
শরীয়তপুর প্রতিনিধি।।
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবী জানিয়েছেন কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের জেন্ডার প্রমোটার ও শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার -১০ সেপ্টেম্বর- বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এক মানবন্ধনে এ দাবী জানায় তারা।
মানববন্ধনকারীরা জানায়- মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফজাল হোসেন দায়িত্বে আসার পর থেকে শিক্ষকদের বেতন সম্পূর্ন না দিয়ে আংশিক দিচ্ছেন। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের নাস্তা বাবদ যে টাকা ধরা হয়েছে তা আংশিক দিচ্ছেন। দারিদ্র মাতৃত্বকালীন ভাতার নগদ টাকা ঘুষের মাধ্যমে করে দেওয়ার প্রস্তাব- রাত-বিরেতে শিক্ষকদের ফোন দিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া ছাড়াও শিক্ষিকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মানববন্ধনে স্বজন প্রীতির অভিযোগ তোলা হয়।
জেন্ডার প্রমোটার অনামিকা আক্তার বলেন- আফজাল স্যার স্বজন প্রীতি দেখিয়ে তার অফিসের এক কর্মচারীর তিনজন স্বজনকে তিনি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তিনি আমাদের প্রকল্পের শিক্ষকদের ঠিকমতো বেতন দেন না। এছাড়া তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নাস্তা বাবদ যে টাকা ধরা হয়েছে তার থেকে কেটে রাখেন। আমরা এ বিষয়ে ওনাকে কিছু বলতে গেলেই বাজে আচরণ করেন। আমরা ওনার অপসারণ চাই।
প্রকল্পের শিক্ষক নাজমা আক্তার বলেন- ওনি কোথাও শূন্য পদ থাকলে তার পছন্দের মানুষকে কিংবা টাকার বিনিময়ে সেই স্থানে নিয়োগ দেয়। কিন্তু কোনো নিয়োগ পরিক্ষা হয়না। এভাবেই তিনি দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। আমাদের গোসাইরহাটে এমন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা চাই না। আমরা তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ দাবি করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোসাইরহাট উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফজাল হোসেনকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত নাম্বারে কল দিলে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর তিনি আর কল রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাফিয়া ইকবাল বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ ও উপযুক্ত প্রমাণ পেলে তার বদলির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠাবো।