![](https://dainikajkerbangla.net/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ফজলে এলাহি ঢালী- ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহের সদর উপজেলার কোতোয়ালি থানাধীন মনতলা ব্রিজের নীচে ব্রীফকেসে পাওয়া ৪ খন্ডে বিভক্ত লাশের পরিচয় সনাক্তকরণের পর হত্যাকান্ডের মোটিভ উদ্ধার,আসামি গ্রেফতারের পর পুলিশ সুপারের কার্য্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকল ঘটনার ব্যাখ্যা করেছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাসুম আহাম্মদ ভূঞা।
৪ জুন -মঙ্গলবার- পুলিশ সুপারের কার্য্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকান্ডটির ব্যাপারে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন তিনি।
জনাব মাসুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন- গত ২ জুন- রবিবার- কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকার মনতলা ব্রিজের নীচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় মাথাবিহীন ৪ টুকরো করা লাগেজে ভর্তি যে লাশটি পাওয়া যায় সেই লাশটি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওমর ফারুক সৌরভের -২৪- ।সে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তাড়াটি গ্রামের মো. ইউসুফ আলীর ছেলে।চাচাতো বোন ইভাকে বিয়ে করার কারণেই মূলত খুন হয় সৌরভ।
তিনি বলেন-চাচাতো বোনকে বিয়ে করার কারণে দুই পরিবারের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বিবাদ হয়।একপর্যায়ে সৌরভকে হত্যার পরিকল্পনা করে চাচা ইলিয়াস।তার পরিকল্পনা মাফিক ২ জুন(রবিবার)সৌরভ ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ আসলে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক চাচাতো ভাই মৃদুল- ১৭- কে দিয়ে গোহালকান্দি কোতোয়ালি থানাধীন বাসায় ডেকে পাঠায় চাচা ইলিয়াস।এরপর সেখানে নিজ শ্যালক আহাদুজ্জামান ফারুককে সাথে নিয়ে মাথায় চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে সৌরভকে।এরপর তার লাশটি বাথরুমে ফেলে রাখা হয়।তারপর প্রথমে চাপাতি দিয়ে দেহ থেকে সৌরভের মাথা বিচ্ছিন্ন করাসহ লাশটিকে ৪ টি খন্ডে বিভক্ত করার পর গাঙ্গীনারপাড় দোকান থেকে কিনে আনা একটি লাগেজে ভরে ও মাথাটি স্বচ্ছ পলিথিনে মুড়িয়ে ভাড়াকরা প্রাইভেটকার যোগে মনতলা ব্রিজের নীচে ফেলে রাখা হয়।
এ সময় তিনি আরও বলেন-সৌরভকে হত্যার ঘটনায় চাচা ইলিয়াসসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- নিহত সৌরভের চাচা ইলিয়াস,চাচার শ্যালক ফারুক এবং প্রাইভেটকারের চালক আঃ হান্নান আকন্দ।
উল্লেখ্য যে চাচাতো বোন ইভাকে সৌরভ গোপনে ঢাকায় বিয়ে করে।প্রায় বছর তিনেক আগে ইভার আরও একটি বিয়ে হয়।মে মাসে ইভাকে পড়াশোনার জন্য কানাডায় পাঠিয়ে দিয়েছেন ইলিয়াস।