![](https://dainikajkerbangla.net/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর।।
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় সাবেক স্ত্রীর বিয়ের খবরে রাব্বি মাদবর নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার -০৩ জুন- দিবাগত মধ্য রাতে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাব্বি মাদবর – ২৪- ওই এলাকার মামুন মাদবর এর ছেলে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়- প্রায় ৩ বছর আগে একই এলাকার মোঃ মিয়াচান মিয়ার কন্যা মিম আক্তার -১৮- ভালোবেসে বিয়ে করে রাব্বি। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই তাদের দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। ফলে ৬ মাস পূর্বে মিম আক্তার তার বাবার বাড়ি চলে যায় এবং রাব্বিকে তালাক নামা পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু তালাকের পরও তাদের মধ্যে যোগাযোগ হতো। সোমবার দুপুরে মিম তার নতুন বিয়ের খবর রাব্বিকে জানায়। এরপর দুপুর থেকেই রাব্বি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পরলে বাড়ির পাশে বাগানের মধ্যে পরিত্যাক্ত ঘরে দরজা আটকে মিমের ওড়না দিয়েই গলায় ফাঁস নেয় রাব্বি। সকালে পরিবারের লোকজন তাকে খোজাখুজি করতে গিয়ে বাগানের ঘরের মধ্যে রাব্বির মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
রাব্বির মা মমতাজ বেগম জানান, ‘আমার ছেলে ভালোবেসে মিমকে বিয়ে করেছিলো। কিন্তু ওদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লাগতো। ছয় মাস আগে মিম আমার ছেলেকে ছেড়ে চলে যায়। আমার ছেলে মিমকে খুব ভালোবাসতো। গতকাল মিম কল দিয়ে রাব্বিকে তার বিয়ের খবর বলে। আমার ছেলে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মিমের ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
রাব্বির বাবা মামুন মাদবর জানান- সকালে উঠে আমি রাব্বিকে ওর রুমে না পেয়ে খুঁজতে থাকি। পরে বাগানের ঘরে গিয়ে দেখি ওর মরদেহ ঝুলছে। আমার ছেলে মিমের কারনে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে রাব্বির সাবেক স্ত্রী মিম আক্তার জানান- বিয়ের পর রাব্বি আমাকে প্রচন্ডভাবে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতো। আমার শরীরের মধ্যে নির্যাতনের অসংখ্য দাগ রয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে আমি তাকে তালাক দিয়ে দেই। তালাকের পর তার সাথে আমার আর যোগাযোগ হয়নি। আমি কিছুই জানিনা।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি- মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘বাগানের ভিতরে একটি ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করেছি আমরা। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।