
গতকাল (২৭/০৪/২৫ইং) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে First Freighter Flight-এর Inauguration Ceremony-তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানটিতে সিলেটের বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে চোখে পড়ার মতো ছিল কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থাপনা। শহরের গন্যমান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের জন্য যথাযথ আসনের ব্যবস্থা করা হয়নি, যা দুঃখজনকভাবে অনুষ্ঠানের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করেছে।
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েছ লোদী প্রথমেই এই অব্যবস্থাপনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রোগ্রাম ত্যাগ করেন।
কিন্তু সকলের দৃষ্টি কাড়েন সিলেটের তরুণ রাজনীতিবিদ, এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ।
তিনি সৌহার্দপূর্ণ রাজনীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন — সম্মানিত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সামনের সারিতে বসার ব্যবস্থা না থাকায় এবং অনভিপ্রেত অব্যবস্থাপনা চলতে থাকলে তিনি প্রোগ্রাম বয়কটের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি, তিনি নিজ আসন ও নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিতে বলেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতাদের বসার জন্য, নিজের চেয়ার ছেড়ে অর্ধেক প্রোগ্রাম জুড়ে দাড়িয়ে থাকেন যতক্ষন না কর্তৃপক্ষ বাকী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বসার ব্যাবস্থা করেন। নিজের অবস্থানকে দ্বিতীয় প্রাধান্যে রেখে অন্য নেতৃবৃন্দকে সম্মান জানান। এই মহৎ কাজের জন্য সর্ব মহলের প্রশংসায় ভাসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির এই তরুণ নেতা।
আমরা সাংবাদিক হিসেবে অনেক অনুষ্ঠান দেখি, কিন্তু এভাবে দলের ভিন্নতা ভুলে অন্য রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি এমন সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শন সচরাচর দেখা যায় না।
ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ তাঁর কর্মে প্রমাণ করেছেন— রাজনীতি শুধু প্রতিযোগিতা নয়, সম্মান, সৌহার্দ্য ও মূল্যবোধের বিষয়ও।
এগিয়ে চলুক সৌহার্দ্যপূর্ণ রাজনীতির এই নবযাত্রা।