
মোঃ আবু তৈয়ব, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম, প্রতিনিধি :
গুলিবিদ্ধের ৪ দিনের মাথায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেলেন আহত ছাত্রদল নেতা ছোট ভাই মোহাম্মদ আরিফ বলে জানান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি ও ১নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পাহাড়তলী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী।
বুধবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুলিবিদ্ধ কিশোর আরিফ চট্টগ্রাম নগরীর একটি প্রাইভেট হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া কিশোর ১নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পাহাড়তলী সন্দ্বীপ কলোনী ইউনিট ছাত্রদল কর্মী ছিলেন। তিনি ঐ এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুন রাত ১২টার দিকে ভাইজানের লোক পরিচয় দিয়ে সাখাওয়াত কে তুলে নেয়ার খোঁজ করার সময় সিএনজি অটোরিকশা গাড়ি থেকে তাদের কে নামানোর চেষ্টা করলে তারা গাড়ি থেকে ৪ রাউন্ড গুলি করলে কিশোর আরিফ গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় সাখাওয়াতের লোকজন তাদের কে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে পেটের নাড়িভুড়ি বেরিয়ে আসায় তাকে উদ্ধার করে নগরীর একটি প্রাইভেট হসপিটালে ভর্তি করা হয় বলে জানান আরিফের বড় ভাই আলাউদ্দিন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে স্থানীয় ভূট্ট সুমন গ্রুপের সাথে সাখাওয়াত গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো৷ তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার (৮ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় একটি সিএনজি টেক্সি (চট্টগ্রাম-১৪-২৪৬৭) যোগে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা এসে সাখাওয়াতকে খোঁজ করতে থাকে৷ পরে স্থানীয়রা মাইকে ঘোষণা দিয়ে সিএনজি টেক্সিটিকে ধাওয়া দিলে টেক্সিতে থাকা অস্ত্রধারীরা প্রথমে ৩ রাউন্ড গুলি ছুড়ে৷ এতে আরিফ গুলিবিদ্ধ হলে তার পেটের নাড়ি ভূড়ি বেরিয়ে যায়৷ স্থানীয়দের ধাওয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সময় আরো এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে সন্ত্রাসীরা৷
গুলিবিদ্ধ আরিফের বড় ভাই আলাউদ্দিন জানান,
এই ঘটনার জন্য স্থানীয় ভূট্ট সুমন ও তার গ্রুপকে দায়ী করেন জানান, গতকাল রবিবার রাত ১১টার দিকে একটি সিএনজি টেক্সি (চট্টগ্রাম-১৪-২৪৬৭) যোগে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা এসে সাখাওয়াতকে খোঁজ করতে থাকে৷ তখন সাখাওয়াত ভাইসহ আমরা তাদেরকে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তারা নামতে চান না। আমরা জোর করে নামানোর চেষ্টা করলে গাড়ি থেকে তারা বের কর বলেই গুলি করতে থাকে। এরপর তারা ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়লে আমার ছোট ভাই আরিফ গুলিবিদ্ধ হয়ে পেটের ভুড়ি বেরিয়ে আসে। পরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সিএনজি টেক্সিটিকে ধাওয়া দিলে টেক্সিতে থাকা অস্ত্রধারীরা প্রথমে ৩ রাউন্ড এবং মাঝপথে আরেক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
প্রতিপক্ষ ভুট্টো সুমনের স্ত্রী জানান, গতকাল রবিবার রাত দেড়টার দিকে সাখাওয়াত এর লোকজন এসে আমার ঘর, দুয়ার সবই পুড়ে দেয়। আমার ঘরে ভাংচুর করে আলমারি থেকে ৫ লাখ টাকা এবং ৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। আমার স্বামী কে তারা ১০ বছর ধরে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। আমার স্বামী অপরাধী না এবং কোন প্রকার খারাপ কাজে জড়িত থাকে না। আমরা সুখে শান্তিতে থাকি কেন সেটাই আমাদের অপরাধ।
তবে এই ঘটনার পর ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এখন পর্যন্ত কোন মামলা কিংবা অভিযোগ হয়নি।