![](https://dainikajkerbangla.net/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরে পুলিশে চাকুরি দেয়া প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে পুলিশ সুপার বরাবর। এদিকে টাকা
লেনদেন সংক্রান্ত একটি ভিডিও এই প্রতিবেদকের কাছে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায় পুলিশ সদস্য তানজিলা
আক্তার স্থানীয় একটি দোকানে অবস্থান করে এক হাজার টাকার কয়েকটি বাল্ডিল নিচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দোকানটি ছিল মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে। সেই দোকানেই টাকা
লেনদেন হয়েছে। গত বছরের ১ মার্চ টাকা গ্রহণ করা হয় বলে জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে- মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবিদাসের ছেলে রতন দাস
একটি দোকানে কাজ করার সময়ে সেখানেই পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তারের সাথে। পরে পুলিশ
নিয়োগের সময় তানজিলা আক্তার পুলিশে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়।
বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেকও প্রদান করেছেন। তানজিলা আক্তারের নামে
কমিউনিটি ব্যাংকের চেকে তানজিলার স্বাক্ষর ও তারিখ ছিল।এদিকে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার পর রেজাল্ট
বেরুলে সেখানে চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস। উপায় না দেখে অভিযোগ করেন পুলিশ
সুপার বরাবর।
চাকুরি প্রত্যাশী রতন দাস বলেন- আমাকে পুলিশে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা
নিয়েছে তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ। কিন্তু সে চাকুরি দিতে পারেনি। সেই টাকা দিয়ে তানজিলা স্বামী
ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে ব্যবসা শুরু করছে। টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন রকমের টালবাহানা করছে। আমার কাছ
থেকে টাকা নেওয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিল। এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এই
ঘুষ নেওয়ার সাথে শহিদুল নামে এক পুলিশও জড়িত।
অভিযোগকারী রতন দাসের বাবা রবিদাস বলেন- আমি ধার দেনা করে ছেলের চাকুরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম
তানজিলার কাছে। সে চাকুরি দিতে পারেনি। এখনও টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। তাই এসপি অফিসে অভিযোগ দিয়েছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত তানজিলা আক্তার কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি জানান, যা বলার এসপি স্যারকেই
বলেছি।
অপর অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম নিজের দায় অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন তিনি টাকা গ্রহণ করেনি।
এব্যাপারে মাদারীপুরে পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন- এই ধরেন একটি ঘটনায় অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে
চাকুরি দেয়াড় নামে প্রতারণার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।