![](https://dainikajkerbangla.net/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নীলফামারী থেকে
সাদ্দাম আলী।।
নীলফামারী জলঢাকা পৌরসভার উপ-নির্বাচনে বিএনপির সভাপতি কমেট চৌধুরীর পক্ষে নীলফামারী-৩ আসনের এমপি সাদ্দাম হোসেন পাভেলের নির্বাচনী গণসংযোগ-সরাসরি ভোট প্রার্থনা ও কালো টাকার ছড়াছড়ি ভোটার ও আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধামকি-নির্বাচনে আচরণবিধি লংঘন সাংবিধানিক আইন লংঘনের প্রতিবাদে জলঢাকা পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে-সংবাদ সম্মেলন করেন জলঢাকা পৌর আওয়ামী- লীগের সাধারণ সাম্পাদক আব্দুল মজিদ সহ আওয়ামী- লীগের নেতাকর্মীরা । জলঢাকা পৌর আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা মরহুম ইলিয়াস হোসেন বাবলুর মৃত্যু পরবর্তী আসন্ন পৌরসভা উপ-নির্বাচন-২০২৪-আগামীকাল ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
এই নির্বাচনে পৌর আওয়ামী-লীগের পক্ষ থেকে একমাত্র প্রার্থী নাসিব সাদিক হোসেন নোভাকে সমর্থন দিয়ে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। অপরদিকে জলঢাকা উপজেলা বি.এন.পি’র সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী এবং জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের আমির প্রভাষক ছাদের হোসেন অংশগ্রহণ করে অবাধ, সুষ্ঠুভাবে প্রচার প্রচারণা চলাকালীন সময় ১৪ নীলফামারী-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল গত ২৫ তারিখ বৃস্পতিবার পৌরসভার নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে ভোটারদের হুমকি-ধামকি, কালো টাকা বিতরণ, আওয়ামী-লীগের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে বি.এন.পি’র সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরীর বিজয় করার সকল প্রক্রিয়া অবলম্বন করায় বিষয়টি আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাসিব সাদিক হোসেন নোভা ২৬ তারিখ লিখিত আকারে জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করলেও কোন প্রকার সুরাহা না হলে আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন ও এমপির অবৈধ হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিয়ে মাইক বের করি। পুলিশ মাইক আটকিয়ে থানায় নিয়ে যায়। আমরা থানায় গেলে মাইক ছেড়ে দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আমরা আপনাদের সহযোগিতায় সংবাদ সম্মেলন করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য যে-১৪-নীলফামারী-৩ আসনের স্বতন্ত্র এমপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে আইনের তোয়াক্কা না করে সকল অন্যায় কাজকে ন্যায়ে পরিণত করার অপচেষ্টা ওসি সহ অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। ওসি মুক্তারুল আলম সকল অবৈধ কাজে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। এমতাবস্থায়-ওসিকে প্রত্যাহার করা অত্যন্ত জরুরী বলে আমরা মনে করি।প্রকাশ থাকে যে-স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণ বিধি মোতাবেক কোন সংসদ সদস্য কিংবা মন্ত্রী নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর এলাকায় অবস্থান কিংবা ভোট প্রার্থনা করতে পারবেন না। অথচ পৌরসভার উপ-নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কিভাবে একজন সরকারী এমপি ভোট চেয়ে বেড়ান।