষতি হয়।অনেকে মারাও গেছে।সবই পেটের দায়।

এ বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা মটরযান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক চানু মিয়া-৬৫-বলেন-বর্তমানে চালকদের অধিকাংশই তরুন।তাদের মটরযান চালনায় অভিজ্ঞতা কম।তার উপর ধৈর্য্য শক্তিরও ঘাটতি রয়েছে।ওভারটেকিং করা একটা নেশায় পরিণত হয়েছে তাদের।সড়কে রয়েছে তিনচাকার যানের আধিক্য।সব মিলিয়ে সড়কে শৃঙ্খলার চরম ঘাটতির কারণে ঘটছে এসব দূর্ঘটনা।

তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ মো.ওয়াজেদ আলী বলেন-তারাকান্দা উপজেলার উপড় দিয়ে অতিক্রম করা ব্যস্ত রাস্তাগুলোতে বিশেষ করে ময়মনসিংহ-হালূয়াঘাট,ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কে খুব দ্রুত যানবাহন চালিয়ে দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে যানবাহন।আবার রয়েছে অদক্ষ ড্রাইভারের মাধ্যমে যানবাহন পরিচালনা।সড়কে রয়েছে তিনচাকার বাহন ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার আধিক্য।এসব দূর্ঘটনা প্রতিরোধে থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।তারাকান্দা বাসস্টেশন এলাকায় সর্বক্ষন পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।কোথাও দূর্ঘটনা ঘটলেই বা সড়কে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলেই পুলিশী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

কালিয়াকৈরে শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের ও আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা।।

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সড়কদূর্ঘটনায় ৬ মাসে ৩০ জনের মৃত্যু।।

আপডেট সময় : 12:56:56 pm, Friday, 19 April 2024

ফজলে এলাহি ঢালী-ময়মনসিংহ।।

 

 

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় আঞ্চলিক সড়কগুলো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।ব্যস্ত এই সড়কগুলোতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা।প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে চলমান এপ্রিল মাসে সংগঠিত ৪ টি দূর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৩০ জন আহত হয়েছেন।চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১৩ টি সড়ক দূর্ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।জানুয়ারি মাসে ৭জন,ফেব্রুয়ারি মাসে ১ জন,মার্চ মাসে ৫জন এবং এপ্রিল মাসে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।ছাড়াও প্রতিদিন ছোটখাটো দূর্ঘটনায় আহত হচ্ছে মানুষ।সূত্রের বরাতে জানাগেছে,বিগত ৬ মাসে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এসব দূর্ঘটনায় কেবল দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ।ঝামেলা এড়িয়ে চলতে প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা থানায় কোন মামলা দায়ের করতে চাননা।এদিকে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহগুলো বিনা ময়নাতদন্তেই দাফনের ব্যবস্থা করায় আগ্রহ দেখান নিহতের স্বজনরা।অনেকেই চান মরদেহ নিয়ে কোন ঝামেলায় না জড়াতে। আবার ঘাতক যানগুলো সহজেই ছাড়িয়ে নেয় মালিক।কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই এমন সুযোগে সাহস বাড়ছে চালক-মালিকদের।

সূত্রের বরাতে জানা গেছে,১০ জানুয়ারি তারাকান্দায় ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দিয়ে বাসস্টেশন এলাকায় মারা যায় রাকিব-২৭-নামের এক যুবক। ২৩ জানুয়ারি ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট আঞ্চলিক সড়কগুলোর কাকনী ইউনিয়নের তালদিঘী গ্রামে ট্রাক ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন মারা যান।২৫ জানুয়ারি ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের গোপালপুর খামার বাজারে ট্রাকের পিছনে মাহিন্দ্রের ধাক্কায় নিহত হন ১ জন। ১৬ ফেব্রুয়ারি মধুপুর বটতলা এলাকায় মারা যায় এক মোটরসাইকেল আরোহী।১ মার্চ একই সড়কে নিহত হন দুই ভাই-বোন।৪ মার্চ মারা যান ১ অটোচালক।১১ মার্চ তারাকান্দা-ধোবাউড়া সড়কে নিহত হন-২ জন।এপ্রিল মাসে ৮,৯,১৬ তারিখে সংগঠিত দূর্ঘটনায় নিহত হন ৬ জন। ১৬ এপ্রিল ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের রামচন্দ্রপুর নামকস্থানে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে যে দূর্ঘটনাটি ঘটেছে তাতে মহিলাসহ নিহত হন বাসের এক সুপারভাইজার।একই ঘটনায় আহত হন অন্তত ৩০ জন।১৮ এপ্রিল ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের মধুপুর জামান মার্কেটের সামনে মারা যান এক মটরসাইকেল আরোহী।গত বছরের নভেম্বর মাসে নিহত হয়েছেন ৫ জন,ডিসেম্বর মাসে ৩ জন।

