Dhaka , Saturday, 27 July 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
রূপগঞ্জে পূর্বাচল ইয়ুথ ক্লাবের উদ্যোগে বৃক্ষ বিতরণ ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী।। বিদ্যুৎ গ্যাসের প্রিপেইড মিটার রিচার্জের গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন জনমনে তীব্র অসন্তোষ।। গাজীপুরে সকল কল-কারখানা চালু- পোশাক কারখানায় ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য।। নরসিংদী কারাগারে  ৪৬৫ বন্দির আত্মসমর্পন।। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।। যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনের প্রতিবাদে স্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন।। আপাতত বন্ধই থাকছে ফেসবুক- জুনায়েদ আহমেদ পলক।। নরসিংদীর কারাগারে হামলা দুই তদন্ত কমিটি গঠন – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।। কোটা সংস্কার আন্দোলন -ময়মনসিংহে লাঠিসোটা হাতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ- বিজিবি মোতায়েন।। শরীয়তপুরে ফেসবুক লাইভে এসে ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ।। আমতলীতে ২য় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ- ধর্ষক আটক।। সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ।। যাত্রাবাড়ীতে রণক্ষেত্র, টোল প্লাজায় আগুন।। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান পুলিশের।। কোটা সংস্কার আন্দোলন- বিক্ষোভে উত্তাল ইবি- ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাঙচুর।। চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মহানগর বিএনপির গায়েবানা জানাজা।। লালপুরে পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ শিশু নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার।। রূপগঞ্জে মামলা তুলে না নেয়ায় বাদীর বাড়ীঘরে হামলা- ভাংচুর- আগুন ১ জনকে কুপিয়ে জখম।। রাতে পোষ্ট- ভোরে তিন যুবক গ্রেফতার।। কালিয়াকৈরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তানদের প্রতিবাদ সমাবেশ  অনুষ্ঠিত।। নগরীর অলিগলি হতে মুল সড়ক ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটোরিকশার দখলে।। ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।। তিতাসে আ.লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত।। লিওনেল মেসি ভক্তরা বড় দুঃসংবাদ পেলেন।। ঢাবি হলে স্বাধীনতাবিরোধী প্রেতাত্মারা তাণ্ডব চালিয়েছে – মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী।। সদরপুরে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন।। কোটা সংষ্কার আন্দোলন- রামগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ।। পাবনায় বিদ্যুৎপৃষ্টে স্কুল পড়ুয়া ভাইবোনের মৃত্যু।। বুধবার থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ।। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা- শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ।।

ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী ভোলার বেশির ভাগ চাষিরা।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 10:55:33 am, Thursday, 28 March 2024
  • 78 বার পড়া হয়েছে

ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী ভোলার বেশির ভাগ চাষিরা।।

আলী হোসেন রুবেল
স্টাফ রিপোর্টার ভোলা।।
ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী ভোলার বেশির ভাগ চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ক্যাপসিকাম চাষ করে লাভবান হবে বলে চাষিরা আশাবাদী। অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায় বলে বর্তমান সময়ে ভোলায় ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে অনেক চাষীরা।
আর তাই ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে কৃষকরা এ বছর লাভজনক ফসল ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে তেমন লাভবান না হওয়ায় এবার কৃষকরা ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকেছেন বলে দাবি করেন। তারা জানান, ক্যাপসিকাম ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের তেমন আক্রমণ না হওয়ায় তেমন পরিশ্রমও করতে হয়না। কম খরচে অধিক লাভজনক ক্যাপসিকাম চাষ।
ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন মাঝের চর ও দৌলতখান উপজেলার মদনপুর চরের কৃষকরা জানান, ভোলার বিছিন্ন চরাঞ্চলে প্রতি বছরই বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন তারা। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অসময়ে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি হানা দেয় ক্ষেতে। এতে বেশিভাগ সময়ই লাভের চেয়ে লোকসান গুনতে হয় কৃষকদের। তাই এবার লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বেশিভাগ কৃষকই ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকছেন।
মাঝের চরের কৃষক মোঃ মনির হোসেন, মোঃ ইউসুফ ও মদনপুর চরের কৃষক মোঃ আকবর ও ইসমাইল হোসেন জানান, চরাঞ্চলে তারা আগে ব্যাপক হারে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতেন। কিন্তু জোয়ারের পানি, লবণাক্ত পানি ও বৃষ্টির পানির ক্ষতির কারণে তাদের তেমন একটা লাভ হতো না। এজন্য তারা চরে অন্যান্য কৃষকদের দেখাদেখি এ বছর ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। ক্যাপসিকাম রোগ-পোকা মাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে ও কম পরিশ্রমে ক্ষেতে ব্যাপক ফলন হওয়ায় খুশি তারা। এ পর্যন্ত তারা প্রত্যেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন।
তারা আরও জানান, সবজি চাষে ক্ষতি হলে ঘুড়ে দাঁড়ানো অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পরে। কিন্তু ক্যাপসিকামে ক্ষতি হলেও ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হয়। এজন্য মাঝের চর ও মদনপুর চরে কৃষকরা ক্যাপসিক্যাম চাষে ঝুঁকছেন। আগে দুই চরে এক থেকে দেড়শ কৃষক ক্যাপসিকাম চাষ করলেও এ বছর চাষ করেছেন ৮০০ থেকে ৯০০ কৃষক।
ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসূল কবীর জানান, ক্যাপসিকাম বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন চরাঞ্চলের কৃষকরা এটি চাষে ঝুঁকছেন। যার কারণে ওই দুই চরে ক্যাপসিকাম চাষের আবাদ বেড়েছে। এ বছর জেলায় প্রায় ১০০ একর জমিতে ক্যাপসিক্যামে আবাদ হয়েছে। এছাড়া এ বছর কৃষকরা ক্যাপসিকাম চাষ করে সফল হওয়ায় আগামীতে আবাদের পরিমাণ ৩ থেকে ৪ গুণ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

