Dhaka , Sunday, 8 September 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের ও আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা।। রূপগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা- শিশু সন্তানকে কুপিয়ে যখম।। বিলমাড়ীয়া বাজার কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে মাসুদ সভাপতি মোমিন সম্পাদক  নির্বাচিত।। নোয়াখালীর কবিরহাটে ইমাম মুয়াজ্জিন সম্মেলন অনুষ্ঠিত।। বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম চিরকুট লিখে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা।। গাজী লাশের রাজনীতি করেছে আমরা উন্নয়নের রাজনীতি করবো- দিপু ভুঁইয়া।। হোমনায়  চাঞ্চল্যকর ৩ খুনের আসামী আক্তার  আটক।। সিলেট এমএজি ওসমানী  হাসপাতালে সিনিয়র নার্সিং অফিসার নজরুল ইসলাম বাবুলের বিদায় সংবর্ধনা।। বামনডাঙ্গা স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিয়ে অবরোধ।। বিতর্ক সৃষ্টি হয় এরূপ কোন কর্মে হাত দেওয়া হবে না- ধর্ম উপদেষ্টা।। সকল গায়েবী মামলা প্রত্যাহার করতে হবে- এরশাদ উল্লাহ।। বরিশালে শুরু হয়েছে অসমাপ্ত সড়ক ব্রীজের কাজ- মান নিয়ে সন্তুষ্টি এলাকাবাসীর।। ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদলের বর্ধিত সভা- তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি।। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যৌথ বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে অপহরণের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।। রূপগঞ্জে মাদক- সস্ত্রাস চাঁদাবাজ নৈরাজ্য ও দখলদারদের প্রতিহতে বিএনপির সভা- বিক্ষোভ।। রাজাপুরে যুবদলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।। গণধিকার পরিষদের আলোচনা সভা ও আনন্দ মিছিল।। রামগঞ্জ শাহ জকি উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ফোরামের উপহার সামগ্রী বিতরণ।। ঝালকাঠিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা- আহত-৪।। ঝালকাঠিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কুপিয়ে হত্যা।। দূর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের প্রতিবাদ।। রূপগঞ্জে গাজী টায়ারে ফের আগুন দিয়ে লুটপাট দুর্বৃত্তদের।। রূপগঞ্জে বিএনপির এক পক্ষের সমাবেশকে পন্ড করতে আরেক পক্ষের লোকজনের হামলা- ৮ জনকে কুপিয়ে জখম।। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল আওয়ামী লীগ ও দুর্নীতিবাজ মুক্ত করতে হবে।। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ  চাই।। রামগঞ্জে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে এক যুবকের মৃত্যু।। লক্ষ্মীপুরে বন্যায় প্রাথমিকের  ৫১৭টি সহ ৬৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত।। রূপগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত।। দাফনের ৩০ দিন পর তোলা হল আজাদ সরকারের লাশ।। তিতাসে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ।।

নীলফামারী সৈয়াদপুরে ১৮৬৩ সালে বিখ্যাত এই চিনি মসজিদ।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 09:34:20 am, Saturday, 23 March 2024
  • 103 বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী সৈয়াদপুরে ১৮৬৩ সালে বিখ্যাত এই চিনি মসজিদ।।

সাদ্দাম আলী
নীলফামারী থেকে।।

নীলফামারীর সৈয়দপুর বাংলাদেশের প্রাচীন চিনি মসজিদ নাম শুনে মনে হতে পারে মসজিদটি চীনাদের তৈরি কিংবা এর নির্মাণের পেছনে চীনাদের কোনো অবদান আছে। আসলে বিষয়টি তেমন নয়। মূলত পুরো মসজিদে রঙিন উজ্জ্বল চীনা মাটির পাথরের টুকরো দ্বারা চিনির দানার মতো নিখুঁত কাজ করা হয়েছে। এ কারণে মুসলিম স্থাপত্যের এই মসজিদটি ‘চিনি মসজিদ’ নামে পরিচিত।

 

জানা গেছে, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে যে কয়টি মসজিদ রয়েছে, চিনি মসজিদ তার মধ্যে অন্যতম। শৈল্পিক কারুকাজ ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য হিসেবে চিনি মসজিদের রয়েছে বিশেষ খ্যাতি। নীলফামারী জেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সৈয়দপুর শহরের পাশে এটি অবস্থিত। প্রতি শুক্রবার দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে আসেন জুমার নামাজ আদায় করতে। মসজিদের দেয়ালে অঙ্কিত ফুলদানি, ফুলের ঝাড়, গোলাপ ফুল, একটি বৃত্তে একটি ফুল, চাঁদতারাসহ নানা চিত্র রয়েছে। এতে রয়েছে ২৭টি বড় মিনার, ৩২টি ছোট মিনার ও তিনটি বড় গম্বুজ। মসজিদে একসঙ্গে প্রায় পাঁচ শতাধিক লোক নামাজ আদায় করতে পারেন। এই মসজিদে রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণে দুটি ফটক। মসজিদের গোটা অবয়ব রঙিন চকচকে পাথরে মোড়ানো।