তারাকান্দায় সড়কগুলোতে আধিক্য রয়েছে তিনচাকার যানবাহনের।এসব যানবাহন আঞ্চলিক সড়কগুলো দাপিয়ে বেড়ায়।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দ্রুতগতির মোটরসাইকেল আরোহীরা দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।এদিকে সিএনজি,মাহিন্দ্র,পিকআপ,ট্রলী,লড়িতেও দূর্ঘটনা ঘটেছে।আবার বেপরোয়া গতির বাস-ট্রাকও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কগুলোতে দূর্ঘটনা ঘটিয়েছে।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অদক্ষ চালক দ্বারা যানবাহন পরিচালনা সড়কগুলোতে দূর্ঘটনা ঘটার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন অনেকে।

 ঈদসহ যে কোন ধরনের বড় উৎসবের সময় সড়কগুলোতে বাড়ে যানবাহনের সংখ্যা।দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নাম না জানা অনেক পরিবহন চালক তাদের বাসগুলোতে যাত্রী বোঝাই করে উপজেলাটির বুক চিরে তৈরী রাস্তাগুলো ধরে গন্তব্যের পথে ছুটেন।তাদের কাছে নতুন ও অজানা রাস্তায় গাড়ী চালাতে গিয়েও চালকরা ঘটায় দূর্ঘটনা বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেকে।

এদিকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের তারাকান্দা অংশের কাশিগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার একপাশের বেহাল অবস্থার কারণে এক পাশে গাড়ী চলতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা।এই রাস্তাটিতে আধিক্য রয়েছে বালুবাহী ট্রাকের।এসব ট্রাক পরিচালনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় হেলপার ও অদক্ষ ড্রাইভার।যারা প্রতিনিয়তই দূর্ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা মটরযান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ও ড্রাম ট্রাক চালক মো.শহীদুল ইসলাম দুলু-৫৫-জানান,আগের চাইতে অনেক প্রসস্থ হয়েছে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কটি।পাল্লা দিয়ে গাড়ীর সংখ্যা বেড়েছে,বেড়েছে গতিও।আবার আঞ্চলিক সড়ক জুড়ে বেড়েছে সিএনজি,মাহিন্দ্র,ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা।বাস-ট্রাকের সাথে পাল্লা দিয়ে চলে সিএনজি,মাহিন্দ্র ।ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার গতি অনেকটাই ধীর।যাতে সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের।এসব কারণে অনেক সময় আমরা দূর্ঘটনায় পতিত হই।

এ বিষয়ে সিএনজি চালক নূরুল আমিন-৫০-বলেন-মানুষ দ্রুত ভ্রমনের জন্য সিএনজি ব্যবহার করে।অনেকের গন্তব্যে পৌছার তাড়া থাকে। আবার অনেকে আস্তে চালালেও তাড়া দেয়।বাধ্য হয়ে আমাদেরকে গতি বাড়াতে হয়।আবার মহাজনের ভাড়া পরিশোধেরও চিন্তা থাকে।তাই আমরা দ্রুত চালাতে বাধ্য হই।দূর্ঘটনায় আমাদেরই বেশী ক্ষতি হয়।অনেকে মারাও গেছে।সবই পেটের দায়।

এ বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা মটরযান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক চানু মিয়া-৬৫-বলেন-বর্তমানে চালকদের অধিকাংশই তরুন।তাদের মটরযান চালনায় অভিজ্ঞতা কম।তার উপর ধৈর্য্য শক্তিরও ঘাটতি রয়েছে।ওভারটেকিং করা একটা নেশায় পরিণত হয়েছে তাদের।সড়কে রয়েছে তিনচাকার যানের আধিক্য।সব মিলিয়ে সড়কে শৃঙ্খলার চরম ঘাটতির কারণে ঘটছে এসব দূর্ঘটনা।

তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ মো.ওয়াজেদ আলী বলেন-তারাকান্দা উপজেলার উপড় দিয়ে অতিক্রম করা ব্যস্ত রাস্তাগুলোতে বিশেষ করে ময়মনসিংহ-হালূয়াঘাট,ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কে খুব দ্রুত যানবাহন চালিয়ে দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে যানবাহন।আবার রয়েছে অদক্ষ ড্রাইভারের মাধ্যমে যানবাহন পরিচালনা।সড়কে রয়েছে তিনচাকার বাহন ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার আধিক্য।এসব দূর্ঘটনা প্রতিরোধে থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।তারাকান্দা বাসস্টেশন এলাকায় সর্বক্ষন পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।কোথাও দূর্ঘটনা ঘটলেই বা সড়কে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলেই পুলিশী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।