![](https://dainikajkerbangla.net/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ মাসুদ রানা
রামগঞ্জ লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
লক্ষীপুরের রামগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রী মোহনা আক্তার-১৬-কে নিয়ে পালিয়েছে শাহাদাৎ হোসেন বিপুল নামের এক সহকারী শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে ১৩মার্চ বুধবার দুপুরে রামগঞ্জ এম ইউ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে। শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন বিপুল রামগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়ালপুর গ্রামের জমাদ্দার বাড়ির মোঃ খসরু মিয়ার ছেলে এবং শাহজকি উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক । পরে ওই শিক্ষক ছাত্রী জুটি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সহযোগীতার সন্দেহে মোহনার মা-তাহমিনা ও বড়বোন তারিন আক্তার মীম লোকজন নিয়ে ১৬মার্চ -শনিবার-পরীক্ষার কেন্দ্রের ভিতর মাঠে প্রীতি আক্তার নামে আরেক পরিক্ষার্থীকে মারধর করে। পরে ১৭মার্চ প্রীতির মা পারভিন বেগম বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। রামগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাহজকি উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহাদাৎ হোসেন বিপুলের সাথে একই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মোহনা আক্তারের সাথে তলে তলে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষক বিপুল প্রেমিকা মোহনাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে মোহনাকে পালিয়ে যাওয়ায় সহযোগীতায় সন্দেহে মোহনার মা-তাহমিনা ও বড়বোন তারিন আক্তার মীম লোকজন নিয়ে ১৬মার্চ -শনিবার-পরীক্ষার কেন্দ্রের ভিতর মাঠের মধ্যে প্রীতি আক্তার নামে আরেক পরিক্ষার্থীকে মারধর করে। মোহনা ও প্রীতি একই বিদ্যালয়ের ছাত্রী একই পরীক্ষা হলের পরীক্ষার্থী ছিলেন।
প্রীতির মা পারভিন জানান, মোহনা ও প্রীতি একই বাড়ির হওয়ায় মোহনা ও আমার মেয়ের এক সাথে স্কুলে যেত। শিক্ষকের সাথে মোহনার সম্পর্ক ছিল এটা প্রীতি জানতো না। মোহনার মা ও বোন অন্যায় ভাবে আমার মেয়েকে পরীক্ষার হলে গিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়েছে। আমার মেয়ে প্রীতির উপর হামলার বিচার চাই।
পালিয়ে যাওয়া ছাত্রী মোহনার মা তাহমিনা আক্তার জানান, ওরা দুজনে এক সাথে কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যায়। লম্পট শিক্ষক আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মোহনার বান্দবী প্রীতি জানতো। কিন্তু আমাদেরকে কিছুই জানাইনি। এজন্য আমরা মনের দুঃখে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রীতিকে পরীক্ষা হলে হালকা পাতলা উত্তম মধ্যম দিয়েছি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওসি-মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন,শিক্ষকের সাথে ছাত্রী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ও সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরেক ছাত্রীর উপর হামলার ঘটনায় মোট দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।