অরবিন্দ রায়
স্টাফ রিপোর্টার।।
শিক্ষকের কণ্ঠস্বর- শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার । এই প্রতিপাদ্যকে নিয়ে ৫ অক্টোবর শনিবার সারাদেশে পালন করা হয়েছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকদের জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
জাতি গঠনে শিক্ষকদের অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু পএিকায় যখন দেখা যায় ছাএদের কাছে শিক্ষক লাঞ্ছিত। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে লজ্জায় মাথা নত হয়ে যায়। একের পর এক শিক্ষকরা লাঞ্ছিত হলেও সামাজিক ভাবে জোরালো কোন প্রতিবাদ হয় না। আমরা ভুলে গিয়েছি আমিও কোন শিক্ষকের কাছে পড়ালেখা করেছি। দিনে দিনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে সবারই উচিত শিক্ষকদের সম্মান রক্ষা করা। শিক্ষক লাঞ্ছিত হতে দেখেও যদি কোন মানুষ নিরব থাকে তবে বুঝতে হবে তার নিরবতা শিক্ষক লাঞ্ছিতকে সমর্থন করে।
বাংলাদেশে নানা কর্মসূচি মধ্য দিয়ে শিক্ষক দিবস পালন করা হয়েছে। দেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর হলেও শিক্ষকদের বেতনে কাঠামো রয়েছে বৈষম্য। শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে হলে শিক্ষার্থীদের সুন্দর মন মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষকদের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। সমাজে পিতা মাতার পরে শিক্ষকের স্হান। শিক্ষকদের আর্থিকভাবে- সামাজিকভাবে যথাযথ মর্যাদা করা প্রয়োজন। শিক্ষকদের নেই আর্থিক স্বচ্ছলতা- নেই সামাজিক মর্যাদা। শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন। মেধাবী তরুণরা আজ শিক্ষকতা পেশায় আসতে চায় না। তরুন মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি ও সামাজিক মূল্যায়ন বাড়লে অনেক মেধাবী তরুন শিক্ষকতা পেশার সাথে যুক্ত হবেন বলে আমি মনে করি।
শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করে আমরা সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি । শিক্ষকদের অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করা-সমাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। শিক্ষকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে। আমরা বাংলাদেশে আর কোন শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের হাতে লাঞ্ছিত হতে দেখতে চাই না। শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন চাই। বিশ্বের সকল শিক্ষকে
জানাই আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।