রূপগঞ্জে পূর্বাচল ইয়ুথ ক্লাবের উদ্যোগে বৃক্ষ বিতরণ ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী।।

ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী ভোলার বেশির ভাগ চাষিরা।।

আপডেট সময় : 10:55:33 am, Thursday, 28 March 2024
আলী হোসেন রুবেল
স্টাফ রিপোর্টার ভোলা।।
ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী ভোলার বেশির ভাগ চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ক্যাপসিকাম চাষ করে লাভবান হবে বলে চাষিরা আশাবাদী। অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায় বলে বর্তমান সময়ে ভোলায় ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে অনেক চাষীরা।
আর তাই ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে কৃষকরা এ বছর লাভজনক ফসল ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে তেমন লাভবান না হওয়ায় এবার কৃষকরা ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকেছেন বলে দাবি করেন। তারা জানান, ক্যাপসিকাম ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের তেমন আক্রমণ না হওয়ায় তেমন পরিশ্রমও করতে হয়না। কম খরচে অধিক লাভজনক ক্যাপসিকাম চাষ।
ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন মাঝের চর ও দৌলতখান উপজেলার মদনপুর চরের কৃষকরা জানান, ভোলার বিছিন্ন চরাঞ্চলে প্রতি বছরই বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন তারা। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অসময়ে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি হানা দেয় ক্ষেতে। এতে বেশিভাগ সময়ই লাভের চেয়ে লোকসান গুনতে হয় কৃষকদের। তাই এবার লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বেশিভাগ কৃষকই ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকছেন।
মাঝের চরের কৃষক মোঃ মনির হোসেন, মোঃ ইউসুফ ও মদনপুর চরের কৃষক মোঃ আকবর ও ইসমাইল হোসেন জানান, চরাঞ্চলে তারা আগে ব্যাপক হারে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতেন। কিন্তু জোয়ারের পানি, লবণাক্ত পানি ও বৃষ্টির পানির ক্ষতির কারণে তাদের তেমন একটা লাভ হতো না। এজন্য তারা চরে অন্যান্য কৃষকদের দেখাদেখি এ বছর ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। ক্যাপসিকাম রোগ-পোকা মাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে ও কম পরিশ্রমে ক্ষেতে ব্যাপক ফলন হওয়ায় খুশি তারা। এ পর্যন্ত তারা প্রত্যেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন।
তারা আরও জানান, সবজি চাষে ক্ষতি হলে ঘুড়ে দাঁড়ানো অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পরে। কিন্তু ক্যাপসিকামে ক্ষতি হলেও ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হয়। এজন্য মাঝের চর ও মদনপুর চরে কৃষকরা ক্যাপসিক্যাম চাষে ঝুঁকছেন। আগে দুই চরে এক থেকে দেড়শ কৃষক ক্যাপসিকাম চাষ করলেও এ বছর চাষ করেছেন ৮০০ থেকে ৯০০ কৃষক।
ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসূল কবীর জানান, ক্যাপসিকাম বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন চরাঞ্চলের কৃষকরা এটি চাষে ঝুঁকছেন। যার কারণে ওই দুই চরে ক্যাপসিকাম চাষের আবাদ বেড়েছে। এ বছর জেলায় প্রায় ১০০ একর জমিতে ক্যাপসিক্যামে আবাদ হয়েছে। এছাড়া এ বছর কৃষকরা ক্যাপসিকাম চাষ করে সফল হওয়ায় আগামীতে আবাদের পরিমাণ ৩ থেকে ৪ গুণ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।