
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস. এম জিলানী বলেছেন, বিএনপিকে ঘিরে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। যারা ধর্মের নামে বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করছেন, তারাই এসব ষড়যন্ত্রে জড়িত। তাদের মুখে এক, অন্তরে আরেক। তারা সংস্কারের কথা বলছে ৫ আগস্টের পর থেকে। তারা বলছেন—বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়, সংস্কার চায় না। অথচ ২০২৩ সালে বিএনপিই সর্বপ্রথম সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। বিএনপি একটি নির্বাচনমূখী রাজনৈতিক দল। বিএনপি পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়না, অবৈধভাবেও ক্ষমতা দখল করতে চায়না। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়। আর যারা সংস্কার সংস্কার বলছে, তারা আজ পযর্ন্ত একটি সংস্কার প্রস্তাবনাও দিতে পারেনি। যারা বলছে বিএনপি নির্বাচন চায়, অথচ তারাই ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এটা কি মুনাফেকি নয়?
রবিবার (৩ আগস্ট) বিকালে নগরীর মুরাদপুর এলজিইডি ভবন অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আয়োজিত “মতবিনিময় সভায়” প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নিজেদের মধ্যে মতভেদ বা ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা কমিয়ে আনতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে দলের দুর্নাম হয়। আশা করি, ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই প্রতিষ্ঠা পাবে সন্ত্রাস, দখল ও চাঁদাবাজমুক্ত, বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।
এস এম জিলানী বলেন, স্বৈরাচারের পতন হলেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশে এখনো জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র ফিরে আসেনি। ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিজম যাতে আর কোনোভাবেই দেশে ফিরে আসতে না পারে সেজন্য স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু’র সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ইঞ্জি. জমির উদ্দিন নাহিদ এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, এস. এম জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মাঈনউদ্দিন রাশেদ, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল হক টুটুল, এম. আবু বক্কর রাজু, রাজীম উদ্দিন আকন্দ, মহসিন কবির আপেল, রিফাত হোসেন শাকিল, দিদার হোসেন, হারুনুর রশিদ, গোলাম সরোয়ার, আব্দুল হালিম গুড্ডু, মো. আলমগীর, আব্দুল আহাদ রিপন, কামরুল হাসান, এন মোহাম্মদ রিমন, আরিফুর রহমান চৌধুরী, মো. ইফতেখার উদ্দিন নিবলু, তাজুল ইসলাম নয়ন সহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।