
জসীমউদ্দীন ইতি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈলে ১৬ শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারীর জন্য ৩৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলে এমনই চিত্র দেখা গেছে রাঘবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ।
৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ১০:২৫ মিনিটে সরেজমিনে রাঘবপুর উচ্চ বিদ্যালয় গেলে, ষষ্ঠ শ্রেণীর কক্ষে দেখা মিলে ৩০ জন শিক্ষার্থীর থাকার পরিবর্তে আছে ১০ জন, সপ্তম শ্রেণীতে ৩৫ জন শিক্ষার্থীর পরিবর্তে আছে ১২ জন, অষ্টম শ্রেণিতে ৪০ জন শিক্ষার্থীর পরিবর্তে আছে ৮জন, নবম শ্রেণীতে ৩৯ জন শিক্ষার্থীর পরিবর্তে আছে ১০ জন। ক্লাস পরিদর্শনে শিক্ষার্থীদের কথা বলার সময় প্রধান শিক্ষক দৈনিক শিক্ষা ডটকম প্রতিবেদককে দেখে মিটিং এর কথা বলে প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে চলে যান ।
প্রতিষ্ঠানের একাধিক সহকারী শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থী কম আমরা এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার জানানো হয়েছে অভিভাবক সমাবেশ এবং ছাত্র ছত্রীদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ।
প্রতিষ্ঠান প্রধান কোন গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখেনি এবং তিনি নিজের মতো করে প্রতিষ্ঠানে আসেন এবং চলে যান শুধু কেরানিকে জিজ্ঞাসা করে যা কিছু করার নিজের খুশির মত কাজ করেন এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলেই আমাদের বিল আটক করার হুমকিও দেওয়া হয় ।
প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন, আমি সভাপতি থাকাকালীন শিক্ষক বিধানচন্দ্র রায় এর আচরণে আমি তেমন কিছু উন্নয়ন করতে পারিনি তিনি টিউশন ফি ১৯৯৫ সাল থেকে এই পর্যন্ত কোন সহকারী শিক্ষককে এক টাকাও দেয়নি এবং উন্নয়নের টাকা সম্পূর্ণ তার পকেটে রয়েছে বর্তমান ব্যাংকে ৯৫ হাজার টাকা । টাকা উত্তোলনের জন্য সভাপতির কাছে ধরনা দিচ্ছে।
কইদুল, খোকারাম, আবু সায়েম, মানিক, মাহামুদ, সহ কয়েকজন বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এমপিও হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র রায় নোংরা আচরণে এলাকার মানুষ খুব ক্ষিপ্ত এবং তার মনে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে শিক্ষার্থী কম হওয়ার পিছনে প্রধান শিক্ষকের হাত রয়েছে বলে একাধিক অভিভাবক জানান।
প্রতিষ্ঠাতের সাবেক শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে মানববন্ধনসহ একাধিক কর্মসূচি পালন করলেও গায়ে মাখেনি প্রতিষ্ঠান প্রধান বর্তমান সভাপতি এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কেউ।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহীন আক্তার বলেন, শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম হওয়া বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, শিক্ষার্থী উপস্থিত হওয়ার বিষয়ে আমরা কাজ করছি এবং প্রধান শিক্ষককের কাছে জবাবদিহিতা চাইবো।