![](https://dainikajkerbangla.net/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরে মা ঈশিতা আলী হত্যার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে দুই শিশু সন্তান। রবিবার -১২ মে- দুপুরে
সন্তান মরিয়ম এবং রাইয়ান তাদের মা হত্যা মামলার আসামিদের বিচার ও গ্রেফতারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ
সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ার ভাঙ্গা গ্রামের ৮
মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ঈশিতা আলিকে নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে
এই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি । পরবর্তীতে নিহতের ভাই সোহেল মাতুব্বর বাদী
হয়ে ৬ জনকে আসামি করে গত ২২ এপ্রিল মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের
করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী ও নিহতের পরিবার অভিযোগ করেন- মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের
রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার করছেনা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহতের ভাই সোহেল মাতুব্বর,
সাব্বির মাতুব্বর এবং নিহতের দুই শিশু সন্তান মরিয়ম -১০- ও রাইয়ার -৮-।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের সিদ্দিকখোলা গ্রামের আইয়ুব আলী
মাতুব্বরের মেয়ে ঈশিতা আলির সাথে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ার ভাঙ্গা গ্রামের
এনামুল ঢালীর। বিয়ের কয়েক বছর পর ভাশুর টুকু ঢালি, ভাসুরের স্ত্রী খাদিজা বেগমের সঙ্গে পারিবারিক কলহ
শুরু হয় ঈশিতার। এর জের ধরে ২০ এপ্রিল টুকু ঢালীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন অন্তঃসত্ত্বা ঈশিতারকে
নির্যাতন করে। সেই রাতেই মারা যান আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ঈশিতা।
ঈশিতার ভাই সোহেল মাতুব্বর বলেন- আমার বোনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। সেই
ঘটনায় আমি মামলা করলেও পুলিশ আসামিদের ধরছে না। আমি এর বিচার চাই।
নিহতের আরেক ভাই সাব্বির বলেন- আমার বোনকে মেরে ফেলেছে। সেই ঘটনায় আমরা থানায় মামলা করতে গেলে
পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আমরা আদালতে মামলা করি। এপরও পুলিশ আসামিদের ধরছে না। মামলার
তদন্তকর্মকর্তা আসামিদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আসামিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
এসময় নিহতের মেয়ে মরিয়ম বলেন, আমার চাচা টুকু ঢালি আমার মাকে মারধর করেছে। পরে মা মারা গেছে। আমি
এর বিচার চাই। একই দাবি করেন ছেলে রাইয়ান। তিনিও মায়ের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাদারীপুর সদর মডেল থানার এস আই হাসিব বলেন- নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির
শিকার না হয় সে কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছি। দোষীদের গ্রেফতারের
চেষ্টা চলছে। আসামিদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।