
শেখ জাবেদ আহমদ,
উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ আজ ১৩৪ বছরে পা রাখলো। ১৮৯২ সালের ২৭ জুন প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি দীর্ঘ পথচলায় শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জাতীয় চেতনার এক আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছে।
সিলেটের জমিদার রাজা গিরিশচন্দ্র রায় তার পিতামহ মুরারিচাঁদের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে একটি চতুষ্পাঠী (টোল) হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও, অল্প সময়েই তা রূপ নেয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং ১৯১২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পূর্ণাঙ্গ কলেজে উন্নীত হয়। তখন থেকেই এটি ‘মুরারিচাঁদ কলেজ’ বা সংক্ষেপে ‘এমসি কলেজ’ নামে পরিচিত।
শিক্ষা বিস্তারে এই কলেজের ভূমিকা ছিল অনন্য। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম—সব জাতীয় আন্দোলনে এমসি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রেখেছেন সাহসী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা।
বর্তমানে কলেজটিতে ১৫টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও ১৬টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ১৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী, ১০৭ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক, এবং ২৭ হাজারেরও বেশি বইসমৃদ্ধ গ্রন্থাগার কলেজটির শিক্ষা মানকে করে তুলেছে অনন্য।
এমসি কলেজের ১৩৪তম বছর শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের বয়স নয়—এটি একটি জাতির ইতিহাস, চেতনা ও গৌরবের প্রতীক।