![](https://dainikajkerbangla.net/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ইবি প্রতিনিধি।।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত হওয়া সিন্ডিকেটে বিভিন্ন পদের নিয়োগ ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিয়ে কোনো আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়নি। নিয়োগ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেও শিক্ষকদের প্রমোশন আটকে যাওয়ায় চরম ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। সোমবার দুপুরে পদোন্নতি চূড়ান্তকরণ না করার প্রতিবাদসহ কয়েক দফা দাবি নিয়ে উপ-উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করে সংগঠনটির শিক্ষকদের একাংশ। এসময় দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসনকে দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানান তারা।
জানা যায়, গতকাল রবিবার -১৯ মে- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৩তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মূল আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও টেবিল এজেন্ডা হিসেবে বিভিন্ন পদের নিয়োগ ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নতি চূড়ান্তকরণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত মূল আলোচ্যসূচিতে না থাকায় সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরোধিতার মুখে এই দুই বিষয়ে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই সভা শেষ হয়।
এ নিয়ে বেলা ১২টায় উপাচার্যের সাথে দেখা করতে গেলে উপাচার্য না থাকায় উপ-উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করেন তারা। তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো- ঈদের আগে সকল শিক্ষকদের পরীক্ষার বিল পরিশোধ করা, গতকাল অনুষ্ঠিত হওয়া সিন্ডিকেটেই শিক্ষকদের পদোন্নতি চূড়ান্তকরণ, উপাচার্র্যের বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ নিষ্পত্তিকরণের পরই বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক নিয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ চালু করা। এসময় সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন- সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, সদস্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, মাহবুবুর রহমান ও শেলীনা নাসরিনসহ ১০-১৫ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন বলেন- আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে এসেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবিগুলোর বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, প্রমোশন বোর্ড সভার রুটিন ওয়ার্ক। সে বিষয়ে কেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি? আমরা মনে করি এটা প্রতিহিংসা পরায়ণমূলক আচরণ। এ প্রশাসন তার সার্বজনীনতা হারিয়েছে। আমরা আমাদের দাবিগুলো উপ-উপাচার্যকে জানিয়েছি। বিষয়টি তিনি উপাচার্যকে জানাবেন বলেছেন।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, পদোন্নতির বিষয়টি অতিরিক্ত এজেন্ডা হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয় নি। এটা পুনরায় রেগুলার এজেন্ডা হয়ে সিন্ডিকেটে উত্থাপন হলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এছাড়া তাদের দাবিদাওয়া গুলো উপাচার্যকে জানানোর জন্য বলা হয়েছিল। আমি উপাচার্যকে জানিয়েছি।