মোঃ মাসুদ রানা মনি
রামগঞ্জ লক্ষ্মীপুর থেকে।।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলার ১৮১টি ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সামগ্রী। সোমবার সকাল থেকে স্ব-স্ব উপজেলার সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব সামগ্রী দেয়া হচ্ছে। তবে ব্যালট পেপার যাবে ভোটের দিন সকালে।
সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া থাকবে আনসার সদস্য। এছাড়া র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা স্টাকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে।
এই দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬জন,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
রামগঞ্জ ও রায়পুর দুই উপজেলায় ১৮১ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ঝুকিঁপূর্ণ। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ২৯ হাজার ৬শ ৩৫জন।
এর মধ্যে রায়পুর উপজেলায় প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংস সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের ভগ্নিপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ। তার সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার।
এছাড়া রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের ছেলে ইমতিয়াজ আরাফাত এবং তার সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনের এমপি ডা. আনোয়ার হোসেন খানেঁর আস্থাভাজন দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু।
পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ বলেন- সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারসহ ১৫ থেকে ১৭জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া দুইটি উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেট- ৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্যদের পাশাপাশি র্যাব মাঠে রয়েছে। কেউ কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোরহস্তে দমন করা হবে- সে-যেই হোক।