আর বারান্দা বাঁধানো হয়েছে সাদা মোজাইকে। মসজিদের দোতলায় একটি ভবনসহ পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে।ঐতিহাসিক এই মসজিদ নির্মাণের প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস বেশ সুদীর্ঘ। ১৮৮৩ সালে হাজী বাকের আলী ও হাজী মুকু নামে দুই ব্যক্তি সৈয়দপুরের ইসলামবাগ এলাকায় ছন ও বাঁশ দিয়ে প্রথম এই মসজিদ নির্মাণ করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় এটি টিনে রূপান্তরিত হয়। এরপর তারা একটি তহবিল গঠন করেন। এরপর শুরু হয় মসজিদের নির্মাণ কাজ।জনশ্রুতি রয়েছে, শঙ্কু নামে জনৈক হিন্দু মিস্ত্রি দৈনিক ১০ আনা মজুরিতে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। স্থানীয় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে তাকে সাহায্য করতে থাকে। এতে ব্যয় হয় ৯ হাজার ৯৯৯ রুপিয়া ১০ আনা। ঐতিহাসিক এই মসজিদের স্থপতি হিসেবে মো. মকতুল এবং নবী বক্স নামে দুইজনের নামও শোনা গেছে।

মসজিদের সৌন্দর্য বাড়াতে দেয়ালে চিনামাটির থালার ও কাঁচের ভগ্নাংশ বসানো হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘চিনি করা’ বা ‘চিনি দানার কাজ করা’। ধারণা করা হয়, এখান থেকেই এর নামকরণ হয় চিনি মসজিদ। আবার কেউ কেউ বলেন পুরো মসজিদটিতে চীনা মাটির কাজ বলে একে চীনা মসজিদও বলা হতো। কালক্রমে চীনা মসজিদ থেকে এর নাম চিনি মসজিদ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে মসজিদের পরিচিতি বাড়তে থাকে। 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

কালিয়াকৈরে শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের ও আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা।।

নীলফামারী সৈয়াদপুরে ১৮৬৩ সালে বিখ্যাত এই চিনি মসজিদ।।

আপডেট সময় : 09:34:20 am, Saturday, 23 March 2024
সাদ্দাম আলী
নীলফামারী থেকে।।

নীলফামারীর সৈয়দপুর বাংলাদেশের প্রাচীন চিনি মসজিদ নাম শুনে মনে হতে পারে মসজিদটি চীনাদের তৈরি কিংবা এর নির্মাণের পেছনে চীনাদের কোনো অবদান আছে। আসলে বিষয়টি তেমন নয়। মূলত পুরো মসজিদে রঙিন উজ্জ্বল চীনা মাটির পাথরের টুকরো দ্বারা চিনির দানার মতো নিখুঁত কাজ করা হয়েছে। এ কারণে মুসলিম স্থাপত্যের এই মসজিদটি ‘চিনি মসজিদ’ নামে পরিচিত।

 

জানা গেছে, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে যে কয়টি মসজিদ রয়েছে, চিনি মসজিদ তার মধ্যে অন্যতম। শৈল্পিক কারুকাজ ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য হিসেবে চিনি মসজিদের রয়েছে বিশেষ খ্যাতি। নীলফামারী জেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সৈয়দপুর শহরের পাশে এটি অবস্থিত। প্রতি শুক্রবার দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে আসেন জুমার নামাজ আদায় করতে। মসজিদের দেয়ালে অঙ্কিত ফুলদানি, ফুলের ঝাড়, গোলাপ ফুল, একটি বৃত্তে একটি ফুল, চাঁদতারাসহ নানা চিত্র রয়েছে। এতে রয়েছে ২৭টি বড় মিনার, ৩২টি ছোট মিনার ও তিনটি বড় গম্বুজ। মসজিদে একসঙ্গে প্রায় পাঁচ শতাধিক লোক নামাজ আদায় করতে পারেন। এই মসজিদে রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণে দুটি ফটক। মসজিদের গোটা অবয়ব রঙিন চকচকে পাথরে মোড়ানো।

আর বারান্দা বাঁধানো হয়েছে সাদা মোজাইকে। মসজিদের দোতলায় একটি ভবনসহ পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে।ঐতিহাসিক এই মসজিদ নির্মাণের প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস বেশ সুদীর্ঘ। ১৮৮৩ সালে হাজী বাকের আলী ও হাজী মুকু নামে দুই ব্যক্তি সৈয়দপুরের ইসলামবাগ এলাকায় ছন ও বাঁশ দিয়ে প্রথম এই মসজিদ নির্মাণ করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় এটি টিনে রূপান্তরিত হয়। এরপর তারা একটি তহবিল গঠন করেন। এরপর শুরু হয় মসজিদের নির্মাণ কাজ।জনশ্রুতি রয়েছে, শঙ্কু নামে জনৈক হিন্দু মিস্ত্রি দৈনিক ১০ আনা মজুরিতে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। স্থানীয় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে তাকে সাহায্য করতে থাকে। এতে ব্যয় হয় ৯ হাজার ৯৯৯ রুপিয়া ১০ আনা। ঐতিহাসিক এই মসজিদের স্থপতি হিসেবে মো. মকতুল এবং নবী বক্স নামে দুইজনের নামও শোনা গেছে।

মসজিদের সৌন্দর্য বাড়াতে দেয়ালে চিনামাটির থালার ও কাঁচের ভগ্নাংশ বসানো হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘চিনি করা’ বা ‘চিনি দানার কাজ করা’। ধারণা করা হয়, এখান থেকেই এর নামকরণ হয় চিনি মসজিদ। আবার কেউ কেউ বলেন পুরো মসজিদটিতে চীনা মাটির কাজ বলে একে চীনা মসজিদও বলা হতো। কালক্রমে চীনা মসজিদ থেকে এর নাম চিনি মসজিদ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে মসজিদের পরিচিতি বাড়তে থাকে।