![](https://dainikajkerbangla.net/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নারী সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ চোখের পাপড়ি বা আইল্যাশ। আধুনিক নারীদের কাছে এর চাহিদা আকাশছোঁয়া। আর এই চোখের কৃত্রিম পাপড়ি তৈরি হচ্ছে উত্তরের জেলা নীলফামারী বানিজ্যিক শহর সৈয়দপুর। নারী উদ্যোক্তা মিন্নি আকতার মিথুনের ‘মিন্নি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’ এসব পাপড়ি তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করছেন। এতে করে কারখানায় যেমন নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে; তেমনি তৈরী হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভবনা।
সৈয়দপুর শহরের উপকণ্ঠে ওয়াপদা মোড়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নিচ তলা ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘মিন্নি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’। সেখানে ২৫ জন নারী ও ৫ জন পুরুষ সকাল ৮টা থেকে ৫টা পর্যন্ত তৈরি করছেন চোখের কৃত্রিম পাঁপড়ি। প্রতিদিন কাজ করে শ্রমিকরা পাচ্ছেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের নিমবাগান এলাকার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা একেএম মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে মিন্নি আকতার । ভালোবেসে ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই চীনের গুয়ানডং শহরের চিশুয়ী টাউনের লীন সিংকের ছেলে লীন ঝানরুইকে বিয়ে করেন মিন্নি। বিয়ের পর লীন ঝানরুই মুসলমান হয়ে নাম রাখেন লাবিব ইসলাম। উত্তরা ইপিজেডের টিএইচটি-স্পেস ইলেট্রিক্যাল কোম্পানিতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন চীনা নাগরিক লীন ঝানরুই। একই কোম্পানিতে চাকরি করতেন মিন্নি। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে সৈয়দপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক সহকর্মীর বিয়ের অনুষ্ঠানে লীন ঝানরুই ও মিন্নির পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক, তারপর বিয়ে করেন তারা। সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রী ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা বাবা মিলে গড়ে তোলেন এই পাপড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা চীনা নাগরিক লীন ঝানরুই বলেন, আমরা আপাতত জায়গাটা ভাড়া নিয়ে প্রোডাকশন চালু করেছি। আমরা চোখের পাপড়ি বানাই। আমাদের কাঁচামাল পুরোটাই চীন থেকে আসে। আমরা নতুন করে কেবল শুরু করেছি আর কিছু লোকবল নিয়েছি তাদেরকে শিখাচ্ছি। আপাতত যে ফিনিশ প্রোডাক্টটা বের হচ্ছে সেটি সম্পন্ন এখনও প্রস্তুত হয়নি। এই আংশিক প্রস্তুতটাই চীনে পাঠানো হচ্ছে। অমাদের আগামীতে পরিকল্পনা রয়েছে এখানে ৩০০ জন শ্রমিক কাজ করাবো।
কারখানাটির চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোম্পানীর পথচলা বলতে গেলে একমাস। আমার এখানে ২০০ শ্রমিক কাজ করানো টার্গেট ছিল। কাজটা যেহেতু শিল্পকর্মের মতো কাজটাকে বুঝে শুনে করতে হয়। যে কারণে সকলে চট করে সেটা করতে পারছে না। শেখানো পর কাজ করানো লাগতেছে। তারপরেও সব মিলে ৫০ জনের মতো কাজ করছে।