![](https://dainikajkerbangla.net/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
শিমুল তালুকদার
সদরপুর থেকে।।
চলতি মৌসুমে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় পেয়াজ বিজের বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটে উঠেছে স্থানীয় কৃষকদের মুখে। কালো সোনা বলে ক্ষ্যাত
পেয়াজ বীজ উৎপাদনে দেশের মধ্যে অন্যতম ফরিদপুর জেলা। প্রতি বছর প্রচুর পরিমান পেয়াজ এবং পেয়াজ বিজ উৎপাদন হয় ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলায়। যা দেশের মোট চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হয় বিভিন্ন দেশে। প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে পেয়াজের আবাদ। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সদরপুর উপজেলায় মোট ৩ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে পেয়াজ বীজের। যা গত বছরের চাইতে ৫০ হেক্টর বেসি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং সময় মতো বিজ বপন, সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ করার কারনে সদরপুর উপজেলায় বিভিন্ন অঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে বাতাসের সাথে দোল খাচ্ছে সাদা সাদা পেয়াজের ফুল। তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে কালো সোনা বলে ক্ষ্যাত পেয়াজ বীজ। আর এই পেয়াজ বীজের মধ্যেই লুকিয়ে আছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। কথা হয় উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সরবেশ ঠাকুরের সাথে। তিনি জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ৮/৯ মন পেয়াজের গুটি লাগাতে হয়। সার ও কীটনাশক এবং পরিচর্জা মিলিয়ে মোট খরজ হয় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় পেয়াজ বীজ উৎপাদন হয় প্রায় চার মন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা। অন্যান্ন ফসলের চেয়ে লাভ বেসি হওয়ার কারনে কৃষক ঝুকছেন পেয়াজ বীজ আবাদে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় বলেন, গত বছর পেয়াজ বীজের মূল্য বেসি পাওয়ার কারনে এ বছর পেয়াজ চাষিরা বেসি জমিতে পেয়াজ বীজের আবাদ করেছেন। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে বিজ বিতরন, মৌলিক প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন সহযোগীতা করা হয় বলেও জানান তিনি।